কলকাতা: মধ্যপ্রদেশের খাণ্ডোয়া থেকে ধৃত সন্দেহভাজন জঙ্গিকে ট্রানজিট রিমান্ডে নিয়ে আসা হল কলকাতায়। আজ ব্যাঙ্কশাল আদালতে তোলা হবে আবদুল রকিব কুরেশিকে। STF সূত্রে জানা গেছে, সন্দেহভাজন জঙ্গিরা নিজেদের মধ্যে যোগাযোগ রাখতে সিক্রেট চ্যাট অ্যাপ ব্যবহার করত। তার মাধ্যমেই সাঙ্কেতিক ভাষায় চলত কথাবার্তা। কোথায় নাশকতার ছক ছিল? কারা ছিল নিশানায়? সন্দেহভাজন জঙ্গিদের মডিউল এ রাজ্যে কতটা ছড়িয়েছে? হ্যান্ডলার কারা? এসবই এখন তদন্তকারীদের কাছে বড় প্রশ্ন। ধৃত সন্দেহভাজন জঙ্গিদের জেরা করে এসব প্রশ্নের উত্তর খুঁজছে STF।
মধ্যপ্রদেশের খাণ্ডোয়া থেকে আরও এক সন্দেহভাজন IS জঙ্গিকে গ্রেফতার করে কলকাতা পুলিশের STF। ধৃতের নাম আবদুল রকিব কুরেশি। তার কাছ থেকে উদ্ধার হয় পেন ড্রাইভ, মোবাইল ফোন। রকিব কুরেশি এক সময়ে নিষিদ্ধ সংগঠন SIMI-র সদস্য ছিল। মহম্মদ সাদ্দামের সঙ্গে যোগাযোগ রাখার জন্যই এবার তাকে গ্রেফতার করা হয়েছে বলে STFএর দাবি। STF সূত্রে জানা গেছে, বহুদিন ধরেই নাশকতার পরিকল্পনা করছিল সন্দেহভাজন IS জঙ্গিরা। ২০১৯-এ ৮ মাসের জন্য নয়ডায় যায় মহম্মদ সাদ্দাম। ফিরে এসে বেসরকারি সংস্থায় চাকরি নেওয়ার পাশাপাশি, IS জঙ্গি সংগঠনের সঙ্গে যোগাযোগ করে ওই যুবক। STF-র দাবি, তিনজনের মগজ ধোলাই করেছিল সাদ্দাম।
বিদেশি আগ্নেয়াস্ত্র নিয়ে পড়াশোনাও করেছিল। এরপর নিজের টাকাতেই অস্ত্র কেনার পরিকল্পনা করে সাদ্দাম। খুনের ছক করলেও, টার্গেট স্থির হয়নি। মোক্ষম সময়ে সাদ্দামকে ধরে ফেলাতেই নাশকতার ছক বানচাল হয়েছে বলে মনে করছে STF। তবে সন্দেহভাজন IS জঙ্গিদের নিশানায় কারা ছিলেন? কোথায় হামলা চালানোর পরিকল্পনা ছিল? ধৃতদের জেরা করে এই সমস্ত প্রশ্নের উত্তর খুঁজছে STF।
ধৃত দুই সন্দেহভাজন IS জঙ্গি মহম্মদ সাদ্দাম, ও সইদ আহমেদের সূত্র ধরে মধ্যপ্রদেশের খাণ্ডোয়া থেকে আরও এক সন্দেহভাজন IS জঙ্গিকে গ্রেফতার করল কলকাতা পুলিশের এসটিএফ।
এসটিএফ সূত্রে দাবি,রকিব কুরেশি একসময় নিষিদ্ধ সংগঠন SIMI'র সদস্য ছিল। মহম্মদ সাদ্দামের সঙ্গে যোগাযোগ ছিল ধৃত রকিব কুরেশির। ধৃতের কাছে উদ্ধার হয় পেন ড্রাইভ, মোবাইল ফোন।
এদিক, ধৃত ২ সন্দেহভাজন জঙ্গি জেরায় উঠে আসছে একের পর এক চাঞ্চল্যকর তথ্য। এসটিএফ সূত্রে দাবি, ২০১৯-এ ৮ মাসের জন্য নয়ডায় যায় সাদ্দাম। বেসরকারি সংস্থায় চাকরি নিয়েই IS জঙ্গি সংগঠনের সঙ্গে যোগাযোগের চেষ্টা শুরু করে করে সে। ৩ জনের মগজধোলাইও করেছিল সাদ্দাম। বিদেশি আগ্নেয়াস্ত্র নিয়ে পড়াশোনাও করেছিল। এরপর সে নিজের টাকাতেই অস্ত্র কেনার পরিকল্পনা করে। খুনের ছকও কষেছিল, কিন্তু টার্গেট স্থির করেনি।
তদন্তকারীরা মনে করছেন, সঠিক সময়ে সাদ্দামকে ধরে ফেলাতেই ছক বানচাল হয়েছে। তাঁরা জানার চেষ্টা করছেন,
সন্দেহভাজন IS জঙ্গিদের নিশানায় কারা ছিলেন? কোথায় হামলা চালানোর পরিকল্পনা ছিল? এনিয়ে শুরু হয়েছে রাজনৈতিক তরজা। জঙ্গিদের জাল কতদূর বিস্তৃত? আর কার জড়িত? ধৃত সন্দেহভাজন আইএস জঙ্গিদের জেরা করে জানতে চায় এসটিএফ।