রঞ্জিত হালদার, ভাঙড় : ঠিক যেন শীতকালীন পিকনিক ! দুয়ারে সরকারের ক্যাম্পে গেলেই মিলছে মাংস-ভাত। সঙ্গে ডাল, বেগুন ভাজা, পাঁচ মেশালি সবজির তরকারি, স্যালাড, চাটনি, পাঁপড়, মিষ্টি। সরকারি পরিষেবার পাশাপাশি এমন জবরদস্ত গরম গরম খাবার নজর কাড়ছে। এই পরিস্থিতিতে মানুষের ঢল নামল ক্যাম্পে। সকাল থেকে বিকাল পর্যন্ত হাজার হাজার মানুষ ভিড় করলেন কাঁঠালবেড়িয়া প্রাথমিক বিদ্যালয়ের মাঠে। পুরোদস্তুর পিকনিকের আমেজে মঙ্গলবার দুয়ারে সরকারের ক্যাম্প (Duare Sarkar Camp) হল নিউটাউন লাগোয়া ভাঙড় ২ ব্লকের (Bhangar 2 Block) বেওতা ২ গ্রাম পঞ্চায়েতে।
বেওতার বাসিন্দা শ্যামলী মণ্ডল বলেন, ‘দু- কিলোমিটার দূর থেকে ক্যাম্পে এসেছিলাম। দু'-তিনটি প্রকল্পের ফর্ম ফিলআপ করতে অনেকটা সময় লেগে যায়। দুপুরে খাওয়া দাওয়ার ব্যবস্থা থাকায় আমার মত অসংখ্য মানুষ ক্যাম্পে খেয়ে নেন। এতে কাজটা সুষ্ঠুভাবে হয়েছে।'
এই ঘটনা নিয়ে অবশ্য বিরোধীরা সরব হয়েছেন। সিপিএম, বিজেপি, আইএসএফ মনে করছে, এতে সরকারি টাকা নয়ছয় হয়েছে শুধু, কাজের কাজ কিছু হয়নি।
ভাঙড়ের আইএসএফ বিধায়ক নওশাদ সিদ্দিকি বলেন, সাধারণ মানুষ সময় ব্যয় করে শুধু আবেদন করে যাচ্ছেন। কিন্তু সরকারি প্রকল্পের সুবিধা পাচ্ছেন না। তাই ভিড় জমাতে দুয়ারে সরকার ক্যাম্পে ভূরিভোজের আয়োজন করা হয়েছে।
এদিকে তৃণমূল সূত্রে বলা হচ্ছে, এর আগে সাত বার দুয়ারে সরকার ক্যাম্প অনুষ্ঠিত হয়েছে। বেশিরভাগ মানুষ যাবতীয় সরকারি পরিষেবা পেয়ে গেছেন। তাই অষ্টম পর্যায়ে ৩৫ ধরনের পরিষেবা নেওয়ার জন্য দুয়ারে সরকার শিবিরে আর ভিড় করছেন না সাধারণ মানুষ। এজন্য বেওতা ২ এর প্রধান সাবির শেখের উদ্যোগে ক্যাম্প উপলক্ষে পাতপেড়ে খাওয়ানোর ব্যবস্থা করা হয়েছে।
সাবির শেখ বলেন, ‘সরকারি টাকা নয়ছয় হয়নি। বরং সরকার ক্যাম্প করার জন্য যত টাকা বরাদ্দ করেছিল তার থেকে অনেক বেশি টাকা খরচ করা হয়েছে। সাধারণ মানুষের মুখে একবেলা অন্ন তুলে দিয়ে অনেক আশীর্বাদ পেয়েছি। বিরোধীরা কী বলল তাতে কিছু যায় আসে না।'
এ বিষয়ে ভাঙড় ২ এলাকার বিডিও পার্থ বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, ‘ক্যাম্পে সরকারিভাবে কোনও খাওয়া-দাওয়ার আয়োজন করা হয়নি। এটা প্রধান নিজের ব্যক্তিগত উদ্যোগে করেছেন।'
আপনার পছন্দের খবর আর আপডেট এখন পাবেন আপনার পছন্দের চ্যাটিং প্ল্যাটফর্ম হোয়াটস অ্যাপেও। যুক্ত হোন ABP Ananda হোয়াটস অ্যাপ চ্যানেলে।