সঞ্চয়ন মিত্র, কলকাতা: সিস্টার নিবেদিতার ভারতে পা রাখার ১২৫ বছর উপলক্ষ্যে নানা কর্মসূচি নেওয়া হল শ্রী সারদা মঠ ও রামকৃষ্ণ সারদা মিশনের উদ্যোগে। ‘ওয়ান বার্নিং লাভ’ নামে ভগিনী নিবেদিতার ওপর একটি চিত্রমূলক জীবনী প্রকাশিত হয়েছে। পাশাপাশি রং তুলিতে সাজিয়ে তোলা হচ্ছে বাগবাজারে তাঁর বসত বাড়িকে।


সিস্টার নিবেদিতার ভারতে পদার্পণের। ১২৫-তম বর্ষ উপলক্ষ্যে একাধিক কর্মসূচি নিল শ্রী সারদা মঠ ও রামকৃষ্ণ সারদা মিশন। ১৮৯৮ সালের ২৮ জানুয়ারি কলকাতায় পা রাখেন মার্গারেট এলিজাবেথ নোবেল। সেদিন তাঁকে স্বাগত জানাতে খিদিরপুর ডকে গিয়েছিলেন স্বয়ং স্বামী বিবেকানন্দ।


সেই দিনটিকে স্মরণ করতে, এদিন কলকাতা বন্দরে গিয়ে ভগিনী নিবেদিতার ছবিতে মালা দেন শ্রী সারদা মঠের সন্নাসিনীরা। উত্তর আয়ারল্যান্ডে জন্ম হওয়া মার্গারেট এলিজাবেথ নোবেল বিবেকানন্দের সহচর্জে এসে হয়ে উঠেছিলেন তাঁর অন্যতম শিষ্যা, ভগিনী নিবেদিতা। বাগবাজারের ১৭ নম্বর বোসপাড়া লেনের এই বাড়িতেই দীর্ঘদিন থেকেছেন তিনি। 


এই বাড়িতেই তাঁর সঙ্গে দেখা করতে এসেছেন বহু রাজনৈতিক ব্যক্তিত্ব থেকে বিজ্ঞানী, শিল্পী, ইতিহাসবিদ। ভারতে আগমনের ১২৫ বছর পূর্তি উপলক্ষ্যে সেজে উঠছে তাঁর বসতবাড়ি। রং-তুলিতে নানা ছবি ফুটিয়ে তোলা হয়েছে বাড়ির গায়ে। ঠিক যেমনভাবে ভগিনী নিবেদিতা চাইতেন ছবির মাধ্যমে লোকশিক্ষা দিতে। ভগিনী নিবেদিতার জীবনের একাধিক ঘটনাকে তুলে ধরা হয়েছে ছবির মাধ্যমে। যেমন তাঁর করা সরস্বতী পুজো ছোটদের পরিচ্ছন্নতার পাঠ। মেয়েদের স্কুল...শিল্পী নন্দলাল বসুর সাক্ষাত্‍...এরকমই নানা জিনিস উঠে আসছে ছবির বিষয় হিসেবে। 


নানা অনুষ্ঠানের মধ্য দিয়ে এক বছর ধরে উদযাপিত হবে ভগিনী নিবেদিতার ভারতে আসার ১২৫ বছর। ইতিমধ্যে ‘ওয়ান বার্নিং লাভ’ নামে ভগিনী নিবেদিতার ওপর একটি চিত্রমূলক জীবনী প্রকাশিত হয়েছে শ্রী সারদা মঠ ও রামকৃষ্ণ সারদা মিশনের তরফে।