পার্থপ্রতিম ঘোষ, দক্ষিণ ২৪ পরগণা: মহেশতলা পুরসভাতেও তৃণমূলের (TMC) প্রার্থী-বিভ্রান্তির ছবি। ৩৪ নম্বর ওয়ার্ডে মনোনয়ন দিলেন না তৃণমূলের দুই তালিকায় নাম থাকা প্রার্থী। আর মনোনয়ন (Nomination) দিলেন যিনি, তাঁর নাম নেই কোনও তালিকাতেই।


দক্ষিণ ২৪ পরগণার ডায়মন্ডহারবার এবং বজবজ পুরসভায় শীর্ষ তৃণমূল নেতৃত্বের অনুমোদিত তালিকায় নাম থাকা একজন প্রার্থীও মনোনয়ন দেননি। ২ পুরসভার সবক'টি ওয়ার্ডে মনোনয়ন দিয়েছেন প্রথম তালিকার প্রার্থীরা। 


এই প্রেক্ষাপটে মহেশতলা পুরসভায় দেখা গেল অন্য ছবি। তৃণমূলের প্রথম তালিকা এবং চূড়ান্ত তালিকা, দু'টিতেই ৩৪ নম্বর ওয়ার্ডে নাম ছিল জগন্ময় পালের। কিন্তু, তিনি মনোনয়নই পেশ করেননি।


প্রার্থী তালিকায় নাম থাকা তৃণমূল নেতা জগন্ময় পালের কথায়, 'দুটো-একটা দেওয়াল লিখেছিলাম। সেটা মুছে দিয়েছে। মানুষ বিভ্রান্ত। নেতৃত্ব কী যে করছে বুঝছি না। আমি কেঁদে ফেলেছি। বৃদ্ধ বয়সে এই হ্যারাসমেন্ট না করলেই পারত! একটা দল থেকে দু’টো প্রার্থী হতে পারে নাকি!' 


আরও পড়ুন: Kolkata: বেহালা-মহেশতলা অঞ্চলে জমা জলের সমস্যা মেটাতে উদ্যোগী পুর প্রশাসন


তৃণমূল প্রার্থী হিসেবে মনোনয়ন পেশ করেছেন গোপাল সাহা। যাঁর নাম কোনও তালিকায় ছিল না। 


মনোনয়ন পেশকারী তৃণমূল প্রার্থী গোপাল সাহা, 'আমি টিম অভিষেকের সংগঠন চালাই। দুলাল দাস আমাকে পাঠিয়েছেন। আমার নেতৃত্ব বলেছে নমিনেশন দাও। পার্টি ঠিক করুক কী করবে? উচ্চনেতৃত্ব অ্যানেকসচার দিয়েছে।'


৩৫টি ওয়ার্ডে ৩৮ জন প্রার্থী। ৩টি ভেজাল, বলছেন প্রাক্তন পুরপ্রধান। ৩টি ওয়ার্ডে ২ জন করে তৃণমূল প্রার্থী হওয়ায় অস্বস্তি বাড়ছে দলের অন্দরে।


মহেশতলা পুরসভার প্রাক্তন পুরপ্রধান দুলাল দাস বলেন, 'দল যে লিস্ট দিয়েছে সেটাই অথেনটিক। ৩টে ভেজাল। কোথা থেকে অ্যানেকসচার ২ পেল, জানি না। দলীয় নির্দেশ ছাড়া একটা কাজও করিনি। শীর্ষ নেতৃত্বকে গোটাটা জানিয়েছি। দলের ভিতরে স্থানীয়ভাবে ক্ষোভ হচ্ছে।'


সব মিলিয়ে শতাধিক পুরসভায় ভোটের বেশ কিছুদিন দেরি থাকলেও, এখন থেকেই তা নিয়ে রাজ্য রাজনীতিতে উথালপাথাল চলছে।