গৌতম মণ্ডল, দক্ষিণ ২৪ পরগনা: দুর্যোগের মধ্যে বঙ্গোপসাগরে (Bay of Bengal) ডুবে গেল মাছ ধরার ট্রলার। ১৪ জন মৎস্যজীবীকে উদ্ধার করা সম্ভব হলেও, ট্রলারের হদিশ মেলেনি। ইলিশ ধরতে পাথরপ্রতিমার এল-প্লট থেকে মৎস্যজীবীদের নিয়ে গতকাল FB দশভূজা নামে ওই ট্রলার। আন্তর্জাতিক জলসীমানার কাছে বাঘেরচরে সাগরে ঢেউয়ের ধাক্কায় ট্রলারের পাটাতন ভেঙে হু-হু করে জল ঢুকতে শুরু করে। প্রাণ বাঁচাতে সাগরে ঝাঁপ দেন ওই ট্রলারের ১৪ জন মৎস্যজীবী। অন্য মৎস্যজীবীরা তাঁদের উদ্ধার করেন।
ডুবে গেল মাছ ধরার ট্রলার: দুর্যোগের মধ্যে বঙ্গোপসাগরে ডুবল মাছধরার ট্রলার। গতকাল বিকেলে ঘটনাটি ঘটেছে বঙ্গোপসাগরের বাঘেরচরের কাছে। ট্রলারটিতে ১৪ জন মৎস্যজীবী ছিলেন। পাশে থাকা অন্য ট্রলারের মৎস্যজীবীরা সমুদ্র থেকে ১৪জনকে উদ্ধার করেন। প্রত্যেকেই সুস্থ আছেন বলে মৎস্যজীবী ইউনিয়ন সূত্রে জানা গেছে। তবে ডুবন্ত ট্রলারের কোন খোঁজ নেই। গতকাল সকালে পাথরপ্রতিমার এল-প্লট থেকে FB দশভূজা নামের ওই ট্রলারটি ইলিশ ধরতে বের হয়। ট্রলারটি বাঘেরচর থেকে আরও গভীরে মাছ ধরার জাল ফেলার সময় উত্তাল ঢেউয়ের জেরে পাটাতন ফেটে যায়। তারপর হুহু করে জল ঢুকতে থাকে। ডুবন্ত ট্রলার থেকে বাঁচার জন্য সাগরের জলে ঝাঁপ দেয় ১৪ জন। পাশের মৎস্যজীবীরা চিৎকার শুনে প্রত্যেককে উদ্ধার করেন। রাতেই উদ্ধার মৎস্যজীবীদের নামখানা ঘাটে ফিরিয়ে আনা হয়েছে।
গত সপ্তাহেও নিম্নচাপের জেরে গত কয়েকদিন ধরেই সমুদ্র উত্তাল ছিল। গত ২২ জুলাই কটাল ও নিম্নচাপের প্রভাবে উত্তাল সমুদ্র। সাগরে ঢেউয়ের ধাক্কায় উল্টে যায় ৩টি ট্রলার। ২ মৎস্যজীবী গুরুতর আহত হন। উদ্ধার করা হয় ৩টি ট্রলারের বাকি ২৯ জন মৎস্যজীবীকে। এরপর গত ২৯ জুলাই উত্তাল হয় সমুদ্র। সেই সময় সাগরে ঢেউয়ের ধাক্কায় ট্রলার থেকে পড়ে যান চার মৎস্যজীবী। সমুদ্রে মাছ ধরায় জারি রয়েছে নিষেধাজ্ঞা। এর মধ্যেই গত সপ্তাহের শুক্রবার কুলতলি থেকে ১৫ জন মৎস্যজীবীকে নিয়ে রওনা দেয় মা অষ্টমী ট্রলার। কেঁদো দ্বীপের কাছে ঢেউয়ের ধাক্কায় চার মৎস্যজীবী সমুদ্রে পড়ে যান। ৩ জনকে প্রাথমিকভাবে উদ্ধার করা সম্ভব হয়।
আপনার পছন্দের খবর আর আপডেট এখন পাবেন আপনার পছন্দের চ্যাটিং প্ল্যাটফর্ম হোয়াটস অ্যাপেও। যুক্ত হোন ABP Ananda হোয়াটস অ্যাপ চ্যানেলে।
আরও পড়ুন: Rampurhat Hospital: রোগী মৃত্যুর অভিযোগে রণক্ষেত্র সরকারি হাসপাতাল, গ্রেফতার ৭