কলকাতা : অরাজনৈতিক প্রতিবাদ, করা হয়েছিল দাবি। কোনও রাজনৈতিক দলের পতাকাও ছিল না। জাতীয় পতাকা হাতেই পথে নামেন প্রতিবাদী মানুষ। আর সেই অভিযান আর শান্তিপূর্ণ রইল না। ইট-পাথর, জল কমান, কাঁদানে গ্যাসে রণক্ষেত্র হয়ে উঠল হাওড়া। হাওড়া ব্রিজ , ময়দান থেকে সাঁত্রাগাছি, ফোরশোর রোড, সব জায়গায় উত্তেজনা উঠল চরমে। প্রতিবাদীদের আটকানোর চেষ্টায় যেমন মরিয়া হয়ে উঠল পুলিশ, তেমনই পুলিশকে পাল্টা পাথর ছুড়ল জনতা। আহত হলেন পুলিশ আধিকারিক, ঝরল রক্ত। এই পরিস্থিতিতে রাজনৈতিকভাবে ভাবে আয়োজক না হলেও, প্রতিবাদীদের পাশে থাকার বার্তা দিলেন বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী। 


 'পুরো পশ্চিমবঙ্গ স্তব্ধ করে দেব'


বললেন, ' তিনটে ছেলে আর কয়েকটা ইউটিউবারের ভয়ে, একটা পুরো প্রশাসন স্যারেন্ডার করে গেছে। আমি এখন অ্যাসেম্বলি যাব। অ্যাসেম্বলি থেকে ফিরে হাওড়া রেল স্টেশনে রেলের গেস্ট হাউসে আমি ওয়েট করব। ওদের পাশে থাকব। অশান্তি হলে পথে নামব, অবরোধ করব। কাউকে মারলে অবরোধ করব। গোটা রাজ্যে এখনও অবধি ১০০ র বেশি অ্যারেস্ট হয়েছে।  ২০০ র বেশি বাস ও গাড়িকে আটকে রাখা হয়েছে। আমরা তাদের সকলকে বেল করাব। আইনি সহায়তা দেব। সব খরচ বহন করব। রাজ্য সরকার ৪-৫ কোটি টাকা খরচ করেছে , ভাল রাস্তাগুলিকে খুঁড়েছে। গার্ডেনরিচ থেকে কন্টেনার এনে রাস্তায় বসিয়েছে।


শুভেন্দু এদিন হুঁশিয়ারি দিয়ে বলেন, 'আমরা দেখছি। এই অত্যাচার বন্ধ করুন ছাত্রসমাজের উপর। নইলে কাল পুরো পশ্চিমবঙ্গ স্তব্ধ করে দেব' 


 চার ছাত্রর নিখোঁজ হওয়ার ঘটনাকে ঘিরে তরজা


নবান্ন অভিযানে অশান্তির ছক কষার অভিযোগে তৃণমূলের দেওয়া ভাইরাল ভিডিওর সূত্র ধরে ৩ বিজেপি নেতাকে গ্রেফতার করেছে ঘাটাল থানার পুলিশ।  এরই মধ্যে চার ছাত্রর নিখোঁজ হওয়ার ঘটনাকে ঘিরে মঙ্গলের সকালেই তুঙ্গে ওঠে নাটক। মঙ্গলবার সকালে শুভেন্দুর অধিকারী অভিযোগ করেন, হাওড়া স্টেশন থেকে নিখোঁজ হয়ে গিয়েছেন চার ছাত্র। এক্স হ্যান্ডলে বিরোধী দলনেতা লেখেন , ' স্বেচ্ছাসেবকদের খাবার দিচ্ছিলেন ৪ ছাত্র। আচমকা মধ্যরাতের পর থেকে তাদের আর খোঁজ মিলছে না। .... আমাদের আশঙ্কা, মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের পুলিশ তাঁদের গ্রেফতার বা আটক করেছে। তাঁদের কিছু হলে সেই দায়িত্ব মমতার পুলিশকে নিতে হবে।'  


আপনার পছন্দের খবর আর আপডেট এখন পাবেন আপনার পছন্দের চ্যাটিং প্ল্যাটফর্ম হোয়াটস অ্যাপেও। যুক্ত হোন ABP Ananda হোয়াটস অ্যাপ চ্যানেলে  


গোলাবাড়ি থানায় এনিয়ে বিজেপির তরফে অভিযোগও দায়ের করা হয়। এরপরই  সমাজমাধ্যমে পোস্ট করে কলকাতা পুলিশ। তারা জানায় , নবান্ন অভিযানে 'লাশ ফেলে দেওয়ার ছক'-এ , তাঁদের গ্রেফতার করা হয়েছে। ঘটনায় কলকাতা হাইকোর্টের দ্বারস্থ হয়েছে চার ছাত্রর পরিবার। বিচারপতি রাজর্ষি ভরদ্বাজের দৃষ্টি আকর্ষণ করেন  শুভেন্দু অধিকারীও। মামলা দায়েরের অনুমতি দেন বিচারপতি, বুধবার মামলার শুনানির সম্ভাবনা রয়েছে।