গৌতম মন্ডল, দক্ষিণ ২৪ পরগনা: নিয়োগ-দুর্নীতি মামলার (Recruitment Scam) মধ্যে সরকারি চাকরি দেওয়ার নাম করে লক্ষ লক্ষ টাকার প্রতারণাকাণ্ডের (Fraud Case) পর্দা ফাঁস। এবার চক্রের হদিশ পেল পুলিশ (Police)।
নিজেকে 'জয়েন্ট বিডিও' পরিচয়
গত কয়েক মাস ধরে নিজেকে 'জয়েন্ট বিডিও' পরিচয়ে দক্ষিণ ২৪ পরগনার কুলপির রমজাননগর এলাকার বেশ কয়েকজন যুবককে সরকারি চাকরির টোপ দেয় অভিযুক্ত। এবার সাড়ে ৬ লক্ষ টাকা প্রতারণার অভিযোগে গ্রেফতার করা হল ডায়মন্ড হারবারের বোলসিদ্ধির বাসিন্দা আক্রাম ওরফে মুন্নাফ মোল্লাকে। গতকাল কুলপির রমজাননগর এলাকার বেশ কয়েকজন আটকে রাখে প্রতারক মুন্নাফকে। এরপর খবর পেয়ে আর দেরি করেনি কুলপি থানার পুলিশ। গ্রেফতার করা হয় মুন্নাফকে।
'প্রতারণাচক্রের জাল অনেক গভীরে'
রাতে রমজাননগর এলাকার দুই বাসিন্দা হকসান মোল্লা ও শরিফ নস্কর কুলপি থানায় অভিযোগ দায়ের করেন। দু’জনকে সরকারি চাকরির টোপ দিয়ে প্রায় ৬ লক্ষ টাকা নেয় মুন্নাফ। মুন্নাফ, নিজেকে ডায়মন্ড হারবারের 'জয়েন্ট বিডিও' বলে পরিচয় দিয়েছিল প্রতারিতদের কাছে। প্রতারিতরা দু’মাস কাজও করেছিলেন বলে পুলিশকে জানিয়েছেন। দশ হাজার টাকা করে বেতনও পান। এই প্রতারণাচক্রের জাল অনেক গভীরে বলে অনুমান পুলিশের। ধৃতকে আজ ডায়মন্ড হারবার মহকুমা আদালতে পেশ করা হবে। নিজেদের হেফাজতে নিয়ে চক্রের বাকিদের সন্ধান চালাবে।
আরও পড়ুন, 'সবাই যুক্ত জানলেন কী করে ?' নৌশাদের মামলায় বিচারপতির প্রশ্নবাণে বিদ্ধ রাজ্য
নিয়োগ দুর্নীতি মামলা
প্রসঙ্গত, রাজ্যে নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় গতবছর থেকেই একের পর এক নতুন নাম উঠে আসছে। তবে দিলীপ ঘোষের কথায়, 'কান,হাত, পা আর কতদিন ধরা হবে, মাথা কেন ধরা হচ্ছে না। 'এবার কথা হচ্ছে 'মাথাটা' তাহলে কে ? যদিও প্রকৃত নাম না নিলেও বিরোধীদের মুখে বারবার নানা ভিন্ন নামে সেই 'মাথাদের' নাম উঠছে। এদিকে একের পর এক গ্রেফতারে, যার জেরে চাপও বেড়েছে শাসকদলের। তবে নিয়োগ দুর্নীতিতে যাদেরকেই গ্রেফতার করা হচ্ছে, তাদেরকে প্রথমে একা জেরা করা হচ্ছে। পরে বাকি ধৃতদের সঙ্গে বসিয়ে মুখোমুখি জেরা করা হচ্ছে। আর এই জেরার ভিন্নমুখী প্যাটার্নই কাজ করছে, আঁতস কাচে পড়া রোদের মতো। আলোকরশ্মি একমুখী হয়ে জ্বালা ধরাচ্ছে। সেখানেই উঠে আসছে ফের নতুন নাম। তবে এবারের উঠে আসা নামগুলিতে নয়া ফিউশন।