জয়ন্ত পাল, কলকাতা:  লোকসভা অধিবেশনে যোগ দিতে দিল্লির যাত্রার আগে কলকাতা বিমানবন্দরে দাঁড়িয়ে তৃণমূল সুপ্রিমোকে তোপ দাগলেন বিজেপি রাজ্য সভাপতি সাংসদ সুকান্ত মজুমদার (Sukanta Majumdar)। তবে শুধু তৃণমূল সুপ্রিমোতেই থেমে থাকলেন না, আক্রমণ করলেন কুণালকেও। বাংলার পাশাপাশি উঠে এল বিজয়ন-সহ আরও একাধিক বিষয়।  


'বাঙালির মান-সম্মান জলাঞ্জলি দিয়েছেন..'


 কুণাল ঘোষের চরাম চরাম ঢাক বাজবে মন্তব্য প্রসঙ্গে তিনি বলেন, 'আগে যে বাঘ চরম চরম বলতো সে এখন ছাগ হয়ে ঘুরে বেড়াচ্ছে তিহার জেলে। এখন এই নতুন অনুব্রত কলকাতার অনুব্রত কবে ছাগ হবে সেটাই দেখার। প্রধানমন্ত্রীকে মুখ্যমন্ত্রী বেনজির আক্রমণ প্রসঙ্গে বলেন, যে ধরণের শব্দ মুখ্যমন্ত্রী মুখ থেকে বেরিয়েছে, এ ধরণের শব্দ মুখ্যমন্ত্রীর মুখ থেকে বেরোনো উচিত নয়। অন্ততপক্ষে বাংলার মুখ্যমন্ত্রী মুখ থেকে উচিত নয়। বাঙালির মান সম্মান ইজ্জত সমস্ত কিছু জলাঞ্জলি দিয়ে দিয়েছেন এই মুখ্যমন্ত্রী।'


'এটা বামপন্থীদের নতুন কিছু নয়, সেই পথেই মমতা'


'সরকারি সম্পত্তি নষ্টতে পুরো অর্থ দিতে হবে', এ প্রসঙ্গে বলেন, 'এটা বিরোধীদের যে গণতান্ত্রিক আন্দোলন সে আন্দোলন যাতে সীমার মধ্যে থাকে, সেটা করা উচিত। তবে এটা ঠিক সরকারের তরফ থেকে যেন প্ররোচনা দেওয়া না হয়। বিধায়ক লাভলী মৈত্রের মন্তব্য প্রসঙ্গে বলেন, 'আমি শুধু বলব ও লাভলি। কেরলের মুখ্যমন্ত্রীর দিল্লিতে ধর্না প্রসঙ্গে বলেন, 'এটা আমরা দেখতে অভ্যস্ত পিনারাই বিজয়ন বামপন্থী মুখ্যমন্ত্রী, আমরা বামফ্রন্টের সময় শুনতাম এখানে বৃষ্টি হচ্ছে না কেন কেন্দ্র মেঘ দিচ্ছে না, এটা বামপন্থীদের নতুন কিছু নয়, সেই পথেই মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় চলছেন। আলাদা কিছুই হয়নি। 


'বোঝাই যাচ্ছে বাংলার মেয়েদের অবস্থা কী ?'


বিজেপির ইলেকশন কমিটি প্রকাশ প্রসঙ্গে বলেন, 'হ্যাঁ সেটা কেন্দ্র থেকে অনুমোদিত হয়েছে। গতকালই সেটা আমরা সাধারণের জন্য ছেড়ে দিয়েছি। এই ইলেকশন কমিটি পুরো ইলেকশনটা সামলাবে।পঞ্চায়েত প্রধানের স্বামীদের প্রশিক্ষণ প্রসঙ্গে বলেন, আমি তো আগেই বলেছি, আমাদের মুখ্যমন্ত্রী মহিলা স্বশক্তিকরনের কথা বলেন, নারীদের কথা বলেন, মহিলাদের কথা বলেন, বোঝাই যাচ্ছে বাংলার মেয়েদের অবস্থা কী ? প্রধানরা নিজেরা পঞ্চায়েত চালাবেন না তাদের স্বামীরা পাশে বসে পঞ্চায়েত চালাবেন।'


বিজেপি করার অপরাধে মারধর


বাসন্তীতে বিজেপি করার অপরাধে মারধর করার অভিযোগ প্রসঙ্গে সুকান্ত বলেন, 'সব জায়গাতেই হচ্ছে বিশেষ করে দক্ষিণ চব্বিশ পরগনা ও উত্তর ২৪ পরগনায় বিস্তীর্ণ অঞ্চলে এখনও সন্ত্রাসের বাতাবরণ রয়েছে। সন্ত্রাসের এপিক সেন্টার হচ্ছে ডায়মন্ড হারবার লোকসভা। এই লোকসভাতেই সব থেকে বেশি সন্ত্রাস হয়।তৃণমূলের টানা কর্মসূচি প্রসঙ্গে বলেন, যত ভোট আসছে ধর্না কর্মসূচি করবে সভা মিছিল তো করতে পারছে না। মুখ্যমন্ত্রী বিভিন্ন জেলা থেকে লোক নিয়ে গিয়ে মিছিল করছেন, প্রশাসনিক বৈঠকের নামে সভা করছেন। পার্টির সভা তো করতে পারছে না লোক আসছে না।'