দক্ষিণ ২৪ পরগনা: কুলতলির (Kultali) ডোঙ্গাজোড়া গ্রামে হানা দিল বাঘ। বাঘের আক্রমণে (Tiger Attack) জখম এক গ্রামবাসী। গত চারদিন ধরে বাঘের আতঙ্কে ঘুম উড়েছে গরানকাঠির ডোঙ্গাজোড়া গ্রামের বাসিন্দাদের। বন দফতরের তরফে দুটি খাঁচা পাতা হয়। ডোঙ্গাজোড়া গ্রামে কেল্লার জঙ্গল জাল দিয়ে ঘিরে ফেরা হয়। আজ সকালে জঙ্গলে নতুন করে মেলে বাঘের পায়ের ছাপ। গতকাল গর্জনও শোনা যায় রয়্যাল বেঙ্গলের।


এই পরিস্থিতিতে বন দফতরের বিরুদ্ধে গাফিলতির অভিযোগ তুলে আজ স্থানীয় তৃণমূল নেতার নেতৃত্বে বন কর্মীদের ঘিরে বিক্ষোভ দেখান গ্রামবাসীরা। গাফিলতির অভিযোগ অস্বীকার করে বন দফতর। এদিকে, বাঘের সন্ধান পেতে স্পিড বোটে চড়ে চলছে নজরদারি। বন দফতরের তরফে মাইকে প্রচার করে আশেপাশের গ্রামের বাসিন্দাদের বাড়ির বাইরে বেরোতে নিষেধ করা হয়। এরই মধ্যে শেখপাড়ার জঙ্গল থেকে বেরিয়ে এক গ্রামবাসীকে আক্রমণ করে বাঘ। 


পায়ের ছাপ, গর্জন, জানান দিচ্ছিল কুলতলিতে লোকালয়ের আশেপাশেই রয়েছে বাঘ। কিন্তু চারদিন পরেও খাঁচাবন্দি হয়নি। বন দফতরের তরফে দুটি খাঁচা পাতা হয়েছে। বন দফতরের অনুমান, কেল্লার জঙ্গলেই লুকিয়ে রয়েছে রয়্যাল বেঙ্গল। তাই গরানকাঠির ডোঙ্গাজোড়া গ্রাম লাগোয়া ওই জঙ্গলে তার ছাপ খুঁজতে শুরু করেছেন বন দফতরের কর্মীরা। স্পিড বোটে চড়েও চলছে নজরদারি। বন দফতরের তরফে আশেপাশের গ্রামের বাসিন্দাদের সতর্ক করা হয়েছে।


বাঘের ভয়ে কাঁটা কুলতলির ডোঙ্গাজোড়া গ্রাম। জাল দিয়ে চলছে গ্রাম ঘেরার কাজ। এলাকায় ঢুকতে দেওয়া হচ্ছে না পর্যটকদের। বন দফতর ও কুলতলি থানার তরফে পিয়ালি নদীতে নৌকায় চড়ে চলছে মাইকে প্রচার।


পায়ের ছাপ দেখে এগিয়ে যাচ্ছিলেন বন দফতরের কর্মী ও কয়েকজন গ্রামবাসী। আচমকা কানে ভেসে এল গর্জন। ফের দক্ষিণ রায়ের বাহনের আতঙ্কে তটস্থ দক্ষিণ ২৪ পরগনা!


গায়েনেরচক, গরানকাঠির পর এবার সবুজে ঘেরা পিয়ালি নদীর ধারে ডোঙ্গাজোড়া গ্রাম। শনিবার সকালে এখানকারই পুরনো কেল্লার আশেপাশে পায়ের ছাপ দেখে এগিয়ে যাচ্ছিলেন বন দফতরের কর্মী ও গ্রামবাসীদের কয়েকজন। 


তখনই রয়্যাল বেঙ্গলের গর্জনে কেঁপে ওঠে এলাকা। জঙ্গল ঘেরার কাজ চলছে। ৫ নম্বর গরানকাঠির জঙ্গল থেকে বেরিয়ে সেই বাঘটিই সম্ভবত কুলতলি থানার অন্তর্গত ডোঙ্গাজোড়ার পুরনো কেল্লার পাশের জঙ্গলে আশ্রয় নিয়েছে। পিয়ালি নদী। 


বড়দিন ও বছরের যে কোনও ছুটির দিনে চোখে পড়ার মতো ভিড় থাকে এই পুরনো কেল্লা এলাকায়। এবারও ছবিটা প্রথমে অন্যরকম ছিল না। কিন্তু নিরাপত্তার খাতিরে পর্যটকদের এ চত্বরের ধার ঘেঁষতে দিচ্ছে না প্রশাসন। 


জোয়ারে জল বাড়ছে পিয়ালি নদীর। গ্রামবাসীদের আশঙ্কা, আরও জল বাড়লে বাঘ গ্রামেও ঢুকে পড়তে পারে। বন দফতর ও কুলতলি থানার তরফে পিয়ালি নদীতে নৌকায় চড়ে চলছে মাইকে প্রচার। 


শুক্রবার, কুলতলির ৫ নম্বর গরানকাঠি এলাকায় কাঁকড়া ধরতে যাওয়া এক মহিলা বাঘ দেখতে পান বলে দাবি করেন। খবর পেয়ে সেখানে যান বন দফতরের কর্মীরা। বাঘবন্দি করতে খাঁচা পাতা হয়। চলে রাতভর পাহারা।