কলকাতা: বৃষ্টি শুরু হতেই ফের জানান দিতে শুরু করেছে স্ক্রাব টাইফাস। ইতিমধ্যেই আক্রান্ত হয়েছে একটি শিশু। কোলাঘাটের বাসিন্দা এই শিশুর শরীরে স্ক্রাব টাইফাসের সংক্রমণ হয়েছে বলে জানিয়েছেন চিকিৎসকরা। হাওড়ার বাসিন্দা এক শিশুও স্ক্রাব টাইফাসে আক্রান্ত পার্ক সার্কাসের শিশু হাসপাতালে তার চিকিৎসা চলছে।
শহরে ফের স্ক্রাব টাইপাসের (Scrub Typhus) হানা! চিকিত্সকরা বলছেন, বিশেষ ধরনের পোকার কামড় থেকেই সংক্রমণ হয় স্ক্রাব টাইফাসের। এই সময়ে যার প্রকোপ দেখা দেয় সব থেকে বেশি। চিকিৎসকরা বলছেন, ডেঙ্গি (Dengue) যেমন এডিস মশার কামড়ে হয়, তেমনই ট্রম্বিকিউলিড মাইটস নামে এক ধরনের পোকার কামড়ে শরীরে ঢোকে স্ক্রাব টাইফাস ব্যাকটিরিয়া! রোগের উপসর্গ একেবারে ডেঙ্গির মতো। আর ডেঙ্গি, স্ক্রাব টাইফাস আর করোনার মধ্যে প্রাথমিক উপসর্গই হল জ্বর। এই অবস্থায় চিকিৎসকদের পরামর্শ, জ্বর এলে প্যারাসিটামল খেয়ে অপেক্ষা নয়। দ্রুত ডাক্তারের কাছে যান। প্রথমেই ধরা পড়লে স্ক্রাব টাইফাসের দ্রুত মোকাবিলা সম্ভব। রোগ নির্ণয়ে দেরি হলেই প্রাণঘাতী হয়ে ওঠে স্ক্রাব টাইফাস ।
সর্দি-গর্মি ছাড়া ৪-৬ দিন টানা জ্বর দেখলে ফেলে রাখবেন না। ডেঙ্গু বা স্ক্রাব টাইফাস (Scrub Typhus), যে কোনও একটি হতে পারে। তাছাড়া চিকিৎসকদের মতে, দ্রুত রোগ ধরা পড়লে, বিশেষ অ্যান্টিবায়োটিক দিলে তাড়াতাড়ি সেরে ওঠা সম্ভব। না হলে মাল্টি অর্গ্যান ফেলিওর হয়ে মৃত্যু পর্যন্ত হতে পারে।
এই রোগের মূল লক্ষণগুলি কী কী?
- সাধারণ জ্বরের মতোই এই রোগেও এই লক্ষণগুলি দেখা যায়
- গা-হাত-পায়ে ব্যথা
- শরীরে পোকা কামড়ানোর দাগ পাওয়া যায়
- মাথা ব্যথা
- টানা জ্বর
- গায়ে-হাতে পায়ে প্রচণ্ড যন্ত্রণা
- লো ব্লাড প্রেশার
- চোখের পিছনে ব্যথা
- কোনও কোনও ক্ষেত্রে সর্দি
- সারা শরীরে র্যাশ
- বমি
- পেটের সমস্যা
- কী করবেন
- মাকড় কিন্তু বেশিরভাগ গাছগাছালিতে থাকে। তাই বাগানে বা ঝোপে বাচ্চা যেন খালি পায়ে না যায়।
- বাচ্চাকে যথাসম্ভব ঢাকা জামাকাপড় পরিয়ে বাইরে পাঠান।
- বড়রা কিন্তু প্রায়ই বাইরে যাচ্ছেন। আর তাদের জামাকাপড়ের সঙ্গেও ঘরের ভিতর ঢুকে আসতে পারে এই মাকড় ।
- তাই বাইরের জামাকাপড় পরে কোনওমতেই শিশুদের কাছে যাবেন না। আগে জামা পরিবর্তন করুন। তারপর বসুন ।
- বাচ্চাকে এই সময় কাদা-মাটি-ঘাস-গাছগাছালি থেকে দূরে রাখুন।
- জ্বর এলেই নজর রাখুন শিশুর শরীরে উপর্যুক্ত উপসর্গগুলি দেখা যাচ্ছে কি না।
কী খবর আবহাওয়ার? অন্যদিকে বঙ্গোপসাগরে ফের তৈরি হল ঘূর্ণাবর্ত। আগামী ২৪ ঘণ্টায় তা পরিণত হতে পারে নিম্নচাপে। এর প্রভাবে উপকূলবর্তী জেলাগুলিতে ভারী বৃষ্টির সম্ভাবনা। জানাল আলিপুর আবহাওয়া দফতর।
রাজ্যজুড়ে শুরু হয়েছে বৃষ্টি। সেই সঙ্গে থাকছে বজ্রপাতের আশঙ্কা। স্বস্তির মধ্যেই অস্বস্তির বার্তা। আলিপুর আবহাওয়া দফতর জানিয়েছে, বঙ্গোপসাগরে তৈরি হয়েছে একটি ঘূর্ণাবর্ত। আগামী ২৪ ঘণ্টায় তা শক্তিশালী হয়ে পরিণত হতে পারে নিম্নচাপে। এর প্রভাবে দক্ষিণ ২৪ পরগনা, দুই মেদিনীপুর এবং ঝাড়গ্রামে ভারী বৃষ্টির সম্ভাবনা।
আবহাওয়া দফতর জানিয়েছে, আগামী তিনদিন গোটা দক্ষিণবঙ্গেই কম-বেশি বৃষ্টি হবে। কলকাতা - সহ বিভিন্ন জেলায় হতে পারে বজ্রবিদ্যুৎসহ বৃষ্টি। অন্যদিকে, দার্জিলিং ও কালিম্পঙে ভারী বৃষ্টি চলবে। ইতিমধ্যেই তিস্তা, তোর্সা, জলঢাকা-সহ উত্তরবঙ্গের নদীগুলির জলস্তর বেড়েছে। আরও বৃষ্টি হলে নিচু এলাক প্লাবিত হওয়ার আশঙ্কা রয়েছে।