কৃষ্ণেন্দু অধিকারী, কলকাতা: চতুর্থীর দিন, প্রাথমিকে টেট এবং শিক্ষক নিয়োগের জোড়া বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করল প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদ। চাকরির জন্য, ২১ অক্টোবর থেকে অনলাইনে আবেদন করা যাবে। আবেদন করতে পারবেন ২০১৪ ও ২০১৭ সালের টেট উত্তীর্ণরাও। ১১ ডিসেম্বর TET’এর বিজ্ঞপ্তিও প্রকাশ করেছে প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদ।


পার্থ চট্টোপাধ্যায় থেকে অর্পিতা মুখোপাধ্যায়, কল্যাণময় গঙ্গোপাধ্যায় থেকে অশোক সাহা, সুবীরেশ ভট্টাচার্য। নিয়োগ দুর্নীতিতে গ্রেফতার হেভিওয়েটদের এবারের দুর্গা পুজো জেলেই কাটছে। অন্যদিকে দুর্নীতি বিরোধী অভিযানে একজোট বিচারপতিরা। বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়ের সঙ্গে লড়াইয়ে সামিল হওয়ার ঘোষণা করেছেন বিচারপতি বিশ্বজিৎ বসু। হাইকোর্টের সৌজন্যে যোগ্যতার স্বীকৃতি স্বরূপ পুজোর আগেই চাকরি পেয়েছেন ববিতা সরকার। চাকরি পেতে চলেছেন প্রিয়ঙ্কা সাউ।



আর এরইমধ্যে চাকরিপ্রার্থীদের আশা আরও বাড়িয়ে একসঙ্গে প্রাথমিকের টেট এবং প্রাথমিকে শিক্ষক নিয়োগের বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করল প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদ। নিয়োগের জন্য চাকরিপ্রার্থীরা ২১ অক্টোবর থেকে আবেদন করতে পারবেন। ২০১৪ এবং ২০১৭ সালের টেট উত্তীর্ণরাও আবেদন করতে পারবেন। ডিএলএড দেরিতে হওয়ায় এখনও রেজাল্ট বেরোয়নি। তাই দ্বিতীয় বর্ষের প্রার্থীরাও নিয়োগের জন্য আবেদন করতে পারবেন। 


আরও পড়ুন, মেধা তালিকায় নামই নেই, তবুও স্কুলে চাকরি? ববিতা-অঙ্কিতার দুর্নীতির ছায়া এবার মালদার রতুয়ায়


নিয়োগের বিজ্ঞপ্তিতে শূন্যপদের সংখ্যা উল্লেখ করা হয়নি। তবে তিনদিন আগেই প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদ ১১ হাজার শূন্যপদে নিয়োগের কথা জানায়। বৃহস্পতিবার ১১ ডিসেম্বর TET’এর বিজ্ঞপ্তিও প্রকাশ করা হয়েছে। ১৪ অক্টোবর থেকে অনলাইনে আবেদন করা যাবে। তৃণমূল জমানায় এখনও অবধি তিনবার টেট হয়েছে। প্রথমে ২০১২’তে টেটের বিজ্ঞপ্তি প্রকাশিত হয়। ২০১৩ সালে টেট পরীক্ষা হয়ে, সেবছরই ফল বেরোয়। তারপর টেটের বিজ্ঞপ্তি বেরোয় ২০১৪ সালে। ২০১৫ সালে পরীক্ষা হয়ে, ২০১৬ সালে রেজাল্ট বেরোয়। এরপর ২০১৭ সালে টেটের বিজ্ঞপ্তি প্রকাশিত হয়। ২০২১ সালে পরীক্ষা হয়ে ২০২২ সালে ফল প্রকাশিত হয়। 


এবার ফের টেট হতে চলেছে ডিসেম্বরে। সেই সঙ্গে নিয়োগ হতে চলেছে প্রাথমিকের শিক্ষক পদে। প্রাথমিকের শিক্ষক নিয়োগে ভুরি ভুরি দুর্নীতির অভিযোগ উঠেছে। যার জেরে যোগ্য প্রার্থীদের বঞ্চিত করে অযোগ্যরা চাকরি পেয়েছেন বলে অভিযোগ। সারা রাজ্য যখন পুজোর আনন্দে মাতোয়ারা। তখন দিনের পর দিন রাস্তায় বসে চোখের জল ফেলছেন সেই বঞ্চিত চাকরিপ্রার্থীরা। ইতিমধ্যে কলকাতা হাইকোর্টের নির্দেশে দফায় দফায় চাকরি পেয়েছেন অনেকে। 


কিন্তু, বাকিদের কী হবে? আরও কতদিন এভাবে খোলা আকাশের নীচে বসে থাকতে হবে? কতদিন এই অনিশ্চয়তা নিয়ে দিন কাটাতে হবে? যোগ্য প্রার্থীরা কতদিনে হকের চাকরি পাবেন? সেই উত্তর নেই কারও কাছে।