কলকাতা: স্কুলে বেআইনি শিক্ষক নিয়োগ মামলায় এসএসসির উপদেষ্টা, প্রাক্তন চেয়ারম্যান-সহ ৩ জনকে এজলাসে তলব করল হাইকোর্ট। বুধবার দুপুর ২টোয় তাঁদের আদালতে উপস্থিত হওয়ার নির্দেশ দিয়েছেন বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়। মেধাতালিকায় নীচের দিকে নাম থাকা সত্বেও, মুর্শিদাবাদে অঙ্কের শিক্ষক হিসেবে ৬ জনকে নিয়োগের সুপারিশ করে এসএসসি। ৬ জনের মধ্যে ৩ জন গতকাল আদালতে উপস্থিত হয়ে দাবি করেন, সুপারিশ সত্বেও তাঁরা কেউ ওই চাকরিতে যোগ দেননি। আগামী বুধবার ওই ৩ জনকেও প্রামাণ্য নথি আদালতে জমা দিতে নির্দেশ দিয়েছে হাইকোর্ট। প্রয়োজনে অনিয়মের অভিযোগের অনুসন্ধানের ভার ফের সিবিআইকে দেওয়া হতে পারে বলে ইঙ্গিত দিয়েছে আদালত।
উল্লেখ্য কিছুদিন আগেই নবম-দশম শিক্ষক নিয়োগে সিবিআই (CBI) অনুসন্ধানের নির্দেশকে চ্যালেঞ্জ করে রাজ্য (West Bengal)। সিঙ্গল বেঞ্চের নির্দেশকে চ্যালেঞ্জ করে ডিভিশন বেঞ্চে রাজ্য (West Bengal)। গতকাল নবম-দশম শ্রেণির এসএসসি-র (SSC) শিক্ষক নিয়োগে দুর্নীতির অভিযোগ আনা হয়। এই মামলায় এবার হাইকোর্টের বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায় বলেন, ‘প্যানেলে নাম নেই, তা সত্ত্বেও কীভাবে নিয়োগ? এটা চরম বিস্ময়ের, তদন্ত করুক জয়েন্ট ডিরেক্টর। কী করে এটা হল খুঁজে বের করতে হবে সিবিআইকে’।
বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়ের নির্দেশকে চ্যালেঞ্জ জানিয়েই ডিভিশন বেঞ্চে গেল রাজ্য। নির্দেশের ওপর অন্তর্বর্তী স্থগিতাদেশের আবেদন জানানো হয়েছে। অন্তর্বর্তী স্থগিতাদেশ চেয়ে ডিভিশন বেঞ্চের দৃষ্টি আকর্ষণ করতে চায় রাজ্য়। বিচারপতি সৌমেন রায়ের ডিভিশন বেঞ্চের দৃষ্টি আকর্ষণ করে দ্রুত শুনানির আবেদন জানানো হয়েছে রাজ্যের তরফে। সূত্রের খবর রাজ্যের আবেদন মঞ্জুর হয়েছে। আগামীকাল মামলার শুনানি।
আরও পড়ুন: Kolkata: রবিনসন স্ট্রিট কাণ্ডের ছায়া, নিউটাউনে ছেলে ও মেয়ের মৃতদেহ আগলে মা
শুধু তাই নয়, এ প্রসঙ্গে আদালত জানায় ‘এই দুর্নীতির পিছনে কারা আছে খুঁজে বের করুক সিবিআই। নেপথ্যে আর্থিক লেনদেন থাকলেও খুঁজে বের করুক। যাঁদের হাতের পুতুল সরকারি অফিসাররা, তাঁদেরও খুঁজে বের করতে হবে। এসএসসি-র চেয়ারম্যানের রিপোর্টেও তালিকার বাইরে নিয়োগের উল্লেখ।' ২৮ মার্চের মধ্যে সিবিআই-কে প্রাথমিক রিপোর্ট জমার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে প্রধান বিচারপতির তরফে।