কুলতলি, সুকান্ত দাস : গত মাসের গোড়াতেই সুন্দরবনের লোকালয়ে বাঘের আতঙ্ক ছড়িয়েছিল। দেখা মেলে বাঘের পায়ের ছাপ। আর এবার কুলতলির লোকালয়ে বাঘের আতঙ্ক। কুলতলি বিধানসভার অন্তর্গত মৈপিঠ কোস্টল থানার ভুবনেশ্বরী গৌড়ের চক এলাকায় জন্তুর পায়ের ছাপ ঘিরে এলাকায় শোরগোল পড়ে যায়। গ্রাম সংলগ্ন নদীর চরে বাঘের পায়ের ছাপ দেখতে পাওয়া গেছে বলে দাবি করেন গ্রামবাসী। খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পৌঁছন পুলিশ ও বন দফতরের কর্মীরা।


বন দফতরের কর্মীরা ওই এলাকায় পৌঁছে পুলিশ কর্মীদের সঙ্গে নিয়ে সব কিছু খতিয়ে দেখা শুরু করেন। সুন্দরবনের জঙ্গল থেকে নদী পেরিয়ে সত্যিই কি বাঘ লোকালয়ে সংলগ্ন জঙ্গলে এসেছিল ? সত্যিই কি সেগুলি বাঘের পায়ের ছাপ, না অন্য কোন বন্য পশুর পায়ের ছাপ তা খতিয়ে দেখছেন বন দফতরের আধিকারিকরা ।


গত মাসের গোড়ায় অর্থাৎ শীতের শুরুতেই সুন্দরবনের লোকালয়ে বাঘের আতঙ্ক ছড়ায়। দেখা মেলে বাঘের পায়ের ছাপের। দক্ষিণ ২৪ পরগনার পাথরপ্রতিমার গোবর্ধনপুর উপকূল থানার এল-প্লট শ্রীধরনগর এলাকায় ঠাকুরাইন নদীর পাড়ে বাঘের পায়ের ছাপ দেখতে পেলেন স্থানীয় বাসিন্দারা। নিমেষেই বাঘের আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে গোটা এলাকায়। খবর দেওয়া হয় বনদফতর ও পুলিশকে। পাশাপাশি জঙ্গল ও নদী তীরবর্তী লোকালয় নাইলনের জাল দিয়ে ঘিরে ফেলা হয়। যাতে বাঘ কোনভাবেই লোকালয়ে ঢুকতে না পারে। 


কিন্তু এ তো গেল লোকালয়ের বাঘের আতঙ্ক। তবে এই জেলারই কিছু মানুষের, প্রাণ হাতে করে মাছ ধরতে যেতে হয়। প্রসঙ্গত, গত কয়েক বছরে একের পর এক মৃত্যুর ঘটনা ঘটেই চলেছে সুন্দরবনে। বেশিরভাগ ক্ষেত্রেই কাঁকড়া ধরতে গিয়ে বাঘের হামলায় প্রাণ হারাচ্ছেন মৎসজীবীরা। কখনও লুকিয়ে বন দফতরের নিষেধ অমান্য করে গভীর জঙ্গলে পেটের জ্বালায়, প্রাণের ঝুঁকি নিয়ে, দুটো পয়সা রোজগারের আশায় পাড়ি দেয় মৎসজীবীদের দল। আর তাতেই নিমেষে সব শেষ !


এদিকে দিনকয়েক আগেই মরশুমের শুরুতেই ফের রয়্যাল বেঙ্গল টাইগারের (Royal Bengal Tiger) দর্শন পান পর্যটকরা । সুন্দরবনের পিরখালি জঙ্গলের বিকাল পাঁচটা নাগাদ বাঘটিকে দেখা যায়। কলকাতা থেকে সুন্দরবন বেড়াতে আসা একদল পর্যটক বিকেলে তার দর্শন পান। সুন্দরবন ব্যাঘ্র প্রকল্প এলাকার পিরখালি এলাকায় নদীবক্ষে ভ্রমণের সময় একটি বাঘকে নদী সাঁতরে এক জঙ্গল থেকে আরেক জঙ্গলে যেতে দেখেন তাঁরা। সঙ্গে সঙ্গে মোবাইলে ক্যামেরা বন্দি করেন তাঁরা।