সৌভিক মজুমদার, কলকাতা:  বিশ্বভারতী বিশ্ববিদ্যালয়ের মাঠে পৌষ মেলার অনুমতি দিল না কলকাতা হাইকোর্ট (Calcutta High Court)। এ বিষয়ে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষের (Visva-Bharati Universitya সিদ্ধান্তই চূড়ান্ত। নির্দেশ দিলেন প্রধান বিচারপতি। এবারও কি পৌষমেলা হবে? এখন সেটাই দেখার


শান্তিনিকেতনে (Shantiniketan) পৌষমেলা হবে কি না তা নিয়ে অনিশ্চয়তা অব্যাহত! বিশ্বভারতী বিশ্ববিদ্যালয়ের (Visva-Bharati Universitya) মাঠে পৌষ মেলার অনুমতি দিল না কলকাতা হাইকোর্ট। মেলা হবে কিনা, তা নিয়ে সিদ্ধান্ত নেওয়ার ভার বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষের হাতেই ছাড়ল আদালত। 


শান্তিনিকেতনে পৌষ উত্সবকে কেন্দ্র করে ২৩ ডিসেম্বর থেকে পূর্বপল্লীর মাঠে শুরু হয় পৌষমেলা (poush mala)৷ ঐতিহ্যবাহী এই মেলার টানে লাল মাটির দেশে ভিড় জমান দেশ, বিদেশের পর্যটকরা। কিন্তু গত ২ বছর ধরে বন্ধ পৌষমেলা। এবারও মেলা নিয়ে চলছে টানাপোড়েন। 


এই পরিস্থিতিতে বিশ্বভারতীর মাঠে মেলা করতে দেওয়ার আবেদন করে আদালতের দ্বারস্থ হন বোলপুরের এক বাসিন্দা । সেই মামলাই ফেরাল কলকাতা হাইকোর্টের (Calcutta High Court) প্রধান বিচারপতির ডিভিশন বেঞ্চ। প্রধান বিচারপতি প্রকাশ শ্রীবাস্তব বলেন, এ বিষয়ে বিশ্বভারতী বিশ্ববিদ্যালয় (Visva-Bharati Universitya) কর্তৃপক্ষ চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেবে। 


ইতিমধ্যে রাজ্য সরকারের তরফেও পৌষ মেলার জন্য বিকল্প জায়গার সন্ধান দেওয়া হয়েছে । এই প্রেক্ষিতে প্রশ্ন হল, এ বছর কি পৌষমেলা আদৌ হবে?হলে কোথায় হবে? পূর্বপল্লীর মাঠে? না কি অন্য কোথাও?


এ বছর পৌষমেলা (Poushmela) হচ্ছে শান্তিনিকেতনে (Shantiniketan)। বিতর্ক সরিয়ে মেলার আয়োজন করতে চেয়ে রাজ্যের স্বরাষ্ট্র সচিবকে (Home Secretary) চিঠি দেন বিশ্বভারতীর (Visva-Bharati University) উপাচার্য। মেলার প্রস্তুতি নেওয়ার অনুরোধ জানিয়ে শান্তিনিকেতন (Shantiniketan) ট্রাস্টকেও চিঠি দেয় বিশ্বভারতী কর্মী পরিষদ।


শান্তিনিকেতনে পৌষমেলার প্রস্তুতি: শান্তিনিকেতনে ফিরবে পৌষমেলা। রাজ্যের কাছে সহযোগিতার আবেদন করে বিশ্বভারতী কর্তৃপক্ষের। শান্তিনিকেতনে পৌষ উত্সব। এই উত্সবকে কেন্দ্র করে ২৩ ডিসেম্বর থেকে পূর্বপল্লীর মাঠে শুরু হয় পৌষমেলা ৷ ঐতিহ্যবাহী এই মেলার টানে প্রতিবার লাল মাটির দেশে ভিড় জমান দেশ, বিদেশের পর্যটকরা। করোনাকালে সেই আনন্দোত্সবে ভাঁটা পড়ে। ২০২০ ও ’২১, এই ২ বছর বন্ধ ছিল পৌষ মেলা। করোনা কাটিয়ে এ বছর মেলার আয়োজন করতে চায় বিশ্বভারতী কর্তৃপক্ষ। সহযোগিতা চেয়ে রাজ্যের স্বরাষ্ট্র সচিবকে চিঠি দেলন উপাচার্য বিদ্যুৎ চক্রবর্তী।