রাজা চট্টোপাধ্যায় ও সঞ্চয়ন মিত্র, জলপাইগুড়ি ও কলকাতা: ঝড়ের তাণ্ডবে জলপাইগুড়িতে প্রাণ হারালেন ৪ জন। সবথেকে বেশি ক্ষয়ক্ষতি ময়নাগুড়িতে। ভেঙে পড়েছে প্রচুর বাড়ি। জখম বহু। প্রবল ঝড় কোচবিহার, ফালাকাটাতেও। আগামী ২-৩ ঘণ্টায় আলিপুরদুয়ার-কোচবিহার-জলপাইগুড়িতে বজ্রবিদ্যুৎ-সহ বৃষ্টির সতর্কতা থাকছে। আজ দুপুর থেকে বৃষ্টি হচ্ছে দার্জিলিং-কালিম্পঙেও। উত্তরবঙ্গের ওপর দিয়ে অতিক্রম করছে পশ্চিমী ঝঞ্ঝা, তার জেরে দুর্যোগ, বলছেন আবহাওয়াবিদরা।
কী জানা গেল?
এই ঘটনা নিয়ে এক্স হ্যান্ডেলে পোস্ট করেন রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ও। লেখেন, 'উদ্ধারকাজ চালাচ্ছে পুলিশ, বিপর্যয় মোকাবিলা দল। দুর্গত মানুষজনকে নিরাপদ জায়গায় সরিয়ে নিয়ে যাওয়া হচ্ছে। আমি দুর্গতদের পাশে আছি। আশা করি, জেলা প্রশাসন পর্যাপ্ত ত্রাণের ব্যবস্থা করবে। জেলা প্রশাসন নিয়ম মেনে আহত ও মৃতের পরিবারের জন্য সাহায্য়ের ব্যবস্থা করবে।' প্রশাসন সূত্রে খবর, আজ দুপুর সাড়ে তিনটে নাগাদ এই ঘূর্ণিঝড় শুরু হয়। সেই দুরন্ত-ঘূর্ণির ছবিও ধরা পড়েছে একটি ভিডিওয়। মাত্র ১০ মিনিটের তাণ্ডবে জলপাইগুড়ি সদর ব্লকের সেনপাড়া এবং ময়নাগুড়ির বার্নিশ এলাকা। ব্যাপক ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে বার্নিশ এলাকা। বহু বাড়ি কার্যত ধুলোয় মিশে গিয়েছে, বিদ্যুতের খুঁটি উপড়ে পড়ে যাওয়ায় বাড়ির পর বাড়ি বিদ্যুৎবিচ্ছিন্ন। ঝড় শুরুর আগে সেনপাড়ায় আবার এক ব্যক্তি একটি গাছের নিচে আশ্রয় নিয়েছিলেন। তখনই গাছ ভেঙে পড়ে ওই ব্যক্তির মৃত্যু হয়। পাশাপাশি, আলিপুরদুয়ারের ফালাকাটার যে বার্নিশ এলাকা রয়েছে, তাতেও তুমুল ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে। একই ভাবে ওই এলাকাতেও তুমুল তাণ্ডব চালায় ঝড়।
কী বলছেন আবহবিদরা?
আবহবিদরা আগামী ২-৩ ঘণ্টার জন্য উত্তরবঙ্গের তিনটে জেলায় কমলা সতর্কতা জারি করেছেন। তালিকায় রয়েছে আলিপুরদুয়ার, কোচবিহার এবং জলপাইগুড়ি। এই তিন জেলায় বজ্রবিদ্যুৎ-সহ বর্ষণের পূর্বাভাস থাকছে, সঙ্গে ঝোড়ো হাওয়া বইতে পারে বলেও শোনা যাচ্ছে। এছাড়া, দার্জিলিং-কালিম্পং, এই দুটি জেলাতেও আগামী কয়েক ঘণ্টা বৃষ্টি চলবে বলে পূর্বাভাস দিচ্ছে আবহাওয়া দফতর। অর্থাৎ উত্তরবঙ্গের উপরের পাঁচ জেলাতেই বৃষ্টির সম্ভাবনা রয়েছে এই সময়টা। দমকা হাওয়ার বেগও থাকবে পারে।
আরও পড়ুন:BJP-র হয়ে প্রচারে ঝড় তোলাই লক্ষ্য, এপ্রিলের প্রথম সপ্তাহেই রাজ্যে তিন সভা মোদির