রঞ্জিত হালদার, বারুইপুর: দক্ষিণ ২৪ পরগনার বারুইপুরে লাফিয়ে বাড়ছে করোনা সংক্রমণ। কিন্তু ফিরছে না হুঁশ। এদিন ধরপাকড়ে নামে বারুইপুর পুলিশে। মাস্ক ছাড়া বাইরে বেরোই কড়া ব্যবস্থা। বারুইপুর পুলিশের হাতে গ্রেফতার ২০। সকাল থেকে দোকান বাজার বন্ধ থাকলেও ,মাস্ক ছাড়া অনেকেই দেখা যায়। কেন মাস্ক ছাড়া বাইরে? প্রশ্ন করলেই অজুহাত। বারুইপুর আই সির নেতৃত্বে এই ধরপাকড় চলে। কিছু দোকানও বন্ধ করা হয়। সাইকেল ও বাইকের চাবি ও কেড়ে নেওয়া হয়।


সংক্রমণের শঙ্খল ভাঙতে এই পরিস্থিতিতে প্রতি সপ্তাহে বৃহস্পতি ও শুক্রবার বাজার, দোকান বন্ধ রাখার সিদ্ধান্ত নিয়েছে প্রশাসন। বারুইপুর পুরসভা এলাকা ছাড়াও বারুইপুর ব্লকের ১৯টি গ্রাম পঞ্চায়েত এলাকায় অনির্দিষ্টকালের জন্য সপ্তাহে ২ দিন বাজার, দোকান বন্ধ থাকবে। এলাকায় সংক্রমণ হ্রাসের কোনও লক্ষণ মেলেনি এখনও সামাজিক দূরত্ববিধির বালাইও। তাতেই আবারও বাজার বন্ধের সিদ্ধান্ত নিয়েছে প্রশাসন। কোভিড বিধি কার্যকর করতে বারুইপুরে এদিন বিশেষ ভাবে তৎপর হয়েছে পুলিশ। বাজার এবং জনবহুল এলাকাগুলিতে কোভিডবিধি (COVID Protocols) সঠিক ভাবে পালন হচ্ছে কি না দেখতে, নজরদারি চলছে।  কিন্তু তাতেও চরম দায়িত্বজ্ঞানহীনতার ছবি উঠে আসছে। দিকে দিকে অসচেতনতার ছবি ধরা পড়েছে। বাজার সংলগ্ন এলাকায় তো বটেই, বাজারের মধ্যেও ক্রেতা-বিক্রেতাদের অনেককে মাস্ক না পরে থাকতে দেখা যায়। 


এর আগে, গত সপ্তাহেও দু’দিন বাজার বন্ধ রাখার সিদ্ধান্ত নিয়েছিল বারুইপুর প্রশাসন। সে বারও বৃহস্পতি এবং শুক্রবার বাজার বন্ধ রাখা হয়। এ ছাড়াও মাইকে চালান হয় সচেতনতামূলক প্রচার। বাড়ি এবং এলাকাভিত্তিক মাইক্রো কনটেনমেন্ট জন গড়ে তোলা হয়। শুধু দক্ষিণের এই জেলাই নয় উত্তরের জলপাইগুড়িতেও বিধি জারি করা হয়েছে। মোকাবিলায় আজ থেকে এলাকাভিত্তিক দোকান, বাজার বন্ধ রাখার সিদ্ধান্ত নিয়েছে জলপাইগুড়ি পুরসভা (Jalpaiguri Municipality)। আজ বন্ধ রয়েছে দিনবাজার, মার্চেন্ট রোড, ইন্দিরা কলোনি, বিডিও অফিস এলাকা, রায়কত পাড়া, হাসপাতাল পাড়া ও বেগুনটারির সমস্ত ব্যবসা বন্ধ।