মুন্না অগ্রবাল, দক্ষিণ দিনাজপুর: স্টেশন চত্বর থেকে উদ্ধার মহিলার ক্ষতবিক্ষত দেহ। ঘটনাটি ঘটেছে বালুঘাট রেল স্টেশন সংলগ্ন এলাকায়। বুধবার সকালে রেললাইনের নির্জন এলাকায় একটি কালভার্টের নিচ থেকে দেহটি উদ্ধার হয়েছে, স্থানীয়রা দেহ দেখতে পেয়ে পুলিশে খবর দেন। খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে আসে বালুরঘাট থানার পুলিস ও জিআরপি। এরপরেই চাঞ্চল্য ছড়ায়। প্রাথমিক তদন্তের পর পুলিশ জানিয়েছে উদ্ধার হওয়া ওই মহিলার নাম পাতা বর্মন, বয়স ৩৮। বোয়ালদার এলাকার বাসিন্দা ওই মহিলা।  


পরিবারের দাবি, গতকাল বিকেলে ভ্যাকসিন নিতে বেরিয়ে  আর বাড়ি ফেরেনি ওই মহিলা। খোঁজ শুরু করেন পরিবারের সদস্যরা। আজ সকালে পুলিশ মারফত খবর পান যে, বোয়ালদার এলাকায় দেহ পাওয়া গিয়েছে। পরিবারের দাবি খুন করা হয়েছে পাতা বর্মনকে।


স্থানীয়রা জানিয়েছেন ওই মহিলার দেহ এতটাই ক্ষতবিক্ষত ছিল যে তাতে অনুমান, ধারাল অস্ত্র বা পাথর দিয়ে ওই মহিলাকে কার্যত থেঁতলে খুন করা হয়েছে। তবে কী ভাবে মৃত্যু তা এখনও স্পষ্ট নয়। বালুরঘাট থানার পুলিস ও জিআরপি দেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য বালুরঘাট জেলা হাসপাতালে পাঠিয়েছে। ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে বালুরঘাট থানা ও রেল পুলিশ।


১১ অগাস্ট সাত সকালে  এক যুবকের ক্ষতবিক্ষত মৃতদেহ উদ্ধার ঘিরে তীব্র চাঞ্চল্য ছড়ায় বাঁকুড়ার কোতুলপুর থানা এলাকার পানুয়া-ডোমপাড়া গ্রামে। পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে মৃতের নাম শেখ মনিরুল (৩৬)। বাড়ি জয়পুর থানার দৌলতচক গ্রামে। এই ঘটনায় কিছুটা হতবাকও এলাকাবাসী। কেন এই খুন তা স্পষ্ট হয়নি।


তবে স্থানীয়দের একাংশের দাবি, ১০ অগাস্ট রাতে কোতুলপুর থানার এক সিভিক ভলান্টিয়ার টুবাই চক্রবর্ত্তীর সঙ্গে জয়পুরের দৌলতচক গ্রামের শেখ মনিরুলের টাকা-পয়সা নিয়ে ঝামেলা সৃষ্টি হয়। আর এই ঘটনার জেরেই মদ খাইয়ে ঐ সিভিক ভলান্টিয়ার ছুরি দিয়ে শেখ মনিরুলকে খুন করেছে বলে অনুমান গ্রামবাসীদের। এই ঘটনার পরই এলাকায় ব্যাপক চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে।


বুধবার সকালেই কোতুলপুর থানার পুলিশ পানুয়া-ডোমপাড়া থেকে মৃতদেহটি উদ্ধার করেছে। স্থানীয়রা এই খুনের ঘটনার পূর্ণাঙ্গ তদন্ত ও  অভিযুক্তদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবিতে সরব হয়েছেন। পুলিশ সূত্রে পাওয়া খবরে জানা গেছে এই ঘটনায় এখনও পর্যন্ত কোনো লিখিত অভিযোগ দায়ের হয়নি।