পশ্চিম মেদিনীপুর: চন্দ্রকোণায় শুভেন্দু অধিকারীর (Suvendu Adhikari) সভায় শর্তসাপেক্ষে অনুমতি দিলেন বিচারপতি রাজাশেখর মান্থা (Raja Sekhar Mantha)। 'শান্তিপূর্ণভাবে সভা করতে হবে, সভা থেকে উস্কানিমূলক কোনও মন্তব্য করা যাবে না। সভার পর সভাস্থল পরিষ্কার করতে হবে। বিদ্যালয় ও শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলিকে রাজনৈতিক কর্মসূচির বাইরে রাখা উচিত', মন্তব্য বিচারপতির মান্থার। মামলাকারী বিপ্লব মালের উদ্দেশে বিচারপতি আরও বলেন, 'ছুটি থাক বা যাই থাক, স্কুলে রাজনৈতিক কর্মসূচির অনুমোদন চাওয়া ঠিক নয়'।
পুলিশকে আক্রমণ: এর আগে চন্দ্রকোণার (Chandrakona) ঝাঁকরা স্কুল মাঠে কৃষক সভার অনুমতি বাতিল হয়। আর তাতেই পুলিশকে নিশানা করেন শুভেন্দু অধিকারী। ট্যুইটে বিরোধী দলনেতা লেখেন, তৃণমূল (TMC) নেতৃত্ব এবং মমতার পুলিশ বিজেপিকে ভয় পাচ্ছে। এটা আমি উপভোগ করছি। শুভেন্দু ট্যুইটে লেখেন, স্কুল কর্তৃপক্ষ এবং পুলিশের অনুমতি মেলার পরেই সভার আয়োজন করা হয়েছিল। হঠাৎ স্কুল কর্তৃপক্ষের মনে হল, প্রধান শিক্ষক অনুমতি দেওয়ার উপযুক্ত ব্যক্তি নন। যে পুলিশ সাধারণ মানুষের অভিযোগের সুরাহায় অযোগ্য, তারাও হঠাৎ সক্রিয় হয়ে অনুমতি প্রত্যাহার করল! এটাই হল বিজেপি ফোবিয়া। শুভেন্দু ট্যুইটে জানিয়েছেন, এরপরও দুপুর সাড়ে ৩টে নাগাদ তিনি চন্দ্রকোণায় যাবেন এবং কৃষকদের সঙ্গে কথা বলবেন।
হাইকোর্টের দ্বারস্থ শুভেন্দু: পঞ্চায়েত ভোট নিয়ে হাইকোর্টের দ্বারস্থ হলেন শুভেন্দু অধিকারী। প্রধান বিচারপতির ডিভিশন বেঞ্চে বিরোধী দলনেতার আবেদন, তিনি সুুপ্রিম কোর্টে গিয়েছেন। ৫ এপ্রিল পর্যন্ত সর্বোচ্চ আদালত বন্ধ। তাই কলকাতা হাইকোর্ট রাজ্য নির্বাচন কমিশনকে নির্দেশ দিক, যেন আগামী ৭ দিন নির্বাচনের দিন ঘোষণা না করা হয়। এর আগে পঞ্চায়েত ভোট পরিচালনার ক্ষেত্রে একাধিক দাবি নিয়ে, হাইকোর্টে জনস্বার্থ মামলা দায়ের করেন শুভেন্দু অধিকারী। সেই মামলায় প্রধান বিচারপতির ডিভিশন বেঞ্চ জানায়, পঞ্চায়েত ভোট নিয়ে সব সিদ্ধান্ত নেবে রাজ্য নির্বাচন কমিশন। হাইকোর্টের নির্দেশকে চ্যালেঞ্জ জানিয়ে সুপ্রিম কোর্টে গিয়েছেন বিরোধী দলনেতা।