রঞ্জিত হালদার, দক্ষিণ ২৪ পরগনা: রাস্তার উন্নয়নের দোহাই দিয়ে সরকারে কাছ থেকে টাকা আদায় এবং ৩০ লক্ষ টাকা আত্মসাতের অভিযোগে সরগরম সোনারপুর।  সেখানে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্য়ায় যে রাস্তার উদ্বোধন করেন (Pathashree Abhijan), সেই রাস্তার উন্নয়নের নাম করেই লক্ষ লক্ষ টাকার দুর্নীতি হয়েছে বলে অভিযোগ। বিষয়টি নিয়ে তদন্তের নির্দেশ দিয়েছেন জেলাশাসক।


পথশ্রী প্রকল্প থেকে টাকা আত্মসাতের অভিযোগ


সোনারপুর (Sonarpur News) ব্লকের প্রতাপনগর গ্রাম পঞ্চায়েতের ঘটনা। শিশুমঙ্গল পিএফ স্কুল থেকে প্রসাদপুর মেইন রোড পর্যন্ত ২৪৩০ স্কোয়্যার মিটার রাস্তা নির্মাণের বরাত দেওয়া হয়। তার জন্য ধার্য করা হয় ৩০ লক্ষ টাকা। কাজ শুরুর আগে ২০২০ সালের অক্টোবরে রাস্তাটির শিলান্যাস করেন সোনারপুর দক্ষিণ বিধানসভা কেন্দ্রের তৎকালীন বিধায়ক জীবন মুখোপাধ্যায়। 


কিন্তু তার পর থেকে কাজ একটুই এগোয়নি বলে অভিযোগ। এলাকাবাসীর দাবি, পুরো রাস্তাটি ঝামা-ইট দিয়ে তৈরি হবে বলে ঠিক হয়েছিল। নির্মাণকার্য শুরু আগে রাস্তার পাশে কিছু ইট পড়লেও, কাজ এগোয়নি একেবারেই। রাস্তাটির পরিস্থিতি একটাই খারাপ যে, তার উপর দিয়ে যাতায়াতে সমস্যা হয় বলে জানান তাঁরা। এলাকাবাসীর অভিযোগ, সরকারের বরাদ্দ টাকা স্থানীয় নেতারা আত্মসাৎ করে নিয়েছেন। 


আরও পড়ুন: Howrah News: বাতিস্তম্ভে হাত লেগে মৃত্যু তরুণীর, বর্ষায় ত্রিফলা বিদ্য়ুৎবিচ্ছিন্ন করার ভাবনা হাওড়ায়


এ নিয়ে প্রশ্ন করলে পঞ্চায়েত প্রধান তাপসী মণ্ডল জানান, তিনি কম লেখাপড়া কম জানেন। যা কাগজ দেওয়া হয় তাঁকে, তাতেই সই করে দেন। এই অঞ্চলের সভাপতি এবং ব্লক পূর্ত কর্মাধ্যক্ষ দিলীপ ঢালির দাবি, পঞ্চায়েতের সরকারি কাজে তিনি নাক গলান না। উদ্দেশ্যপ্রণোদিত ভাবে তাঁর নাম জড়ানো হচ্ছে। তিনি এর সঙ্গে কোনও ভাবে যুক্ত নন।


তৃণমূলকে কটাক্ষ বাম-বিজেপি-র


এই ঘটনায় শাসকদলকে কটাক্ষ করেছেন সোনারপুরের বাসিন্দা তথা সিপিএম-এর কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য সুজন চক্রবর্তী। তিনি বলেন, "কাগজে কলমে যা আছে, বাস্তবে তা নেই। সারা রাজ্য জুড়েই এই ভাবে লোপাটের রাজনীতি চলছে বলে।"  বিজেপি-র সর্বভারতীয় সহ সভাপতি দিলীপ ঘোষ বলেন, "রাজ্যে একাধিক রাস্তা, পুকুরে এই উদাহরণ রয়েছে। দুর্নীতি চরম পর্যায়ে পৌঁছে গিয়েছে। আমরা তথ্য সহ কেন্দ্রীয় সরকারের কাছে পৌঁছে দিয়েছি। আমরা চাই আগে রাজ্য হিসাব দিক, তার পর টাকা দেওয়া হবে।"