সুকান্ত মুখোপাধ্যায়, অনির্বাণ বিশ্বাস: আদালতে আবেদন জানিয়ে পার্থ চট্টোপাধ্যায়কে হেফাজতে নিয়েছে আগেই। হেফাজতে মধ্যশিক্ষা পর্ষদের প্রাক্তন সভাপতি কল্যাণময় গঙ্গোপাধ্যায়ও। এক বার ফের এসএসসি-র প্রাক্তন উপদেষ্টা শান্তিপ্রসাদ সিন্‍হাকে (Shanti Prasad Sinha) হেফাজতে নিল কেন্দ্রীয় গোয়েন্দা সংস্থা (CBI)। নবম-দশমের শিক্ষক নিয়োগে দুর্নীতি মামলায় (SSC Recruitment Scam) হেফাজতে নেওয়া হয়েছে শান্তিপ্রসাদকে। ২২শে সেপ্টেম্বর পর্যন্ত তাঁর CBI হেফাজতের নির্দেশ দিয়েছে আলিপুরের বিশেষ সিবিআই আদালত।


ফের শান্তিপ্রসাদকে হেফাজতে পাঠাল আদালত


গ্রুপ-সি নিয়োগ মামলায় শান্তিপ্রসাদকে গ্রেফতার করা হয়েছিল। গত ৯ সেপ্টেম্বর তাঁকে নবম-দশমের শিক্ষক নিয়োগ মামলায় হেফাজতে নেয় সিবিআই। সাত দিনের হেফাজত শেষে শনিবার আদালতে তোলা হয় তাঁকে। সেখানে হেফাজতের মেয়াদ বৃদ্ধি করতে সিবিআই-এর আইনজীবী জানান,  নবম-দশমের শিক্ষক নিয়োগ মামলায় যে এফআইআর দায়ের করা হয়, তাতে শান্তিপ্রসাদের নাম ছিল। তাঁকে আরও জিজ্ঞাসাবাদ করা প্রয়োজন। দুর্নীতিতে শান্তিপ্রসাদের সরাসরি যোগ রয়েছে বলেও দাবি করেন তিনি। 


আরও পড়ুন: BJP : "মুখ্যমন্ত্রীর ভাইপোর কথায় ক্ষমতার দম্ভ", অভিষেকের ‘গুলি’ মন্তব্যকে হাতিয়ার বিজেপির কেন্দ্রীয় দলের


এ দিন আদালতে সিবিআই-এর আইনজীবী জানান, নবম-দশমের শিক্ষক নিয়োগে বিপুল টাকার লেনদেন হয়েছে। সেই টাকার ভাগ পৌঁছে যেত প্রভাবশালীদের কাছেও। কার কার কাছে টাকা যেত, কত জনকে নিয়োগ করা হয়েছে, তা জানতেই শান্তিপ্রসাদকে হেফাজতে রাখা প্রয়োজন। 


একই সঙ্গে শান্তিপ্রসাদ তদন্তে অসহযোগিতা করছেন বলেও অভিযোগ করে সিবিআই। তা নিয়ে যদিও বিচারকের ভর্ৎসনার মুখে পড়ে সিবিআই। এতদিনেও কেন কথা বার করা গেল না, প্রশ্ন করেন বিচারক। বেআইনি ভাবে নিযুক্ত হওয়া শিক্ষিকদের জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়েছে কি না জানতে চান বিচারক। জবাবে তদন্তকারী অফিসার জানান, এখনও তা করা হয়নি। 


পার্থ-কল্যাণময়কে মুখোমুখি জিজ্ঞাসাবাদ করতে পারেন গোয়েন্দারা


এ দিন আদালতে যে কোনও শর্তে শান্তিপ্রসাদের জামিনের আর্জি জানিয়েছিলেন তাঁর আইনজীবী। শান্তিপ্রসাদ অসুস্থ, শরীর ভাল যাচ্ছে না বলে আদালতে জানিয়েছিলেন। তবে শেষমেশ তাঁকে ফের হেফাজতেই পাঠায় আদালত। এ দিকে, নিয়োগ দুর্নীতি কাণ্ডে পার্থ এবং কল্য়াণময়কে মুখোমুখি জিজ্ঞাসাবাদ করা হতে পারে বলে গোয়েন্দা সূত্রে জানা গিয়েছে। তবে পার্থই নিয়োগ দুর্নীতি কাণ্ডের মূলচক্রী, তাঁর বিরুদ্ধে তথ্যপ্রমাণ কিন্তু অন্য কথা বলছে বলে দাবি সিবিআই সূত্রে। পার্থ নিজেকে নির্দোষ তিনিই আসলে  'মাস্টারমাইন্ড', তদন্তে নেমে কেন্দ্রীয় গোয়েন্দারা এমনটাই মনে করছেন বলে সূত্রের খবর।