মুন্না আগরওয়াল, দক্ষিণ দিনাজপুর: সারের দামে কালোবাজারির অভিযোগ পেয়ে দক্ষিণ দিনাজপুরের (South Dinajpur) কুশমণ্ডি ব্লকে একাধিক দোকানে হানা দিলেন সরকারি আধিকারিকরা (Government employee)। কথা বললেন ক্রেতা এবং বিক্রেতা দুপক্ষের সঙ্গে। প্রশাসন সূত্রে খবর, সারের দাম বেশি নেওয়ায় এক ব্যবসায়ীকে শোকজ (Showcause) করা হয়েছে।
আচমকা সারের দোকানে হাজির জয়েন্ট বিডিও (Joint BDO)! তাঁর সঙ্গে কৃষি দফতরের কয়েক জন আধিকারিক। দোকানে ঢুকে খতিয়ে দেখছেন সার বিক্রির রশিদ। ঘুরে দেখছেন গোডাউনের স্টক।
শনিবার এমনই দৃশ্য দেখা যায় দক্ষিণ দিনাজপুরের (South Dinajpur) কুশমণ্ডি ব্লকের চৌরঙ্গী, মহিপাল, বড়গচির মতো একাধিক এলাকায়। নির্ধারিত দামের চেয়ে কৃষকদের কাছ থেকে সারের দাম বেশি নেওয়া হচ্ছে। এমন অভিযোগ পেয়ে দোকানে হানা দেন সরকারি আধিকারিকরা।
সরকারি আধিকারিক বলছেন, 'সারের একটা নির্দিষ্ট রেট আছে। ওই রেটেই মাল কিনবে। যদি কোনও দোকানদার না দেয়, অফিসে কমপ্লেন করবে।' জয়েন্ট বিডিও (Joint BDO) রোহন বিশ্বকর্মার কথায়, ওরা এমআরপি-র থেকে বেশি দাম নিচ্ছে। এটা আইন বিরোধী। এমন হওয়া উচিৎ নয়। শোকজ করা হবে।
কুশমণ্ডি (Kushmundi) সার বিক্রেতা কৃষ্ণগোপাল বসাক বলছেন, গভর্নমেন্ট সাপ্লাই কম আছে। অনেকেই বাইরে থেকে এনে বিক্রি করছে। তার ক্যারিং কস্টটা লেগে যাচ্ছে। ওনারা স্টক সেল দেখে গেলেন। যেটা বাইরে থেকে মাল আনতে হচ্ছে, ক্যারিং কস্টের জন্য দাম বেশি পড়ে যাচ্ছে।
প্রশাসন সূত্রে খবর, সারের দাম বেশি নেওয়ায় এক ব্যবসায়ীকে শোকজ করা হয়েছে। কুশমণ্ডি ব্লকে এই ধরনের অভিযান আরও চলবে বলে প্রশাসনের তরফে জানানো হয়েছে।
উল্লেখ্য, বাড়িতে পণের দাবিতে ফের গৃহবধূকে (Housewife) খুনের (Murder) অভিযোগ। শ্বশুরবাড়ির বাড়তি অর্থের লালসা বীরভূমে (Birbhum) এক গৃহবধূর প্রাণ কাড়ল বলে অভিযোগ। ওই গৃহবধূকে খুনের অভিযোগ উঠল তাঁর শ্বশুরবাড়ির লোকজনের বিরুদ্ধে। এই ঘটনা ঘটেছে বীরভূমের লাভপুরের কুরুন্নাহার গ্রামে।
জানা গেছে, গত সাত মাস আগে বীরভূমের লাভপুরে কাজীপাড়ার সিহিনা খাতুনের বিয়ে হয় কাজীপাড়ারই কিছু দূরে কুন্নাগার গ্রামের মনোজ শেখের সঙ্গে।
মৃত মহিলার বাবার বাড়ির লোকেদের অভিযোগ, বিয়ের পর থেকেই তাঁদের মেয়ের ওপর নানা জিনিসপত্র দাবি করে অত্যাচার চালাত তার শ্বশুর বাড়ির লোকজনেরা। এমনকি কিছুদিন আগে তাঁরা সিহিনার স্বামীকে একটি মোটর বাইকও কিনে দিয়েছিলেন। কিন্তু শ্বশুরবাড়ির লোকজনের চাহিদা এতেও পূর্ণ হয়নি। তারপরও বন্ধ হয়নি তাঁদের মেয়ের উপর শারীরিক অত্যাচার। প্রায় সময়ই তাঁর মেয়েকে মারধর করা হত বলে অভিযোগ জানিয়েছেন পরিবারের সদস্যরা।