কলকাতা: শনিবার সকাল সকাল ভারতে তৈরি তেজস (Tejas) যুদ্ধবিমানে চেপে আকাশে উড়ছেন প্রধানমন্ত্রী (Prime Minister)। জলপাই রংয়ের পোশাক, হেলমেট এবং কালো রোদ চশমায়, ঝলমলে উপস্থিতি ছিল নরেন্দ্র মোদির (Narendra Modi)। বেঙ্গালুরুর হিন্দুস্তান অ্যারোনটিক্স লিমিটেডের অফিসে যান। এরপর যুদ্ধবিমান ‘তেজসে’ সওয়ার হন মোদি। চক্কর কাটেন আকাশে। পাইলটদের কায়দায় থামস আপও দেখান ক্যামেরায়। এমনকী সোশাল মিডিয়ায় উড়ানের ছবি পোস্ট করে প্রধানমন্ত্রী লেখেন, অবিশ্বাস্য অভিজ্ঞতা। তেজসে চড়ার পর, ভারতীয় বায়ুসেনা, DRDO এবং হ্যালকে অভিনন্দন জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী। এ নিয়েই এদিন প্রধানমন্ত্রীকে কটাক্ষ করেছেন তৃণমূল সাংসদ শান্তনু সেন।
এদিন তৃণমূল নেতা বলেন, 'যে কোনও মুহূর্তে ভেঙে পড়তে পারে যুদ্ধবিমান', মোদির তেজস যুদ্ধবিমানে চাপা নিয়ে এভাবেই আক্রমণ শানিয়েছেন তৃণমূল সাংসদ শান্তনু সেন।
শান্তনু সেন বলেন, 'মোদি বেশি তৎপর হয়ে পড়লে আমার ভয় লাগে, কারণ ইসরো ব্যর্থ হয়। মোদির সঙ্গে দেখা করার পর কঙ্গনা রানাওয়াতের ছবি সুপারফ্লপ হয়েছে। মোদির সঙ্গে হাত মেলানোর পর ৩ বছর সেঞ্চুরি পাননি বিরাট কোহলি। মোদি স্টেডিয়ামে উপস্থিত থাকায় বিশ্বকাপে হেরেছে ভারত।' এরপর তৃণমূল সাংসদের কটাক্ষ, মোদি চাপার পর তেজস যুদ্ধবিমানও ভেঙে পড়তে পারে।
প্রসঙ্গ তেজস
অপেক্ষাকৃত হালকা ওজনের যুদ্ধবিমান 'তেজস'। ৪.৫ জেনারেশন মাল্টি রোল যুদ্ধবিমান এটি। আকাশপথে শত্রুপক্ষের মোকাবিলা করার পাশাপাশি, মাটিতেও সমান দক্ষতায় হামলা চালাতে পারে। HAL এই 'তেজস' যুদ্ধবিমানের নির্মাতা। প্রথমে বায়ুসেনার জন্যই এই যুদ্ধবিমানটির নির্মাণ হয়েছিল। পরবর্তী কালে নৌবাহিনীর জন্যও অন্য একটি সংস্করণ বের করা হয়। জলসীমার নিরাপত্তা পর্যবেক্ষণের কাজে সেটি ব্যবহৃত হয়।
আরও পড়ুন, বিমানের আসনে নেই 'আস্ত সিট'টাই! কয়েক হাজারের টিকিট কেটেও হেনস্থা যাত্রীর!
ভারতীয় বায়ুসেনা এবং নৌসেনার ব্যবহৃত যুদ্ধবিমান 'তেজস' এক আসনের ছোট্ট একটি বিমান। যদিও প্রধানমন্ত্রী যে বিমানটিতে চাপেন, সেটি দুই আসনের। প্রশিক্ষণের ক্ষেত্রে সেটি ব্যবহৃত হয়। এদিন মোদি বসেছিলেন পিছনের আসনে। চালকের আসনে ছিলেন প্রশিক্ষিত পাইলট। ক্যামেরার দিকে থাকিয়ে থামস আপ দেখান মোদি। তার পরই আকাশে উড়ে যায় তেজস।