মলয় চক্রবর্তী, শিলিগুড়ি (দার্জিলিং): ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ড শিলিগুড়ি শহর সংলগ্ন চম্পাসারির সমরনগর বউবাজার এলাকায়। সেখানে পরপর তিনটি বাড়িতে আগুন লেগে যায়। আগুনের তীব্রতা এতই ছিল যে নিমেষের মধ্যে তিনটি বাড়িই ভস্মীভূত হয়ে যায়। স্থানীয় বাসিন্দারা হঠাৎ আগুন দেখতে পেয়ে এগিয়ে আসেন এবং আগুন নিয়ন্ত্রণের কাজে হাত লাগান। তৎক্ষণাৎ খবর দেওয়া হয় দমকলকে।


স্থানীয় বাসিন্দাদের থেকে খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে দমকলের দুটি ইঞ্জিন এসে পৌঁছয়। এরপর ধীরে ধীরে তাদের চেষ্টায় আগুন নিয়ন্ত্রণে আসে। তবে ঠিক কতটা পরিমাণে ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে তা এখনও জানা যায়নি। এমনকী কী কারণে বা কীভাবে হঠাৎ এমন ভয়াবহ আগুন লাগল তাও জানা যায়নি।


দুই দিন আগেই সোনারপুরের রাসায়নিকের কারখানায় আগুন লাগে। ঘটনাস্থলে পৌঁছয় দমকলের তিনটি ইঞ্জিন। প্রায় তিন ঘণ্টা কেটে গেলেও আগুন নিয়ন্ত্রণে আনা সম্ভব হয়না প্রথমে। রাতভর বৃষ্টিতে বানভাসি শহরে সকালেও অব্যাহত ছিল বৃষ্টি। তারমধ্যেই ভয়াবহ এই অগ্নিকাণ্ডে আতঙ্ক ছড়ায় এলাকায়। অন্যদিকে জানা যায় দাহ্য পদার্থ মজুত থাকার কারণে দ্রুত ছড়িয়েছে আগুন। দমকল যুদ্ধকালীন তৎপরতায় পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনার চেষ্টা চালাতে থাকে। কালো ধোঁয়ায় ছেয়ে যায় গোটা এলাকা।  


প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, ভোর সাড়ে ৪টে নাগাদ বাজ পড়ার শব্দে বাইরে বেরিয়ে দেখেন, কারবালা মোড়ে জুতোর আঠা তৈরির কারখানা দাউদাউ করে জ্বলছে। আশেপাশে ঘনবসতি থাকায় ছড়িয়ে পড়ে আতঙ্ক।  প্রথমে ৩টি এবং পরে ঘটনাস্থলে যায় দমকলের ৪টি ইঞ্জিন যায়। দীর্ঘক্ষণ ধরে আগুন নিয়ন্ত্রণে আনার চেষ্টা চলতে থাকে। 


গত ১১ সেপ্টেম্বর নিমতলা ঘাট স্ট্রিটের পর গার্ডেনরিচের একটি গুদামে ভয়াবহ আগুন লাগে। এই আগুন নেভাতে ঘটমাস্থলে আসে দমকলের ২০টি ইঞ্জিন। দীর্ঘক্ষণ জ্বলতে থাকে আগুন। টানা দুদিন ধরে চলে এই পরিস্থিতি। ১০ টি গুদাম সম্পূর্ণ ভস্মীভূত হয়ে যায়। ১১ সেপ্টেম্বর অর্থাৎ শনিবারের আগুন নেভাতে রবিবার সকালেও দমকলের ১০ টি ইঞ্জিন নামাতে হয়। কীভাবে আগুন লাগল তার কারণ অনুসন্ধানে সোমবার আধিকারিকদের সঙ্গে বৈঠক করেন দমকল মন্ত্রী। খতিয়ে দেখা হবে গোডাউনগুলির অগ্নিনির্বাপন ব্যবস্থা।