মুর্শিদাবাদ: পঞ্চায়েত ভোটের (panchayat election) আগে ফের অশান্ত মুর্শিদাবাদ (murshidabad irritation)। অল্পের জন্য রক্ষা পেলেন তৃণমূল নেতা। রানিনগরে তৃণমূল নেতা খুনের পরের দিনই নওদায় আরেক নেতার উপরে হামলার (TMC Leader Attacked) অভিযোগ। মধুপরে তৃণমূল পঞ্চায়েত প্রধানকে লক্ষ্য করে বোমাবাজির অভিযোগ।
কী ঘটেছিল?
অভিযোগ, নওদার মধুপুরে তৃণমূলের পঞ্চায়েত প্রধানকে লক্ষ্য করে বোমাবাজি করা হয়েছে। তৃণমূল নেতা সেলিম রেজাকে লক্ষ্য করে বোমাবাজি ওঠে এদিন। তবে অল্পের জন্য রক্ষা পান ওই নেতা। কিন্তু নেতার উপর হামলার নেপথ্যে কারা? এখনও ধোঁয়াশা কাটেনি। এর আগেও মুর্শিদাবাদে এক তৃণমূল নেতার খুন নিয়ে হইচই পড়ে গিয়েছিল। নদিয়ার সেই তৃণমূল নেতা খুনে এক সপ্তাহের মধ্যেই অবশ্য ৪ জনকে গ্রেফতার করে পুলিশ।
নতুন যা ঘটল...
গত ২৪ নভেম্বর ছেলের সঙ্গে দেখা করতে গিয়ে নওদায় খুন হন পঞ্চায়েত প্রধানের স্বামী ও নদিয়ার তৃণমূল নেতা মতিরুল ইসলাম ।খুনের ঘটনায় প্রথমেই গোষ্ঠীদ্বন্দ্বের অভিযোগ উঠেছিল। দেহরক্ষীর সামনেই নদিয়ার ওই নেতাকে খুন করা হয়েছিল বলে শোনা যায়। আরও নির্দিষ্ট করে বললে, দলের নেতার বিরুদ্ধেই হামলার অভিযোগ ওঠে। প্রাথমিক ভাবে শোনা যায়, ইটভাটার বখরা নিয়ে বিবাদে খুন করা হয় মতিরুল ইসলামকে। দুয়ারে সরকার ক্যাম্প করে ছেলের সঙ্গে দেখা করতে গিয়েছিলেন মতিরুল। দেহরক্ষীর সামনেই বোমা-গুলি চলে। প্রাথমিক তদন্তে উঠে আসে, নওদা থেকে করিমপুরে ফেরার সময় রাস্তা আটকানো হয়েছিল মতিরুলের। তার পরই গুলি, বোমা চলে। আঙুল ওঠে নওদার ব্লক তৃণমূল সভাপতির বিরুদ্ধে খুনের অভিযোগ। মিথ্যে অভিযোগ, পাল্টা দাবি ছিল নওদার ব্লক তৃণমূল সভাপতির। এমনকি শাসকদলের নেতা-নেত্রীদের বিরুদ্ধে থানায় এফআইআরও করেছিল নিহতের পরিবার। যাঁদের বিরুদ্ধে এফআইআর করা হয়, তাঁদের মধ্যে রয়েছেন নদিয়া জেলা পরিষদের সদস্য টিনা ভৌমিক ও নওদার তৃণমূল ব্লক সভাপতি সফিউজাম্মান শেখ। তবে হঠাৎ এই হামলার আসল কারণ কী, সেটা তদন্ত এগোলেই স্পষ্ট হবে। পঞ্চায়েত ভোটের মুখে এই ঘটনায় তেতে ওঠে রাজ্য-রাজনীতি। পুলিশের ভূমিকা নিয়ে প্রশ্ন তুলে CBI তদন্তের দাবি জানান নিহতের স্ত্রী। সেই ঘটনায় শনিবার নদিয়ার থানারপাড়া এলাকা থেকে আসান শেখ ও মুরুটিয়া থানা এলাকা থেকে কিতাব মণ্ডল নামে ২ ব্যক্তিকে গ্রেফতার করে পুলিশ।
আরও পড়ুন:'এপাং-ওপাং-ঝপাং...! এমন অখাদ্য জিনিস রাখবেন না', বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায়ের মন্তব্যে বিতর্ক