কলকাতা: 'মমতা-মোদি দুজনেরই একসঙ্গে বিরোধিতা করা ঠিক নয়। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে সরাতে গেলে লক্ষ্য ঠিক রাখতে হবে। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়েরও বিরোধিতা করবেন, একইসঙ্গে মোদিকেও নিশানা করবেন, এটা হয় না।‘ এবার বলতে হবে, নো ভোট টু মমতা, মন্তব্য শুভেন্দু অধিকারীর (Suvendu Adhikari)।              


কী বললেন শুভেন্দু অধিকারী?


সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে এদিন শুভেন্দু বলেন, "যাঁরা সত্যি মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে সরাতে চান, নো ভোট টু মমতা। বিধানসভা নো ভোট টু বিজেপিও বলবেন, নিজের ভোটও চাইবেন, মমতা-মোদিকে গাল মন্দ করবেন এটা করে হয় না। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে সরাতে গেলে লক্ষ্য স্থির রাখতে হবে। বাম আমলে প্রাথমিক স্কুলের শিক্ষাকর্মী এবং কলেজের অশিক্ষক কর্মী নিয়োগে দলবাজি করেছেন। পার্টির ক্যাডারদের চাকরি দিয়েছেন। স্কুলের ম্যানেজিং কমিটির হাতে ছিল গ্রুপ সি এবং ডি-এর নিয়োগ। কলেজের নন –টিচিং নিয়োগ ছিল কলেজের গভর্নিং বডির হাতে। প্রাইমারির নিয়োগ ছিল DPSC-র হাতে। এই সুযোগ বামফ্রন্ট তখন নিয়েছিল। আমার জানা সিপিএমের এক হাজার হোল টাইমারদের বাড়ির লোককে চাকরি দেওয়া হয়েছিল। রাজ্যের বিরোধী দলনেতার কথায়, "মূল মূল জায়গাতে বাম এবং তৃণমূলের মধ্যে কোনও প্রভেদ নেই। তাই দুজনের বক্তব্য একই হবে। এরাজ্যে যেমন বাম শূন্য বিধানসভা হয়েছে, তৃণমূলও ভবিষ্য়তে শূন্য হবে। ত্রিপুরাতে বিরোধী দলের তকমা হারিয়েছে সিপিএম।''                                   


গতকাল, বৃহস্পতিবার আদালতে ঢোকার সময়, একযোগে বিরোধীদের নাম করে আক্রমণ করেন পার্থ চট্টোপাধ্য়ায়। আর এর জেরেই রাজনৈতিক মহলে প্রশ্ন জোরাল হচ্ছে, বিরোধীদের একযোগে আক্রমণ করে কি পার্থ চট্টোপাধ্য়ায় কি আসলে বিরোধীদের অঘোষিত জোটের রাস্তা প্রশস্ত করে দিলেন? পঞ্চায়েত ভোটে কি নিচুতলায় আরও বেশি করে বিরোধীদের একজোট হওয়ার রদস যোগালেন? গ্রাম বাংলার আসন্ন ভোটে কি নিচুতলায় তৃণমূলের বিরুদ্ধে বিরোধীরা হাত মেলাতে পারে? কার্যত 'সাগরিদিঘি মডেল' কি দেখা যেতে পারে পঞ্চায়েত ভোটে? গতকাল রাজ্যের বিরোধী দলনেতা বলেন, “মানুষ ঠিক করে নিয়েছে তৃণমূলকে ভোট দেবে না। যে যেখানে শক্তিশালী তাঁকে ভোট দেবে।’’                        


আরও পড়ুন: East Midnapore: চাকরির প্রতিশ্রুতি দিয়ে প্রতারণা! কাঠগড়ায় শিক্ষক, মামলা দায়েরের অনুমতি আদালতের