কলকাতা : "আমার বিরুদ্ধে কিছু থাকলে কোর্টে জমা দাও। কে বারণ করেছে ? আমাকে গ্রেফতার করো।" নিয়োগ দুর্নীতিতে ম্যারাথন জেরা শেষে বেরিয়ে এই ভাষাতেই ইডি-কে (Enforcement Directorate) চ্যালেঞ্জ জানালেন অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় (Abhishek Banerjee)।
১৩ সেপ্টেম্বর, বুধবার। বিরোধী জোট ইন্ডিয়ার প্রথম কোঅর্ডিনেশন কমিটির বৈঠক। আর এদিনেই নিয়োগ দুর্নীতিকাণ্ডে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য় অভিষেক বন্দ্য়োপাধ্য়ায়কে ম্য়ারাথন জিজ্ঞাসাবাদ করল ED। দুইয়ের মধ্য়ে দ্বিতীয় গন্তব্য়তেই গেলেন অভিষক। বুধবার সকালে, CGO কমপ্লেক্সে পৌঁছে যান তৃণমূল সাংসদ। প্রাথমিকে নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় বুধবার অভিষেক বন্দ্য়োপাধ্য়ায়কে ৮ ঘণ্টার বেশি সময় ধরে ম্যারাথন জিজ্ঞাসাবাদ করে কেন্দ্রীয় এই সংস্থা। 'শুধুই সময় নষ্ট', সিজিও কমপ্লেক্স থেকে বেরিয়ে বললেন অভিষেক বন্দ্যোপাধ্য়ায়। 'যারা রাজনৈতিকভাবে লড়তে পারে না, তারা ক্ষমতার অপব্যবহার করে।' বিজেপিকে নিশানা করে বলেন তৃণমূলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক।
শুধু তা-ই নয় চ্যালেঞ্জ ছুড়লেন ইডিকেও। অভিষেক বলেন, "ইডি-কে বলুন আমায় গ্রেফতার করতে। ছাড়ছে কেন ? আমার বিরুদ্ধে প্রমাণ থাকলে তা কোর্টে জমা দিচ্ছে না কেন ইডি ? কোর্ট তো চাইছে। ইডিকে কে বারণ করছে ? আমি তো ইডি চালাই না। আমি তো ইডির দফতরের বাইরে ইডিকে চ্যালেঞ্জ করে যাচ্ছি, আমার বিরুদ্ধে কিছু থাকলে কোর্টে জমা দিন। কেউ তো বারণ করছে না। কোর্টে জমা দিলে কোর্ট তো আমাকে কোনওরকম রক্ষাকবচ দেবে না। সুপ্রিম কোর্টে ক্ষমা চাইতে হয়েছে ইডিকে। খুব সাম্প্রতিক ঘটনা। দুই বছর-চার বছর নয়, দুই মাস আগের ঘটনা। আমার বিরুদ্ধে কিছু থাকলে কোর্টে জমা দাও। কে বারণ করেছে ? আমাকে গ্রেফতার করো। চার বছরে এনিয়ে আমি পাঁচ বার এলাম, আমার স্ত্রী চার বার এসেছেন। নয়বার। ইডি-সিবিআই মিলিয়ে নয় বার। দুই বছরে। আমি তো এড়িয়ে যাইনি।"
তৃণমূলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক আরও বলেন, "আমি তো এড়িয়ে যাচ্ছি না। পালিয়ে যাচ্ছি না। আমাকে যতবার ডেকেছে, আমি এসেছি। আগের বছর সেপ্টেম্বর মাসে এসেছিলাম। সিবিআই-ইডি অফিসে আসতে আসতে আপনাদের সঙ্গে দেখা তো হয় দুই মাস-তিন মাস অন্তর অন্তর। প্রচলিত প্রথা হয়ে গেছে। আবার দুই মাস পর ডাকবে, তিন মাস পর ডাকবে। আবার আসবে। সুজয় ভদ্রের বিরুদ্ধে যা প্রমাণ আছে কোর্টে জমা দিক, কেস চলবে। কোর্টে চলছে, বিচারাধীন।"