হিন্দোল দে, কলকাতা: খোঁজ মিলল ২০১৪ সালের টেট উত্তীর্ণদের আন্দোলনের নেতৃস্থানীয় তিন জনের। গভীর রাতে করুণাময়ীতে পুলিশি অভিযানের পর থেকে আন্দোলনকারীরা অভিযোগ করেছিলেন যে ওই তিনজনের খোঁজ পাওয়া যাচ্ছে না।
পুলিশ জানিয়েছে:
পরে পুলিশ সূত্রে জানানো হয়, ওই তিনজন- অচিন্ত্য সামন্ত, অর্ণব ঘোষ ও অচিন্ত্য ধাড়াকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য আটক করা হয়। তাঁদের রাখা হয়েছে বিধাননগর পূর্ব থানায়। এছাড়া প্রায় ১৫০ জনকে প্রিভেন্টিভ অ্যারেস্ট করা হয়। তবে কোনও মহিলা আন্দোলনকারীরকে গ্রেফতার করা হয়নি বলে পুলিশ সূত্রে দাবি। মহিলাদের ধর্মতলা, শিয়ালদা ও হাওড়ায় পৌঁছে দেওয়া হয়। পাশাপাশি, পুলিশ সূত্রে খবর, যাঁদের প্রিভেন্টিভ অ্যারেস্ট করা হয়েছিল, তাঁদের পরে থানা থেকেই জামিন দেওয়া হয়।
পরে দেখা যায়..
বিধাননগর পূর্ব থানা থেকে তাঁদের বেরোতে দেখা যায়। কোনও পুলিশের গাড়ি নয়। একটি অ্যাপনির্ভর গাড়িতে তাঁদের বেরিয়ে যেতে দেখা যায়। তাঁদের সঙ্গে কোনও পুলিশ ছিল না। ওই তিন জনের অন্যতম অচিন্ত্য ধাড়া জানিয়েছেন, তাঁরা হাইকোর্টের দ্বারস্থ হতে চলেছেন। তাঁরা ঠিক রয়েছেন।
আন্দোলনকারীদের রাতের বেলা তুলে দেওয়ার ঘটনায় শুরু হয়েছে রাজনৈতিক তরজা। সমালোচনা করেছেন অভিনেত্রী-চিত্র পরিচালক অপর্ণা সেন।
শুভেন্দুর টুইট:
শুভেন্দু অধিকারী টুইটে লিখেছেন, 'পশ্চিমবঙ্গের বর্তমান পরিস্থিতি উদ্বেগজনক। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের পুলিশ সল্টলেকে প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদের অফিসের সামনে ২০১৪-র টেট উত্তীর্ণদের অবস্থানকে নির্মমভাবে বলপ্রয়োগ করে তুলে দিয়েছে। পশ্চিমবঙ্গ, না কি, হিটলারের জার্মানি?'
কটাক্ষ দিলীপ ঘোষেরও:
দিলীপ ঘোষ বলেন, "এই সরকার কাজও করবে না, তার বিরুদ্ধে আন্দোলনও করতে দেবে না। আমরা যখন রাস্তায় নামি সঙ্গে সঙ্গে পুলিশ চলে আসে, সরিয়ে দিচ্ছে, লাঠিপেটা করছে। যাঁরা পরীক্ষা দিয়ে পাস করেছেন, চাকরির জন্য আবেদন-নিবেদন করেছেন, তাঁরা অনশন করছেন। তিন দিন ধরে না খেয়ে ছিলেন। রাতের বেলায় পুলিশ তাঁদের নির্মমভাবে ওখান থেকে ধাক্কা মেরে তুলে দিয়েছে। এই সরকার নিজে গণতন্ত্রের কথা বলে। আর পশ্চিমবঙ্গে গণতন্ত্রের পরিবেশই নেই, যে নিজের বক্তব্য নিয়ে কথা বলতে পারে, আন্দোলন করতে পারে।"
পাল্টা তোপ কুণাল ঘোষের:
কুণাল ঘোষ বলেন, 'বছরে ২ কোটির চাকরির ভাঁওতা দিয়ে আপনারা ভোট পেয়েছিলেন। এখন যদি রেল, সেনা বাহিনী বা কেন্দ্রীয় সরকারের অন্য সরকারি পরীক্ষাগুলিতে পাশ করে, যারা নিজেদের যোগ্য মনে করছেন, তাঁরা যদি এবার, কেন্দ্রীয় সরকারের দফতরগুলির সামনে, চাকরির দাবিতে লাগাতার ধর্ণা শুরু করেন, তখন সামলাতে পারবেন তো?'