Suvendu Adhikari: 'আইপ্যাককে ১৫২ কোটি টাকা পাইয়ে দিয়েছে স্বরাষ্ট্র দফতর', দুর্নীতির বিস্ফোরক অভিযোগ
West Bengal Scam: বিস্ফোরক অভিযোগ বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারীর। শুভেন্দুর নিশানায় মুখ্যমন্ত্রীর গ্রিভান্স সেল
কলকাতা: রাজ্য সরকারের বিরুদ্ধে বিস্ফোরক অভিযোগ বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারীর। শুভেন্দুর নিশানায় মুখ্যমন্ত্রীর গ্রিভান্স সেল। 'পরিকাঠামো তৈরির জন্য তথ্যপ্রযুক্তি দফতরকে টেন্ডার দেওয়া হয়, কয়েকটি সংস্থা টেন্ডার প্রক্রিয়ায় অংশ নেয়। দিল্লির একটি সংস্থাকে দায়িত্ব দেওয়া হয়। ওই সংস্থার সঙ্গে ভিডিও কনফারেন্সও করে ফেলেন তথ্যপ্রযুক্তি আধিকারিকরা।'কিন্তু তারপরেই সমস্যা হয়েছে বলে দাবি শুভেন্দুর। পছন্দের সংস্থা টেন্ডার পায়নি, সেই কারণেই আইপ্যাকের পছন্দের সংস্থাকে টেন্ডার পাইয়ে দেওয়া হয় বলে অভিযোগ শুভেন্দুর। তাঁর দাবি, 'ওয়েবেলের থেকে নিয়ে ডব্লুটিএলকে টেন্ডার পাইয়ে দেওয়া হয়।' মোট ১৫২ কোটি টাকার দুর্নীতি হয়েছে বলে অভিযোগ বিরোধী দলনেতার। 'আইপ্যাককে ১৫২ কোটি টাকা পাইয়ে দিয়েছে স্বরাষ্ট্র দফতর', বিস্ফোরক শুভেন্দু।
শুভেন্দু অধিকারী আরও বলেন, 'এটা প্রমাণিত চুরি, সব তথ্যপ্রমাণ আছে। জনগণের করের টাকা কারচুপি হয়েছে। এই ১৫২ কোটি টাকা তৃণমূলের কাছ গিয়েছে। পশ্চিমবঙ্গকে ধ্বংসের জায়গায় নিয়ে যাচ্ছে তৃণমূল।' এই নিয়ে মুখ্যসচিবের কাছে নথি চেয়ে পাঠানো উচিত রাজ্যপালের, দাবি শুভেন্দু অধিকারীর। তাঁর আরও দাবি, 'ইডি বা আয়কর দফতরকে নিয়ে তদন্ত করানো হোক। চাইলে আদালত কোনও নিরপেক্ষ সংস্থাকে দিয়ে তদন্ত করাতে পারে। এই দুর্নীতির সাফাই দিতে হবে মুখ্যমন্ত্রীকে। এটা প্রমাণিত দুর্নীতি, এই নিয়ে শ্বেতপত্র প্রকাশ করা উচিত মুখ্যমন্ত্রীর। এই দুর্নীতির সঙ্গে সরাসরি জড়িত মুখ্যমন্ত্রীর দফতর।'
পঞ্চায়েত ভোট মিটতেই, ফের স্কুলে নিয়োগ দুর্নীতি নিয়ে যখন সরগরম হয়ে উঠেছে রাজ্য। তখনই নতুন অভিযোগ এনে কার্যত বোমা ফাটাতে চাইলেন শুভেন্দু অধিকারী।২০২১-এর বিধানসভা ভোটের আগে প্রশান্ত কিশোরের আইপ্যাক সংস্থার সঙ্গে জুটি বাধে তৃণমূল। সূত্রের খবর, ২১-এর বিধানসভা ভোটে জয়ের পর আইপ্যাকের সঙ্গে চুক্তি ২০২৬ সাল পর্যন্ত বাড়িয়েছিলেন তৃণমূলের শীর্ষনেতৃত্ব। এবার সেই আইপ্যাককে সুবিধা পাইয়ে দিতে, রাজ্য সরকারের বিরুদ্ধে বড়সড় দুর্নীতির অভিযোগ তুললেন শুভেন্দু অধিকারী। তাঁর দাবি, মুখ্যমন্ত্রীর গ্রিভেন্স সেলের পরিকাঠামোর জন্য, তথ্য ও প্রযুক্তি দফতরকে টেন্ডার ডাকার দায়িত্ব দেয় মুখ্যমন্ত্রীর দফতর। তথ্য ও প্রযুক্তি দফতরের অধীনে থাকা 'ওয়েবেল'কে দায়িত্ব দেওয়া হয় RFP বা Request for proposal- তৈরির জন্য। সেই টেন্ডার প্রক্রিয়ায় দিল্লির একটি সংস্থা বরাত পায়। বিরোধী দলনেতার অভিযোগ, আইপ্যাকের সংস্থাকে সেই বরাত পাইয়ে দিতে টেন্ডার প্রক্রিয়া বাতিল করতে বলা হয়।
শুভেন্দু অধিকারীর অভিযোগ সম্পূর্ণ ভিত্তিহীন বলে দাবি তৃণমূলের রাজ্য মুখপাত্র কুণাল ঘোষের। তাঁর দাবি, 'যা অভিযোগ, তা সম্পূর্ণ ভাবে মিথ্য়া, কাল্পনিক। কাউকে কোনও সুযোগ পাইয়ে দেওয়া হয়নি। যা হয়েছে তা টেকনিক্যাল ব্যাপার।' আইন মেনেই টেন্ডার দেওয়া হয়েছে বলে দাবি কুণাল ঘোষের।