করুণাময় সিংহ, মালদা: পেট্রাপোলের পর এবার মালদার মহদিপুর সীমান্তে চালু হচ্ছে 'সুবিধা অ্যাপ'। এই অ্যাপের মাধ্যমে রেজিস্ট্রেশন করে চলবে সীমান্ত বাণিজ্য (International Business)। ব্যবসার ক্ষেত্রে গতি আসবে, নানা সুবিধাও হবে। কিন্তু, পরিকাঠামোর উন্নয়ন না করে এই অ্যাপ চালু নিয়ে শুরু হয়েছে বিতর্ক। রফতানিকারীদের অভিযোগ সরকারি পার্কিংয়ের ব্যবস্থা না করেই এই অ্যাপ চালু করা হচ্ছে। ফলে এই অ্যাপ চালু হলে ক্ষতির সম্মুখীন হবেন তারা। উল্টোদিকে প্রশাসনের তরফে জানানো হয়েছে, সরকারি পার্কিংয়ের জন্য জমি নির্দিষ্ট করা হয়েছে। সরকারি অনুমোদন পেলেই কাজ শুরু হবে বলে জানিয়েছেন মালদার জেলাশাসক। আর এই অ্যাপ (App) চালু নিয়ে শুরু হয়েছে রাজনৈতিক চাপানউতোর।


চালু সুবিধা অ্যাপ:
ইতিমধ্যেই পেট্রাপোলে চালু হয়েছে 'সুবিধা অ্যাপ'। সোমবার থেকে মালদার (Malda) মহদিপুর সীমান্তে এই অ্যাপ চালু করছে মালদা জেলা প্রশাসন। ১০ হাজার টাকা দিয়ে অ্যাপের মাধ্যমে স্লট বুকিং করতে হবে রফতানিকারীদের। এই অ্যাপ থেকে নির্দিষ্ট দিন এবং সময় জানিয়ে দেওয়া হবে রফতানি করা সংস্থাটিকে। সেই দিনেই পণ্য নিয়ে বাংলাদেশের যেতে পারবে নির্দিষ্ট নম্বরের লরি। এখন থেকে এইভাবে নিয়ন্ত্রিত হবে সীমান্ত বাণিজ্য। আর এই নিয়ে ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন ব্যবসায়ীরা। মহদিপুর এক্সপোর্টার্স অ্যাসোসিয়েশনের কার্যকরী সভাপতি মোহাম্মদ ফজলুল হক বলেন, 'এক গাড়ি পাথর বাংলাদেশে রফতানি করে তিন হাজার টাকা লাভ হয়। সরকারকে যদি 10 হাজার টাকা করে দিতে হয় তাহলে ৭০০০ টাকা করে ক্ষতির সম্মুখীন হবেন ব্যবসায়ীরা। ক্ষতি করে ব্যবসা করা সম্ভব নয়। মালদা জেলায় বহু মানুষ মহদিপুর সীমান্তে ব্যবসার সাথে যুক্ত। সমস্যায় পড়বেন সবাই।' মহদিপুর এক্সপোর্টস অ্যাসোসিয়েশনের যুগ্ম সম্পাদক তপন দাস বলেন, 'মহদিপুরে পরিকাঠামো নেই, সরকারি পার্কিংয়ের ব্যবস্থা নেই। এই অবস্থায় অ্যাপ চালু হলে ব্যাপক সমস্যার সম্মুখীন হবেন ব্যবসায়ীরা। পরিকাঠামো তৈরি করে অ্যাপ চালু করা হোক।' 


রাজনৈতিক তরজা:
এই অ্যাপ চালু ঘিরে শুরু হয়েছে রাজনৈতিক চাপানউতোর। ইংরেজবাজারের বিজেপি বিধায়ক শ্রীরূপা মিত্র চৌধুরী বলেন, 'মহদিপুর একটা প্রতারণার জায়গায় পরিণত হয়েছে। এই অ্যাপ কারা চালু করেছে, আমি বিধানসভায় দাঁড়িয়ে বলেছি এই অ্যাপ ভুয়ো।' রাজ্য তৃণমূল সাধারণ সম্পাদক কৃষ্ণেন্দু নারায়ণ চৌধুরী বলেন, 'রাজ্য সরকারকে সিদ্ধান্ত নিয়েছে তা সবাইকে মানতে হবে। রাজ্য সরকার ভেবেচিন্তে সিদ্ধান্ত নিয়েছে। ব্যবসায়ীরা নিজেদের স্বার্থে এসব বলছেন।'