জয়ন্ত রায়, দক্ষিণ ২৪ পরগনা: বিশ্বকর্মা পুজোর পরের দিনই পথ দুর্ঘটনায় প্রাণ হারালেন সরকারি বাসের চালক। শনিবার আনুমানিক সকাল সাতটা নাগাদ দক্ষিণ ২৪ পরগনার বিষ্ণুপুর থানার অন্তর্গত বাঘিরহাটে পণ্যবাহি একটি টাটা-৪০৭ গাড়ির সামনের চাকা ফেটে গেলে নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে রাস্তার ধারের একটি দোকানের মধ্যে ঢুকে যায়। ঠিক সেই সময়ে আমতলার দিক থেকে জোকার বাস ডিপোতে নিজের মোটরসাইকেল চালিয়ে তপন পোল্যে নামে বছর পঞ্চাশের ওই ব্যক্তিকে সমেত গাড়িটি দোকানে গিয়ে ধাক্কা মারলে ঘটনাস্থলেই তাঁর মৃত্যু হয়। তপনবাবুর পকেটে থাকা ড্রাইভিং লাইসেন্স দেখে জানা যায় ওনার বাড়ি মগরাহাটের মাগুরপুকুরে। পুলিশ তপন বাবুর বাড়িতে খবর দিলে ওনার ভাই মিন্টু পোল্যে ঘটনাস্থলে আসে। ঘাতক গাড়ির ড্রাইভার এবং খালাসী পলাতক রয়েছে। কিন্তু গাড়ির তলায় তপনবাবুর দেহটি এমন ভাবে আটকে আছে, যে কোনো ব্রেকডাউন ভ্যান ছাড়া তাঁর দেহটি উদ্ধার করা সম্ভব হচ্ছিল না। বিষ্ণুপুর থানার পুলিশ একটি ব্রেকডাউন ভ্যান ঘটনাস্থলে নিয়ে এসে দেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য পাঠিয়েছে।
গতকালই কানে হেডফোন লাগিয়ে বেপরোয়া গতিতে যুবককে ধাক্কা মেরেছিল এক গাড়ি চালক। বালির কাছে স্কুটারে থাকা এক ব্যাক্তিকে ধাক্কা মারেন এক মহিলা। রেল ব্রিজ টপকে ৪০ ফুট নিচে পড়ে যান ওই ব্যাক্তি। আশঙ্কাজনক অবস্থায় আহত ব্যাক্তিকে কলকাতায় নিয়ে আসা হয়। মহিলা গাড়ি চালককে আটক করেছে পুলিশ।
অন্যদিকে ব্যারাকপুরে রোডে গাড়ি দুর্ঘটনা। একটি গাড়ি নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে ধাক্কা মারে ব্যারাকপুর রোডে একজনকে ধাক্কা মেরে পালানোর চেষ্টা করে। সেই সময় স্থানীয় ২ জন বাইক নিয়ে সেই গাড়িটিকে ধরবার জন্য ধাওয়া করে। কিন্তু সেই সময় ব্যারাকপুর ছেড়ে, সারাদা মিশন রোড ধরে পালানোর চেষ্টা করে। সেই মুহূর্তে আরও ৪ জনকে ধাক্কা মারে সেই গাড়িটি। এরপর গাড়িটি নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে নবপল্লী টিউবয়েলে কাছে একটি পোস্টে ধাক্কা খেয়ে উল্টে যায়। গাড়িতে থাকা দুজন ধরা পড়ে গেলেও বাকি দুজন পলিয়ে যায়। এরপর স্থানীয় বাসিন্দারা মারধর করে ও পরবর্তীতে বারাসত পুলিশ তাদেরকে উদ্ধার করে হাসপাতাল ভর্তি করা হয়। চারজনের মধ্যে, এক আক্রান্ত মহিলা পরবর্তীতে হাসপাতালে মারা যান।