পূর্ণেন্দু সিংহ, বিটন চক্রবর্তী ও রাজীব চৌধুরী: শুক্রবারও পরিবহণ কর্মীদের (Transport) আন্দোলনের জেরে চরম ভোগান্তির শিকার যাত্রীরা। স্থায়ীকরণ, সমকাজে সমবেতন-সহ একাধিক দাবিতে আন্দোলন চালাচ্ছেন দক্ষিণবঙ্গ রাষ্ট্রায়ত্ত পরিবহণ সংস্থার (South Bengal State Transport Corporation) অস্থায়ী কর্মীরা। এই নিয়ে তুঙ্গে উঠেছে রাজনৈতিক চাপানউতোর।
কুর্মিদের লাগাতার ট্রেন অবরোধ: একদিকে কুর্মিদের লাগাতার ট্রেন অবরোধে চরম ভোগান্তিতে যাত্রীরা। অন্যদিকে দক্ষিণবঙ্গ রাষ্ট্রীয় পরিবহণ সংস্থার অস্থায়ী কর্মীদের কর্মবিরতির জেরে, ঘণ্টার পর ঘণ্টা অপেক্ষার পরেও মিলছে না বাস। গত দুদিনের পর শুক্রবারও ছবিটা বদলাল না। এদিনও জেলায় জেলায় তৃণমূলের শ্রমিক সংগঠন INTTUC-র পতাকা নিয়ে কর্মবিরতি চালিয়ে গেলেন SBSTC-র অস্থায়ী কর্মীরা। আন্দোলনকারীদের দাবি, স্থায়ীকরণ, সম কাজে সম বেতন, সবেতন ছুটি মঞ্জুর, মাসে অন্তত ২৬ দিনের কাজ। আর এই লাগাতার কর্মবিরতির জেরে চরমে উঠেছে যাত্রী হয়রানি। বাঁকুড়ার SBSTC ডিপো থেকে একাধিক রুটে বাস চলাচল করে। কিন্তু অস্থায়ী কর্মীদের অবস্থান বিক্ষোভের জেরে ৩টি বাস ছাড়া ডিপো থেকে আর কোনও বাস বের হয়নি। বর্ধমানে SBSTC-র ডিপোতে অবস্থান বিক্ষোভ জারি রেখেছেন অস্থায়ী কর্মীরা। যার জেরে মিলেছে না পর্যাপ্ত বাস। বহরমপুরে অস্থায়ী পরিবহণ কর্মীদের আন্দোলনের ফলে একাধিক রুটে দক্ষিণবঙ্গ রাষ্ট্রীয় পরিবহণ সংস্থার বাস পরিষেবা সম্পূর্ণ বন্ধ রয়েছে। দাবি না মানলে অনির্দিষ্টকালের জন্য ধর্মঘটে নামার হুঁশিয়ারি দিয়েছেন আন্দোলনকারীরা।b বহরমপুর আন্দোলনকারী এক অস্থায়ী বাসকর্মী জানিয়েছেন, “দাবি না মানলে অনির্দিষ্টকাল ধর্মঘট হবে।’’
কর্মবিরতিতে ভোগান্তির শিকার যাত্রীরা: একদিকে যখন বাসকর্মীরা নিজেদের দাবিতে অনড়, তখন অন্যদিকে, এভাবে লাগাতার কর্মবিরতি চলায় মারাত্মক ভোগান্তির শিকার হচ্ছেন সাধারণ মানুষ। একই ছবি ধরা পড়েছে পূর্ব মেদিনীপুরের হলদিয়ায় সরকারি ডিপোতে। সেখানেও অস্থায়ী কর্মীদের কর্মবিরতির জেরে বন্ধ ১৬টি রুটের বাস। তমলুকের আইএনটিটিইউসি সভাপতি শিবনাথ সরকার বলেন, “আইএনটিটিইউসি পতাকা নিয়ে আন্দোলন করছে, এটা ঠিক নয়। বিরোধীরা ঘোলা জলে মাছ ধরছে।’’ ভারতীয় মজদুর সঙ্ঘরে রাজ্য সহ সভাপতি প্রদীপ বিজলির অভিযোগ, “রাজ্য মেলা খেলায় টাকা দিচ্ছে। শ্রমিকদের নিয়ে মাথা ব্যথা নেই। কুর্মি সম্প্রদায়ের টানা অবরোধের জেরে রাজ্যের পশ্চিমাঞ্চলে রেল ও বাস পরিষেবা প্রায় বন্ধ। গোদের ওপর বিষ ফোঁড়ার মতো আরেক শোচনীয় অবস্থা তৈরি করেছে বাস কর্মীদের কর্মবিরতি।
আরও পড়ুন: Kurmi Protest: কুর্মিদের রেল ও সড়ক অবরোধ ৮০ ঘণ্টা পার, সরকারের সঙ্গে বৈঠকে নারাজ বিক্ষোভকারীরা