রঞ্জিত হালদার ও শান্তনু নস্কর,  দক্ষিণ ২৪ পরগনা:  দক্ষিণ ২৪ পরগনার নরেন্দ্রপুরের (Narendrapur) কালীবাজারে মানুষকে সচেতন করতে পুলিশকে নিয়ে পথে নামলেন সোনারপুর উত্তরের (Sonarpur North) বিধায়ক। এদিকে, ক্যানিং মহকুমা হাসপাতালে গত তিনদিনে চিকিৎসক, স্বাস্থ্যকর্মী মিলে সংক্রমিত হয়েছেন ১৬ জন। ক্যানিং ২ নম্বর ব্লকের তিনটি এলাকা কনটেনমেন্ট জোন ঘোষণা করেছে প্রশাসন।


দক্ষিণ ২৪ পরগনার রাজপুর নরেন্দ্রপুর পুর অঞ্চলে লক্ষণীয় হারে বাড়ছে করোনা সংক্রমণ। তাতে লাগাম দিতে এই সপ্তাহে দুদিন ও পরের সপ্তাহে আবার দুদিন বন্ধ রাখা হচ্ছে সমস্ত বাজার। সোনারপুর-রাজপুর পুর এলাকার সব বাজারই আজ-কাল ও আগামী সপ্তাহে বৃহস্পতি ও শুক্রবার  দু’দফায় বন্ধ। এই অবস্থায় মানুষকে সচেতন করতে বুধবার সকালে দক্ষিণ ২৪ পরগনার নরেন্দ্রপুরের কালীবাজারে যান সোনারপুর উত্তরের তৃণমূল বিধায়ক ফিরদৌসি বেগম। ছিলেন নরেন্দ্রপুর থানার আইসি অনির্বাণ বিশ্বাস। মাস্ক না পরায় কাউকে সতর্ক করলেন, তো কাউকে ধমক দিলেন পুলিশ আধিকারিক। ক্রমাগত তাঁকে বলতে শোনা গেল , ' আপনি কেন মাস্ক নামাচ্ছেন?' , কখনও আবার সটান দোকানদারকেই গিয়ে বললেন, 'যাঁদেরকে এরকম দেখবেন, তাঁদেরকে বলুন ঠিক করে মাস্ক পরে আসুন, না হলে বিক্রি করব না।'

আরও পড়ুন :


একলাফে রাজ্যে ৫ হাজার বেশি আক্রান্ত। দৈনিক সংক্রমণ ১৪ হাজার পার!


সংক্রমণ যাতে না ছড়ায়, সেজন্য চারদিন বন্ধ থাকছে বাজার। সোনারপুর-রাজপুর পুর এলাকার সব বাজারই দু’দফায় বৃহস্পতি ও শুক্রবার এবং সামনের সপ্তাহে সোম-মঙ্গলবার বন্ধ। সোনারপুর-রাজপুর এলাকায় পুলিশকে বারবার ঘোষণা করতে দেখা গেল, 'যত বাজার আছে, সমস্ত বাজার, সমস্ত দোকান বন্ধ থাকবে, শুধুমাত্র অত্যাবশ্যকীয় পণ্য যেগুলো, ডাক্তারের চেম্বার, ওষুধের দোকান ছাড়া বাদবাকি সমস্ত দোকান বন্ধ থাকবে এই চারদিন। সবাইকে অনুরোধ করব এটা অতি অবশ্যই আপনারা পালন করবেন। পুলিশের ভয়ে নয়, নিজেকে সুরক্ষিত, অন্যকে সুরক্ষিত রাখার জন্য মাস্ক পরুন।'


এখনও মাস্ক না পরেই পথে-ঘাটে বেরোচ্ছেন অনেকে। ক্যামেরা দেখে কেউ ব্যাগ থেকে বের করছেন মাস্ক, তো কেউ মুখ লুকোতে ব্যস্ত। এই পরিস্থিতিতে শুধু ধমকানো বা সতর্ক করাই নয়, কীভাবে মাস্ক পরতে হবে তাও শিখিয়ে দেয় পুলিশ।