কলকাতা : বিধানসভার ( West Bengal Assembly ) অধ্যক্ষর নির্দেশকে চ্যালেঞ্জ করে কলকাতা হাইকোর্টে ( Calcutta High Court ) মামলা । মুকুল রায়  ( Mukul Roy ) বিজেপিতেই ( BJP ) , জানিয়েছিলেন স্পিকার। স্পিকারের সেই সিদ্ধান্তকে চ্যালেঞ্জ করে মামলা করেন বিধানসভার বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী। সুপ্রিমকোর্টের নির্দেশে কলকাতা হাইকোর্টে মামলা বিরোধী দলনেতার। 


বিজেপিতে-ই (BJP) আছেন মুকুল রায় (Mukul Roy), রায় দিলেন বিধানসভার অধ্যক্ষ বিমান বন্দ্যোপাধ্যায় (Biman Banerjee)। গত জুনে দীর্ঘ শুনানির পরেএই সিদ্ধান্ত জানান  বিধানসভার অধ্যক্ষ।  মুকুল রায়ের বিধায়ক পদ বাতিলের আবেদন খারিজ করে দেন তিনি । মুকুলের বিরুদ্ধে দলত্যাগ বিরোধী আইনে অভিযোগ করেন শুভেন্দু অধিকারী (Suvendu Adhikari)। তারপর রায় পুনর্বিবেচনা করতে বলে হাইকোর্টের সুপারিশে ফের শুনানি হয়। তাতে দীর্ঘ শুনানির পরে মুকুলের বিধায়ক পদ বাতিলের আবেদন খারিজ হয়ে যায়। মুকুলের বিধায়ক পদ খারিজের আবেদনে বিধানসভায় ৫ দফায় শুনানি হয়েছিল।


২০২১-এর বিধানসভা নির্বাচনের পর  ১১ জুন তৃণমূল ভবনে গিয়ে বিজেপি ছেড়ে তৃণমূলে যোগ দেন মুকুল রায়। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের উপস্থিতিতে অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় তাঁকে গলায় উত্তরীয় পরিয়ে দিচ্ছেন, এমন ছবি এবং ভিডিও-ও সামনে আসে। ওই মঞ্চে মুকুলপুত্র শুভ্রাংশুকও দেখা যায়। সেই সময়ই দলত্যাগ আইনে মুকুলের বিধায়ক পদ খারিজের দাবি তোলে বিজেপি। এর পর বিধানসভার পাবলিক অ্যাকাউন্টস কমিটির চেয়ারম্যান নিযুক্ত করা হয় মুকুলকে। সাধারণত বিরোধী শিবিরের নেতাকেই ওই পদে বসানো হয়। সরকার কোন খাতে কত টাকা খরচ করছে, এ সবের হিসেব রাখাই কাজ পিএসি চেয়ারম্যানের। 


মুকুলের বিধায়ক পদ খারিজ নিয়ে দীর্ঘ টানাপোড়েন


তৃণমূলে যোগদানকারী মুকুলকে কোন যুক্তিতে পাবলিক অ্যাকাউন্টস কমিটির চেয়ারম্যান করা হল, প্রশ্ন তোলেন শুভেন্দু অধিকারী এবং রাজ্য বিজেপি-র নেতৃত্ব। কিন্তু মুকুল তৃণমূলে রয়েছেন, এমন কোনও লিখিত নথি পেশ করতে না পারায়, তাঁর বিধায়ক পদ খারিজের আবেদন খারিজ করে দেন বিমান।


এর পর সরাসরি সুপ্রিম কোর্টের দ্বারস্থ হন শুভেন্দু। কিন্তু সুপ্রিম কোর্ট মামলাটি কলকাতা হাই কোর্টে ফেরত পাঠায়। তার পর হাইকোর্টের তরফে সুপারিশে মামলার শুনানিতে মুকুলের বিধায়ক পদ বহাল রাখারই সিদ্ধান্ত জানান বিমান। স্বাভাবিকভাবেই মুকুল রায়ের বিধায়কপদ খারিজ নিয়ে বিধানসভার স্পিকারের সিদ্ধান্তে খুশি হতে পারেননি বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী। সুপ্রিম কোর্টের দ্বারস্থ হয়েছিলেন। কিন্তু সুপ্রিম কোর্ট কলকাতা হাই কোর্টে আবেদন জানানোর কথা বলে। সেই অনুসারেই শুভেন্দু সোমবার কলকাতা হাইকোর্টের দ্বারস্থ হন।