কলকাতা: একাদশ-দ্বাদশে শিক্ষক নিয়োগে দুর্নীতির অভিযোগেও এবার সিবিআই (CBI)। রাষ্ট্রবিজ্ঞানে শিক্ষক নিয়োগে সিবিআই তদন্তের নির্দেশ হাইকোর্টের (Highcourt)। এদিকে, ‘মেধা তালিকায় না থেকেও চাকরি পেয়েছেন মন্ত্রীর মেয়ে’, এমনই গুরুতর অভিযোগ উঠেছে। আজ রাত ৮টার মধ্যে পরেশ অধিকারীকে (Paresh Adhikari) জিজ্ঞাসাবাদ করার নির্দেশ দিয়েছে হাইকোর্ট। পরেশ অধিকারীকে মন্ত্রিত্ব থেকে সরিয়ে দিতে রাজ্যপাল-মুখ্যমন্ত্রীকে সুপারিশ। মেধা তালিকায় না থেকেও কোচবিহারের (Coochbehar) স্কুলে চাকরি পাওয়ার অভিযোগ। এই প্রেক্ষিতে সরব হয়েছে বাম নেতা সুজন চক্রবর্তী (Sujan Chakraborty)।
তিনি বলেন, "চাকরি নিয়ে তো গোটা রাজ্যতেই কেলেঙ্কারি চলছে। মেধাতালিকাকে তছনছ করে দেওয়া হচ্ছে। কোনও মূল্য নেই এসব মেধাতালিকা প্রকাশের। শিক্ষামন্ত্রী, শিক্ষাপ্রতিমন্ত্রী তো এখন কমিটিও বাতিল করেছে যাতে সঠিকভাবে দুর্নীতি করা যায়। এখানে পরীক্ষায় পাশ করলে চাকরি নেই, পরীক্ষায় ফেল করলে চাকরি পাবে। শিক্ষা প্রতিমন্ত্রীর মেয়ে বলেই চাকরি পেয়েছেন। রাজ্যের পুলিশ আর কি করবে। এত কিছু করেও তো শিক্ষা দফতরে মন্ত্রীত্বর চাকরি পেয়েছেন। সরকারের তো যা করেছি বেশ করেছি মনোভাব। এসব কিছুতেই মুখ্যমন্ত্রীর প্রশয় রয়েছে। আর রাজ্যপালই বা কী করছেন? হাজার হাজার শিক্ষার্থীরা বসে রয়েছেন চাকরির জন্য। ব্যাপম কেলেঙ্কারির সমতুল্য।"
আরও পড়ুন, ‘মেধা তালিকায় না থেকেও চাকরি পেয়েছেন মন্ত্রীর মেয়ে’ একাদশ-দ্বাদশে শিক্ষক নিয়োগে সিবিআই নির্দেশ
২০১৮ সালের অগস্ট মাসের শেষে তপসিয়ায় তৃণমূল ভবনে মহাসচিব, তথা তৎকালীন শিক্ষামন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের পৌরোহিত্যে তৃণমূলে যোগ দিয়েছিলেন কোচবিহারের পরেশ অধিকারী। তার ৭২ ঘণ্টার মধ্যেই কোচবিহারে স্কুল সার্ভিস কমিশনের শিক্ষক নিয়োগের ‘ওয়েট লিস্টে’ নাম উঠেছিল তাঁর মেয়ে অঙ্কিতা অধিকারীর। এমনটাই অভিযোগ উঠছে। উল্লেখ্য, একদা বামফ্রন্ট সরকারের মন্ত্রী ছিলেন পরেশ অধিকারী। কোচবিহারের ফরওয়ার্ড ব্লকের অত্যন্ত দাপুটে নেতা ছিলেন তিনি। পরে যোগ দিয়েছিলেন তৃণমূলে।
এদিন হাইকোর্টে এসএসসি মামলায় রীতিমত মুখ পুড়েছে রাজ্যের। বিচারপতির সামনে স্বীকার করা হয়েছে যে পার্সোনালিটি টেস্ট না দিয়েও চাকরি পেয়েছেন মন্ত্রী পরেশ অধিকারীর মেয়ে অঙ্কিতা অধিকারী। অঙ্কিতা পার্সোনালিটি টেস্টে কোনও নম্বর পাননি, হঠাৎ করেই তাঁর নাম ওয়েটিং লিস্টে ঢুকে পড়েছে। আগে না থাকলেও নতুন মেধা তালিকায় ১ নম্বরে মন্ত্রী-কন্যার নাম থাকার অভিযোগ। '৩১ অগাস্ট, ২০১৮-য় এসএসসির সুপারিশপত্রের ভিত্তিতে অঙ্কিতার চাকরি’, এমনটাই অভিযোগ।