সন্দীপ সরকার, রাজীব চৌধুরী, কলকাতা : মারা গেলেন ভগবানগোলার তৃণমূল বিধায়ক ইদ্রিশ আলি। শুক্রবার ভোররাতে শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করলেন ভগবানগোলার বিধায়ক। রাত ২টো ২০ মিনিট নাগাদ তাঁর মৃত্যু হয়। হাওড়ার একটি বেসরকারি হাসপাতালে ভর্তি ছিলেন তিনি।
দীর্ঘদিনই শারীরিক কষ্টে ছিলেন। একাধিক রোগে ভুগছিলেন এই প্রবীন রাজনীতিক। অনেকদিনই কাজকর্ম করতে অপারগ ছিলেন। বাড়ি থেকেও বেরতে পারতেন না। তাঁর মৃত্যুকে শোকাহত রাজনৈতিক মহল।
বসিরহাট লোকসভার প্রাক্তন সাংসদ ইদ্রিশ আলি। বেশ কিছুদিন ধরে বাইরে বেরতেও পারছিলেন না। তাঁর এই মৃত্যুতে শোকের ছায়া রাজনৈতিক মহলে। শোকবার্তা জানিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রীও। মৃত্যুকালে বয়স হয়েছিল ৭৩ বছর।
দীর্ঘদিন অসুস্থ ছিলেন বলেই চলতি বিধানসভা অধিবেশনে উপস্থিত থাকতে পারেননি ইদ্রিশ আলি। ইদানীং শারীরিক অবস্থার খুবই অবনতি হয়। তাই তাঁকে ভর্তি করা হয় হাসপাতালে।
শুক্রবার সকাল এগারোটা নাগাদ তাঁর মৃতদেহ নিয়ে আসা হবে বিধানসভায়। সেখানেই শেষ শ্রদ্ধা জানানো হবে। এদিনই তাঁকে সমাধিস্থ করা হবে।
ইদ্রিশ আলির রাজনৈতিক জীবন শুরু কংগ্রেসে। তাঁর রাজনীতিতে আসা কংগ্রেস নেতা সোমেন মিত্রর হাত ধরে। ২০১১ সালে তিনি ভোটে লড়েন তৃণমূলের হয়ে। সেবার জয় পাননি। ২০১৪ সালে বসিরহাট লোকসভা কেন্দ্র থেকে তিনি জয়ী হয়ে সাংসদ হন। ২০২১ সালের বিধানসভা ভোটে তিনি ভগবানগোলা আসনে জিতে বিধায়ক হন।
বারবারই বিতর্কিত মন্তব্য করে শিরোনামে উঠে আসতেন ইদ্রিশ আলি। গত পঞ্চায়েত ভোটের আগে তাঁর মন্তব্য দলকে রীতিমতো অস্বস্তিতে ফেলে দেয়। ৩০ থেকে ৪০ লক্ষ টাকায় বিলি হচ্ছে পঞ্চায়েতের পদ, দলের অস্বস্তি বাড়িয়ে এমন বিস্ফোরক দাবি করেন তিনি। তিনি আরও বলেছিলেন, 'এই মন্তব্য ঘিরে কম বিতর্ক হয়নি। এছাড়াও চন্দ্রযান অভিযান নিয়েও ইদ্রিসের মন্তব্যে বিতর্ক হয়। 'যে টাকায় চন্দ্রাভিযান হচ্ছে, সে টাকায় উন্নয়ন সম্ভব। গরিবরা খেতে পাচ্ছে না' এমন মন্তব্য করেছিলেন তিনি।