পূর্ণেন্দু সিংহ, বাঁকুড়া: এবার হোয়াটসঅ্যাপে 'সরাসরি পৌর প্রধান', পরিষেবা শুরু বাঁকুড়ায়। বুধবার এই পরিষেবার আনুষ্ঠানিক সূচণা করেন বাঁকুড়া পৌরসভার পৌর প্রধান অলকা সেন মজুমদার। বাঁকুড়া (Bankura) পৌরসভার পৌর প্রধান অলকা সেন মজুমদার নিজেই এই খবর জানিয়ে বলেন, ''অনেক চাকুরীজীবি থেকে প্রবীণ নাগরীক তাঁদের সমস্যার বিষয়টি জানাতে পৌরসভা কার্যালয়ে আসতে পারেননা। আর সেকারণেই এবার বাড়িতে বসেই শহরের মানুষ ৮২৫০৭১৩৯৫৬ নম্বরে হোয়াটসঅ্যাপ করে সমস্যার কথা জানালেই অতি দ্রুত তা সমাধানের উদ্যোগ নেওয়া হবে।''


উল্লেখ্য, গত লোকসভা নির্বাচনে বাঁকুড়া কেন্দ্রটি বিজেপির হাত থেকে ছিনিয়ে নিতে পারলেও এই পৌরসভায় অনেক খানি পিছিয়ে শাসক দল। এই অবস্থায় তৃণমূল পরিচালিত পৌরসভার কাজে শহরের মানুষ খুশি নন বলেই অনেকের ধারণা। ফলে খানিক চাপেই আছেন পৌর প্রধান অলকা সেন মজুমদার। এই অবস্থায় আসন্ন লোক সভা নির্বাচনের কথা মাথায় রেখে পৌরবাসীর মন পেতে তাঁর 'হোয়াটসঅ্যাপ পরিষেবা' চালু বলে রাজনৈতিক বিশেষজ্ঞ মহলের একাংশ মনে করছেন। তবে এই পরিষেবা নিয়ে ভিন্ন মত শহরবাসীর। বাঁকুড়া শহরের বাসিন্দা কার্তিক দাস বলেন, উদ্যোগ যথেষ্ট ভাল, তবে পরিষেবা কেমন পাওয়া যাবে সেটাই এখন দেখার বলে তিনি জানান।


তবে এই ব্যবস্থা কোন কাজেই আসবে মনে করেন শহরবাসী কিংশুক ভট্টাচার্য। তিনি বলেন, এর আগে এভাবেই ফোন করে মূখ্যমন্ত্রীর তরফে দেওয়া নাম্বারে আমার অভিযোগ-সমস্যার বিষয়টি জানিয়েছিলাম। চার বছর হয়ে গেল কোন কাজ হয়নি! বাঁকুড়া পৌরসভার 'সরাসরি পৌরপ্রধান'ও এক ধরণের 'আই ওয়াশ' বলে তিনি দাবি করেন। এবিষয়ে বিজেপির বাঁকুড়া জেলা সভাপতি সুনীল রুদ্র মণ্ডলের দাবি, বাঁকুড়া পৌর এলাকা রাস্তা, নিকাশী ব্যবস্থা, আবর্জনা সহ নানান সমস্যায় জর্জরিত।


এছাড়াও প্রকৃত উপভোক্তাদের বঞ্চিত করে 'হাউস ফর অল প্রকল্পে' তৃণমূল নেতাদের বাড়ি পাওয়ার অভিযোগ তো রয়েইছে। এই অবস্থায় কাউন্সিলর থেকে পৌর প্রধান কারোরই মানুষের সামনে যাওয়ার ক্ষমতা নেই, সেকারণেই এই 'ভাঁওতাবাজি' বলে তিনি দাবি করেন। 


এদিকে, রাজ্যের অন্য় প্রান্তে রঘুনাথপুরে গ্রাম সভা চলাকালীন আবাস প্রকল্পে নাম বাদ পড়ায় আবেদনকারীদের তুমুল ক্ষোভের মুখে পড়েন ব্লক আধিকারিক থেকে পঞ্চায়েত প্রধান সহ অন্যান্য আধিকারিকেরা। বুধবার রঘুনাথপুর ব্লক ১ অন্তর্গত তৃণমূল পরিচালিত নতুনডি গ্রাম পঞ্চায়েতের বিশেষ গ্রাম সভা নতুনডি প্রাথমিক বিদ্যালয় প্রাঙ্গণে অনুষ্ঠিত হয়। এই সভায় ব্লকের আধিকারিকের পাশাপাশি উপস্থিত ছিলেন গ্রাম পঞ্চায়েতের প্রধান ও আধিকারিকেরা।এদিন সভা আরম্ভ হতেই স্থানীয় বাসিন্দারা আবাস প্রকল্পে তাদের নাম বাদ দেয়ার অভিযোগ তুলে ব্যাপক বিক্ষোভ শুরু করেন।গ্রামবাসীদের অভিযোগ আবাস প্রকল্পে ব্যাপক দুর্নীতি হয়েছে যাদের পাকা বাড়ি রয়েছে তাদের নাম রয়েছে তালিকায় এমনকি একই পরিবারের বেশ কয়েকজনের নামও রয়েছে তালিকায় কিন্তু যাদের মাটির বাড়ি রয়েছে তাদের নাম বাদ পড়েছে তালিকা থেকে।