সুনীত হালদার,হাওড়া: ভালো ফলাফল হবে সেটা আশা করেছিলেন। তা বলে ৯৯.২ শতাংশ? তাও আবার কোনও গৃহশিক্ষকের (private tutor) সাহায্য ছাড়া? শুনতে কিছুটা অবিশ্বাস্য মনে হলেও সিবিএসই দ্বাদশের (CBSE Twelve) পরীক্ষায় এমনই করে দেখিয়েছেন শ্রী শিক্ষায়তন (Sree Sikhashayatan) স্কুলের ছাত্রী খুশি চৌধুরী। আদতে শিবপুরের (Shibpur) বাসিন্দা খুশি। সেখানেই নিজেদের ফ্ল্যাটে বসে একের পর এক বিষয়ে কী নম্বর পেয়েছেন জানিয়ে গেলেন পর পর।


কোন বিষয়ে কী নম্বর?


অর্থনীতিতে ১০০-য় ১০০ পেয়েছেন। হিসাবশাস্ত্র বা অ্যাকাউন্টেসিতে পেয়েছেন ৯৯। অঙ্ক ও বিজনেস স্টাডি, এই দুটি বিষয়েও তাঁর প্রাপ্ত নম্বর ৯৯। আর ইংরেজিতে পেয়েছেন ৯৪। খুশি জানালেন, যা ভেবেছিলেন তার থেকে অনেকটা বেশি নম্বর পাওয়ায় স্বাভাবিক ভাবেই বাড়তি আনন্দের পরিবেশ বাড়িতে। তবে এই সাফল্য পেতে কোনও গৃহশিক্ষকের সাহায্য নেননি। স্কুল যে অনলাইন ক্লাস হত, সেগুলি মন দিয়ে করতেন। বাড়িতেও নিজের মতো লেখাপড়া করতেন। তাতেই এমন পারফরম্যান্স! মেয়ের সাফল্যে খুশি পরিবার। তাঁরা জানাচ্ছেন,লেখাপড়ার পাশাপাশি তাই ব্যাডমিন্টনও খেলেছেন কিশোরী। নাচ-ও বড় পছন্দ তাঁর। ওয়েব সিরিজ দেখাও চলে। তবে সবটাই পরিমিতি বজায় রেখে, কোনও কিছুর জন্য যেন লেখাপড়া টাল না খায় সেদিকে সবচেয়ে নজর ছিল খুশির নিজের। সাফল্যের প্রায় শিখরছোঁয়া ওই কৃতী ছাত্রীর মা রেখা চৌধুরী বললেন, 'কখনই ভাল রেজাল্টের জন্য বাড়তি চাপ দেওয়া উচিত নয়। শুধু পড়ার সময় বিষয়বস্তুর ধারণাটুকু যাতে স্বচ্ছ থাকে সেটা দেখা দরকার।' মেয়ের ক্ষেত্রে তাই করেই দুরন্ত রেজাল্ট এসেছে।  


আরও এক কৃতীর খোঁজ...


সিবিএসই দ্বাদশে কার্যত একই রকম মারকাটারি রেজাল্ট করা আরও এক কৃতী পড়ুয়ার কথা জানা গিয়েছে আজ। নাম ঋতপ্রভা ভট্টাচার্য। দক্ষিণশ্বরের জি ডি গোয়েঙ্কা পাবলিক স্কুলের ছাত্রী ঋতপ্রভা ইংরেজিতে পেয়েছেন ৯৭। রাষ্ট্রবিজ্ঞান, মনোবিজ্ঞান এবং হোম সায়েন্সে ১০০-য় ১০০। ইতিহাসে তাঁর প্রাপ্ত নম্বর ৯৯। সমাজবিদ্যায় পেয়েছেন ৯৪। সব মিলিয়ে চোখধাঁধানো রেজাল্ট।
সব রহস্যই লুকিয়ে অধ্যবসায়ে। তবে বাইরে থেকে চাপানো প্রত্যাশার জগদ্দল নয়, বরং ভিতর থেকে তৈরি হওয়া ইচ্ছাই সাফল্যের দরজা খুলে দিতে পারে। বলছেন কৃতীরা।  


আরও পড়ুন:৮টি ফ্ল্যাট, ৫৪ লক্ষের বিদেশি মুদ্রা, ২১ কোটি ১০ লক্ষ নগদ, অর্পিতার বিপুল সম্পত্তির হদিশ পেল ইডি