সুকান্ত দাস, জয়নগর: দক্ষিণ ২৪ পরগনার (South 24 Pargana) জয়নগরের (Jaynagar) দুর্গাপুরে প্রতিবেশীকে কুপিয়ে খুনের অভিযোগ। থানায় গিয়ে আত্মসমর্পণ অভিযুক্তের। পরে তাঁকে গ্রেফতার করে জয়নগর থানার পুলিশ। মৃতের নাম হজরত গাজি। বছর চল্লিশের ওই ব্যক্তির সঙ্গে প্রতিবেশীর কী ধরনের শত্রুতা ছিল, খতিয়ে দেখছে পুলিশ। গোটা ঘটনায় এলাকায় চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে।


প্রতিবেশীকে খুন করে, থানায় এসে আত্মসমর্পণ! এমন কাণ্ডে চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে দক্ষিণ ২৪ পরগনার জয়নগরে। স্থানীয় সূত্রে খবর, সোমবার সকাল ৮টা নাগাদ রাস্তার ধারে রক্তাক্ত অবস্থায় উদ্ধার করা হয় বছর চল্লিশের হজরত গাজিকে। দেহের একাধিক জায়গায় ধারাল অস্ত্রের কোপের চিহ্ন রয়েছে। স্থানীয়রা উদ্ধার করে পদ্মের হাট গ্রামীণ হাসপাতালে নিয়ে গেলে চিকিৎসকরা মৃত ঘোষণা করেন। 


পুলিশ সূত্রে খবর, মৃত্যুর ঘটনা সামনে আসতেই আচমকাই শাহিদুল্লা গাজি নামে এক ব্যক্তি থানায় এসে প্রতিবেশীকে কুপিয়ে খুন করার কথা জানিয়ে আত্মসমর্পণ করেন। পরে তাঁকে গ্রেফতার করে জয়নগর থানার পুলিশ।


কিন্তু কী কারণে হজরতকে খুন করলেন শাহিদুল্লা? মৃতের দাদা বলেন, ''সকালে ভাই বাড়ি থেকে বেরোয়। দর্জির কাজ করে। তারপর হঠাৎ মৃত্যুর খবর পেলাম। কী কারণে বুঝতে পারছি না।'' যদিও পুলিশ সূত্রে দাবি, টাকা-পয়সার লেনদেন সংক্রান্ত বিবাদের জেরে খুন করা হয়েছে। উদ্ধার করা হয়েছে খুনে ব্যবহৃত অস্ত্র। 


এদিকে, হুগলির জাঙ্গিপাড়ায় নাবালিকার রহস্যমৃত্যুর ঘটনায় গ্রেফতার দূর সম্পর্কের এক আত্মীয়-সহ ৪। দশমীর রাতে ঠাকুর দেখতে গিয়ে নিখোঁজ হয়ে যায় ১২ বছরের বালিকা। তিনদিনের মাথায় বাড়ির এক কিলোমিটার দূরে ডোবা থেকে উদ্ধার হয় মৃতদেহ। পুলিশের বিরুদ্ধে অসহযোগিতার অভিযোগ তোলে মৃত নাবালিকার পরিবার। এই ঘটনায় গতকাল রাতে হরিপাল থেকে মৃতের এক আত্মীয়-সহ ৪ জনকে গ্রেফতার করা হয়।


হুগলির জাঙ্গিপাড়ায় নিখোঁজ নাবালিকার রহস্যমৃত্যুর ঘটনায় তুলকালাম। জেলা কংগ্রেস নেতৃত্বকে মৃত নাবালিকার বাড়িতে যেতে বাধা স্থানীয়দের। কংগ্রেস নেতাদের রীতিমতো তাড়া করেন তাঁরা। স্থানীয়দের দাবি, মৃত্যু নিয়ে তাঁরা রাজনীতি চান না। কুত্সার রাজনীতি চায় না মানুষ, আক্রমণ তৃণমূলের। সাধারণ মানুষ নয়, বাধা দিয়েছে তৃণমূল, প্রতিক্রিয়া কংগ্রেসের। পাশাপাশি, এদিন প্রথমে জাঙ্গিপাড়া থানায় যায় বিজেপির প্রতিনিধিদল। নাবালিকাকে ধর্ষণ করে খুনের আশঙ্কা প্রকাশ করেন বিজেপি নেত্রী প্রিয়ঙ্কা টিবরেওয়াল। এরপর নাবালিকার বাড়িতেও যায় বিজেপি নেতৃত্ব।