কলকাতা: সাহিত্যিক সমরেশ মজুমদারের প্রয়াণে (Samaresh Majumdar) গভীরভাবে শোকস্তব্ধ বাংলা সাহিত্যের আরও এক মহীরূহ শীর্ষেন্দু মুখোপাধ্যায়। এবিপি আনন্দে প্রতিক্রিয়া জানাতে গিয়ে তিনি বলেন, 'সমরেশ চলে যাওয়া মানে এখন বাংলা সাহিত্যে আর কে রইল। সমরেশকে আমি চিনি ও সাহিত্যিক হওয়ার আগে থেকে। ও তখন লেখক হয়নি। আমি তখন কলকাতায় একটি বোর্ডিং হাউসে থাকতাম। তবে তখন আসত। খুব প্রাণচঞ্চল একটি ছেলে ছিল। অনেকদিকে ইন্টারেস্ট ছিল। শুনতাম ও নাটক করে। এই নিয়ে ঠাট্টা ইয়ার্কি করতাম। খুব হাসত।'
শোকস্তব্ধ শীর্ষেন্দু মুখোপাধ্যায়:
উত্তরবঙ্গের সঙ্গে আত্মার সম্পর্ক ছিল সমরেশ মজুমদারের। শীর্ষেন্দু মুখোপাধ্যায় বলেন, 'জলপাইগুড়ির ছেলে বলে আমার ওর প্রতি বিশেষ আকর্ষণ ছিল। আমি শিলিগুড়ির, ও জলপাইগুড়ির (Jalpaigurir)। জলপাইগুড়ি জেলা স্কুল থেকে পড়াশোনা করেছে। নাটক করতে করতেই হঠাৎ করে ও একটা ছোটগল্প লিখল দেশ পত্রিকায়। ছোট গল্প লেখার সঙ্গে সঙ্গেই বলতে গেলে সাগরময় ঘোষ ওকে চিনলেন। ওকে উপন্যাস লিখতে বলেন। যতদূর সম্ভব ওর প্রথম উপন্যাস ছিল দৌড়।' প্রবীণ লেখক জানান, 'আমার কাছে ও বরাবর বাবলুই ছিল। মাঝেমাঝেই ও আমায় বলত আমি ছাড়া ওকে বাবলু বলে ডাকার আর কেউ নেই। আমি মাঝেমাঝে ওকে বলতাম। তোমাকে দেখে আমার হিংসে হয়, এত জনপ্রিয়তা দেখে।'
অসুস্থ ছিলেন:
অসুস্থ ছিলেন বেশ কিছুদিন ধরে। কিন্তু তাঁর জীবনশক্তি প্রখর ছিল। দিন দশেক আগে স্ট্রোক হওয়ার পরে তাঁকে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। তারপর সুস্থও হচ্ছিলেন। কিন্তু এদিন ৫টা নাগাদ তাঁর অবস্থার হঠাৎ অবনতি হয়। এদিন কলকাতায় অ্যাপোলো হাসপাতালে ৭৯ বছর বয়সে বিকেল ৫ টা ৪৫ মিনিট নাগাদ শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন সমরেশ মজুমদার।
একাধিক চরিত্রের স্রষ্টা:
গোয়েন্দা চরিত্র অর্জুনের স্রষ্টা করেছিলেন সমরেশ মজুমদার। ১৯৮২ সালে আনন্দ পুরস্কার পান সমরেশ মজুমদার। ১৯৭৫ সালে প্রকাশিত হয় সমরেশ মজুমদারের প্রথম উপন্যাস 'দৌড়'। জীবনকালে উত্তরাধিকার, কালবেলা, কালপুরুষের মতো একের পর এক কালজয়ী উপন্যাস উপহার দিয়েছেন তিনি।
বহু পুরস্কার:
১৯৮৪ সালে সাহিত্য অ্যাকাদেমি পুরস্কার পান সমরেশ মজুমদার (Samaresh Majumdar)। ২০১৮ সালে সেরা বাঙালির সম্মান দিয়ে তাঁকে সম্মানিত করেছিল এবিপি আনন্দ।
আরও পড়ুন: গরমের মরসুমে ট্যান পড়ে ঠোঁটেও, এই সমস্যা এড়িয়ে চলবেন কীভাবে? রইল কিছু সহজ টিপস