কলকাতা: মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে (Mamata Banerjee) বিশ্ববিদ্যালয়ের আচার্য করতে চেয়ে বিধানসভায় বিল পাস হয়েছে আজ। রাজ্যপালের (Governor) বদলে মুখ্যমন্ত্রীকে আচার্য করতে চেয়ে বিল পাস হয়। বিলের পক্ষে এদিন ভোট পড়ল ১৮২, বিপক্ষে ভোট পড়ল ৪০টি। বিধানসভায় রাজ্য বিশ্ববিদ্যালয় আইন সংশোধনী বিল পাস। এবার রাজ্যপালের অনুমোদনের জন্য যাবে সংশোধনী বিল।
এদিন এ প্রসঙ্গে শুভেন্দু অধিকারী (Suvendu Adhikari) কটাক্ষ করেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কেই। রাজ্যের বিরোধী দলনেতা বলেন, "নিজেদের রাজনীতির স্বার্থ চরিতার্থ করার জন্য এসব করছেন। মুখ্যমন্ত্রীকে আচার্য করতে চাওয়ার চেষ্টা হচ্ছে তো। ঘোড়ার ডিম হবে। আমাদের লোকেরা বিরোধিতা করেই যাবে। এরপর ভোটিংয়ে যাবে। এক ইঞ্চি কম্প্রোমাইজ করব না। এরপর রাজ্যপালের কাছে যাবে। আর সেটা রাজ্যপাল দিল্লি পাঠাবে। এটা লিস্টেই আছে। দিল্লিতে গিয়ে বঙ্গ নামের মতো আমাদের কাছে পড়ে থাকবে। দিদিমণি অবসর নিয়ে নেবে, তবে আর আচার্য হতে পারবে না। আমার নাম কোট করে লিখে রাখুন।"
আরও পড়ুন, এবার প্রাইমারিতে ২৬৯ জনকে বরখাস্তের নির্দেশ, বেতনও বন্ধ
এদিকে, মুখ্যমন্ত্রীর মতো রাজনৈতিক ব্যক্তিকে কেন আচার্য, বিরোধীদের প্রশ্নের মুখে পাল্টা সওয়াল করা হয়। এদিন, গুজরাতের প্রসঙ্গ তুলে বিলের পক্ষে সওয়াল শিক্ষামন্ত্রী ব্রাত্য বসু বলেন, ‘বিশ্বভারতীর আচার্য প্রধানমন্ত্রী হলে, রাজ্যের ক্ষেত্রে আপত্তি কীসের?’
অন্যদিকে, বিশ্ববিদ্যালয়ের আচার্য পদে মুখ্যমন্ত্রী, সিদ্ধান্তের বিরোধিতায় বিবৃতি বিশিষ্টদের। তাঁদের তরফে জানান হয়, কোনও শিক্ষাবিদকে আচার্য করা হোক। বিবৃতি দিয়ে বলা হয়, ‘রাজনৈতিক বা প্রশাসনিক প্রধান আচার্য হলে ভঙ্গ হবে শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের স্বাধিকার’, বিবৃতিতে স্বাক্ষর বিভাস চক্রবর্তী, কৌশিক সেন, সমীর আইচ, অনীক দত্ত-সহ আরও অনেক বিশিষ্টদের।
কৌশিক সেন বলেন, "রাজ্যপালের আচার্য পদে থাকাটাও আমরা সমর্থন করি না। আবার বদলি হিসেবে মুখ্যমন্ত্রীর থাকাটাও সমীচিন নয়। তাঁর কারণ কোথাও যেন শিক্ষাঙ্গনে রাজনীতি না আসে। রাজ্যপালও যেমন বাধা বিঘ্ন সৃষ্টি করছিলেন সেটাও কাম্য নয়। কিন্তু সেটার বদলে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে সেই পদে চাইছি না। এমন একজন আসুন যিনি শিক্ষাবিদ, নিরপেক্ষ মানুষ, যিনি রাজনৈতিক প্রভাব মুক্ত একজন মানুষ, তাঁর থাকা উচিত।"