পূর্ব মেদিনীপুর: দলীয় কর্মীদের হেনস্থার অভিযোগে থানায় ঢুকে পুলিশকে হুমকি রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারীর (Suvendu Adhikari)। মিছিল করে খেজুরি থানায় গিয়ে পুলিশকে হুঁশিয়ারি বিরোধী দলনেতার।


ওসি না থাকায় পুলিশ আধিকারিকদের ধমক। 'পুলিশ যা করেছে, তার ফল ভুগতে হবে, সব কিছু রেকর্ড থাকবে। সরকার বিজেপির হবে, আমাদের অধীনে কাজ করতে হবে', থানায় ঢুকে পুলিশকে হুঙ্কার শুভেন্দু অধিকারীর। প্রসঙ্গত, রাজ্যে এই মুহূর্তে একাধিক ইস্যুতে শাসকদলকে তোপ দেগেছেন শুভেন্দু। তার মধ্য়ে কামদুনি থেকে শুরু করে নিয়োগ দুর্নীতি সহ একাধিক ইস্যুতে তোপ দেগেছেন তিনি।  রাজ্য পুলিশের সঙ্গে নরমে-গরমে একাধিক ঘটনা জড়িয়ে আছে। যার মধ্যে সাম্প্রতিক কালে বাদ যায়নি রাজ্যপুলিশ এবং কলকাতা পুলিশের পুজোর বোনাসের ইস্যুও। যা নিয়ে সম্প্রতি তীব্র কটাক্ষ করেন শুভেন্দু। 


মূলত সিভিক ভলান্টিয়ারদের পুজো-বোনাসে বৈষম্যের অভিযোগ তোলেন রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী।  সোশ্যালে পোস্ট করে লেখেন, 'কলকাতা পুলিশের আওতাধীন সিভিক ভলান্টিয়ারদের পুজোর বোনাস ৫ হাজার টাকার বেশি। অথচ রাজ্য পুলিশের আওতায় থাকা সিভিক ভলান্টিয়ারদের পুজোর বোনাস মাত্র ২ হাজার। দক্ষিণ কলকাতা থেকে প্রশাসন চালালে এটাই হবে। ওঁদের চোখে বাকি পশ্চিমবঙ্গের বাকি অংশ ঝাপসা। কেন এই বৈষম্য? স্বরাষ্ট্রসচিব ব্যবস্থা নিন।'


যদিও পরে সিভিক ভলান্টিয়ারদের পুজোর বোনাস নিয়ে শুভেন্দু অধিকারীর অভিযোগ খারিজ করে দেন মুখ্যমন্ত্রী (CM)। মুখ্যমন্ত্রী বলেন, 'কিছু অসুস্থ রাজনৈতিক দল বা ব্যাক্তি কলকাতা পুলিশ এবং রাজ্য পুলিশের মধ্যে বিভেদ করার চেষ্টা করছে। রাজ্য পুলিশের সিভিক ভলান্টিয়াররাও পুজোর বোনাস হিসেবে ৫ হাজার ৩০০ টাকা পাবেন। কলকাতা পুলিশ ও রাজ্য পুলিশের সিভিক ভলান্টিয়াররা সম পরিমাণ বোনাস পাবেন। আশা কর্মীরাও ৫ হাজার ৩০০ টাকা পুজো বোনাস পাবেন।'


অপরদিকে, ২০২২ সাল তখন। গঙ্গা পেরিয়ে হাওড়ায় পৌঁছয়নি তাঁর নেতৃত্বাধীন বিজেপি-র নবান্ন অভিযান মিছিল (BJP Nabanna Abhijan)। তার আগে কলকাতাতেই পুলিশের হাতে আটক হয়েছিলেন বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী (Suvendu Adhikari)। সেখানে পুলিশের সঙ্গে তর্কাতর্কি, বচসায় জড়িয়ে পড়ার পাশাপাশি, মহিলা পুলিশকর্মীকে নিয়ে আপত্তির কথাও শোনা গিয়েছিল তাঁর মুখে।


আরও পড়ুন, রেশন বণ্টন দুর্নীতি মামলায় ED-র হাতে গ্রেফতার ব্যবসায়ী বাকিবুর রহমান 


মূলত বাইশের সেপ্টেম্বরে তিন দিক থেকে নবান্ন ঘেরার লক্ষ্য ছিল বিজেপি-র (BJP) সেই মতো পিটিএস থেকে দ্বিতীয় হুগলি সেতু হয়ে নবান্ন অভিমুখে রওনা দিয়েছিলেন শুভেন্দু, লকেট চট্টোপাধ্যায় এবং রাহুল সিনহারা। কিন্ত শুরুতেই তাঁদের আটকে দেয় পুলিশ। ব্যারিকেডের তুলে আটকে দেওয়া হয় বিজেপি কর্মী-সমর্থকদের। তাতে পুলিশের সঙ্গে বচসায় জড়িয়ে পড়েন। সেই সময় এক মহিলা পুলিশ কর্মী এ পিছু হটতে বলেল ফুঁসে উঠেছিলেন শুভেন্দু। মহিলা পুলিশ কেন তাঁর গায়ে হাত দিচ্ছেন, প্রশ্ন তোলেন। শুভেন্দুকে বলতে শোনা যায়, 'আমার শরীর স্পর্শ করবেন না। আপনি মহিলা, আমি পুরুষ। আপনার সিনিয়রকে ডাকুন।'