কলকাতা: সিঙ্গুরে পথশ্রী প্রকল্পের সূচনা মুখ্যমন্ত্রীর, তীব্র আক্রমণে বিরোধী দলনেতা। ঠিকাদারদের বলেছি, একটা টাকাও পাবেন না, পাল্টা আক্রমণে শুভেন্দু অধিকারী 'ঠিকাদাররা বলেছি, কেউ এই কাজ করবেন না, টাকা পাবেন না', দুর্নীতি নিয়ে পার্থ, মানিক, কেষ্টদের প্রসঙ্গ টেনে তৃণমূলকে কটাক্ষ শুভেন্দুর। 'পঞ্চায়েত ভোটের দিকে তাকিয়ে বাজেটে বরাদ্দ ছাড়াই বিভ্রান্ত করার চেষ্টা', বিজেপির কিষাণ মোর্চার ‍র‍্যালি থেকে মুখ্যমন্ত্রীকে আক্রমণে বিরোধী দলনেতা । 


আবাস যোজনা-সহ একাধিক ক্ষেত্রে বাংলার প্রাপ্য টাকা আটকে রাখা নিয়ে টানাপোড়েন চলছে। সেই আবহেই মঙ্গলবার এ নিয়ে মুখ খুললেন শুভেন্দু। তিনি বলেন, "কেন্দ্রীয় সরকার বাংলায় ২৭ নম্বর ধারা জারি করেছে। যেখানে ১০০ দিনের কাজ, আবাস যোজনা, সড়ক নির্মাণ, ২০২৩-'২৪ এ বাংলা আর কোনও টাকা পাবে না।"


এ দিন শুভেন্দু আরও বলেন, "২৭ নম্বর ধারার অর্থ হল, ব্য়াপক দুর্নীতির জেরে অর্থনৈতিক নিষেধাজ্ঞা চাপানো। একটা দুর্নীতিগ্রস্ত সরকারের উপর অর্থনৈতিক নিষেধাজ্ঞা চাপিয়েছে কেন্দ্রীয় পঞ্চায়েত এবং গ্রামোন্নয়ন দফতর এবং অর্থমন্ত্রক। ২০২৩-'২৪ সালে আর কোনও চটাকা পাবে না। ভারতের শুধু একটি রাজ্যের উপরই এই ধারা চাপানো হয়েছে। কাউন্টডাউন শুরু হয়ে গিয়েছে। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সরকারের আর হাতেগোনা দিন বাকি। "


কৃষিক্ষেত্রে ব্যাপক দুর্নীতি হয়েছে বলেও এ দিন অভিযোগ করেন শুভেন্দু। তিনি বলেন, "আমরা রেডি করে ফেলেছি কাগজপত্র। তদানীন্তন খাদ্যমন্ত্রী এবং পশ্চিমবঙ্গ সরকার ধান কেনাতে কত বড় দুর্নীতি করেছে রাইস মিল মালিকদের একটা অংশকে নিয়ে, প্রমাণ বিরোধী দলনেতা করে দেবে।"


গ্রাম বাংলায় পঞ্চায়েত নির্বাচনের দিন ক্ষণ এখনও ঘোষণা করেনি রাজ্য নির্বাচন কমিশন। কিন্তু ইতিমধ্যে কোমর বেঁধে ভোট প্রস্তুতিতে নেমে পড়েছে শাসক-বিরোধী দু'পক্ষ। মঙ্গলবার রাজ্যে কৃষকের আত্মহত্যা, সারের দাম নিয়ে কালোবাজারি, কেন্দ্রীয় প্রকল্পের সুবিধা থেকে কৃষক পরিবারদের বঞ্চিত করার মতো একাধিক অভিযোগ তুলে কলেজ স্কোয়ার থেকে রানি রাসমনি অ্যাভিনিউ পর্যন্ত মিছিল করে বিজেপির কিষান মোর্চা। তাতে  নানা ছবি ধরা পড়ে। কোথাও রাজ্যের কৃষকদের অবস্থা বোঝাতে খাটিয়া নিয়ে মিছিলে হাঁটেন কর্মী সমর্থকরা।  


এদিন সিঙ্গুরের অধিগৃহীত জমি ফেরত নিয়েও মমতাকে আক্রমণ করতে ছাড়েননি বিরোধী দলনেতা। তাঁর কথায়, "সিঙ্গুরে যে জমিতে সর্ষের বীজ পুঁতেছিলেন, সর্ষে হয়নি। মাছও হয়নি। ওই জমিতে বালি-সিমেন্ট-রড মিশে গিয়েছে। ব্যবহারযোগ্য জমি নয়।"