দক্ষিণ ২৪ পরগনা: আরজি কর মামলার রায়ের দিনেই ফের প্রকাশ্যে এল মর্মান্তিক ঘটনা। বাসন্তীতে অষ্টম শ্রেণির ছাত্রীকে 'ধর্ষণ' করে খুন। ১২দিন ধরে নিখোঁজ ছাত্রীর দেহ উদ্ধার এলাকাতেই! মাঠের মধ্যে দেহ পুঁতে রাখা ছিল, দাবি স্থানীয়দের ।'পরিচিত এক যুবক ডেকে নিয়ে যাওয়ার পর থেকেই নিখোঁজ'। ছাত্রীকে ধর্ষণ করে খুনের অভিযোগ পরিবারের। দেহ উদ্ধারে পুলিশ গেলে স্থানীয়দের বিক্ষোভ।
আজ সোমবার ছিল আরজি কর মামলার রায় ঘোষণার দিন। ইতিমধ্যেই হয়ে গিয়েছে বহু প্রতীক্ষিত রায় ঘোষণা। আর যেখানে দাঁড়িয়ে গোটা রাজ্য তথা দেশ যুজছে, যাতে এমন অপরাধ ফিরে না আসে। অথচ এমন একদিনেই ফের সামনে এল মর্মান্তিক ঘটনার খবর। এদিন এক নাবালিকা স্কুল ছাত্রীর দেহ উদ্ধার হয়েছে, দক্ষিণ ২৪ পরগনার বাসন্তীতে। জেলা পুলিশ সুপারিনটেনডেন্ট পলাশ চন্দ্র ঢালি জানিয়েছেন, গত ৯ জানুয়ারি থেকে নিখোঁজ ছিল ওই অষ্টম শ্রেণীর ছাত্রী। ১২ জানুয়ারির পর মেয়ের কোনও খোঁজখবর না পেয়ে, নিখোঁজের ডাইরি করে নির্যাতিতার পরিবার। ইতিমধ্যেই ওই নিখোঁজ ছাত্রীর দেহ উদ্ধার হয়েছে। নির্যাতিতার পরিবারের অভিযোগের বয়ান অনুযায়ী, তদন্তে শুরু করেছে পুলিশ। ইতিমধ্যেই মৃতার দেহ ময়নাতদন্তে পাঠানো হয়েছে, বলেই জানিয়েছেন তিনি।
সূত্রের খবর, নির্যাতিতার পরিবারের তরফে নিখোঁজের ডাইরি পাওয়ার পরেই, ওই ছাত্রীর খোঁজে নেমে পড়েছিল পুলিশ। পুলিশ সূত্র জানিয়েছে, 'সোমবার সন্ধ্যায় আমরা খবর পাই যে, নির্যাতিতাকে তাঁর বাড়ির কাছের মাঠে আড়াল করে রাখা হয়েছে।' খবরটা সত্যি হয়। শেষ অবধি ওই অষ্টম শ্রেণীর ছাত্রীর খোঁজ মেলে। তবে জীবিত নয়, মৃত অবস্থায়। পুলিশ সূত্রে খবর, মাটি খুঁড়ে ওই ছাত্রীর দেহ পুঁতে রাখা হয়েছিল। এরপর সেখান থেকে উদ্ধার করা হয়। নির্যাতিতার পরিবার জানিয়েছে, ৯ জানুয়ারি, এলাকার এক পরিচিত যুবক, তাঁদের মেয়েকে ডাকতে এসেছিল। তার ডাকে সাড়া দিয়ে চলে যাওয়ার পর, আর ফেরেনি মেয়ে। পরিবারের কথা, তখন থেকেই ও নিখোঁজ। আমরা সন্দেহ করছি, আমাদের মেয়েকে গণধর্ষণ করে খুন করা হয়েছে।' দোষীদের খুঁজে বার করে শাস্তির দাবি জানিয়েছে পরিবার।
(খবরটি সম্প্রতি ব্রেক করা হয়েছে। বিস্তারিত কিছুক্ষণ পরই দেওয়া হচ্ছে। একটু পরে রিফ্রেশ করুন। জেলা থেকে শহর, দেশ, বিদেশ, বিনোদন থেকে খেলা, বিজ্ঞান থেকে প্রযুক্তি সহ অন্যান্য সমস্ত খবরের আপডেটের জন্য দেখতে থাকুন এবিপি আনন্দ ও এবিপি লাইভ)