কলকাতা: সোশ্যাল মিডিয়ায় অশ্লীল ভাষায় আক্রমণ, তীব্র প্রতিবাদ কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়ের (University of Calcutta) উপাচার্যের। অশ্লীল ভাষায় আক্রমণের প্রতিবাদে সরব কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য সোনালি চক্রবর্তী বন্দ্যোপাধ্যায় (Sonali Chakravarti Banerjee)। অফলাইনে পরীক্ষা (Offline Exams) নেওয়ার সিদ্ধান্তের জেরে সোশাল মিডিয়ায় তাঁর বিরুদ্ধে কুৎসা ছড়ানো হচ্ছে বলে অভিযোগ করেছেন। 


অনলাইন হেনস্থার অভিযোগ কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্যের


কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য বলেন, ‘‘অফলাইনে পরীক্ষার বিরোধীদের অনেকেই ঘৃণামূলক প্রচার চালাচ্ছে। এক জনকে দায়ী করে ক্ষমার অযোগ্য অনৈতিক-ঘৃণ্য প্রচার চালানো হচ্ছে। কাউন্সিল, অধিকাংশ অধ্যক্ষ-সহ সবার সিদ্ধান্ত। কিন্তু এক্ষেত্রে একজন দায়ী করে প্রচার চলছে।’’



আরও পড়ুন: WB HS Results 2022: অনলাইনে উচ্চমাধ্যমিকের ফল দেখার সময় বদল


সোশ্যাল মিডিয়ায় তাঁর বিরুদ্ধে কুৎসা ছড়ানোর অভিযোগে সরব কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য। তিনি বলেন, "যাঁরা অফলাইন পরীক্ষার বিরোধী, তাঁদের অনেকেই সোশাল মিডিয়ায় বিভ্রান্তিমূলক, হিংসাত্মক এবং ঘৃণামূলক প্রচার চালাচ্ছেন। অশ্লীল কথাও বলা হচ্ছে।’’


অনলাইন পরীক্ষার অনুমোদন না দেওয়াতেই আক্রমণ!


এই ঘটনার তীব্র নিন্দা করেন উপাচার্য। তিনি জানিয়েছেন, ফ্যাকাল্টি কাউন্সিলের সমস্ত সদস্য, ইউজি বোর্ড অফ স্টাডিজ-এর সব চেয়ারপার্সন এবং অধিকাংশ অধ্যক্ষ এই সিদ্ধান্ত নিয়েছেন। উপাচার্য জানিয়েছেন, এই অনৈতিক ও ঘৃণ্য প্রচার করা এবং একজনকে দায়ী করে গালাগালি করা ক্ষমার অযোগ্য।


করোনা পরিস্থিতি আগের মতো ভয়ঙ্কর জায়গায় না থাকায়, সম্প্রতি কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়ের তরফে সমস্ত কলেজকে জানিয়ে দেওয়া হয় যে, স্নাতক এবং স্নাতকোত্তর স্তরের সমস্ত পরীক্ষাই অফলাইন হবে। বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষের এই সিদ্ধান্তই মনঃপুত হয়নি পড়ুয়াদের। তার জেরে বিগত বেশ কিছু দিন ধরেই দফায় দফায় আন্দোলন-বিক্ষোভ চালিয়ে যাচ্ছেন তাঁরা।


গত কয়েক দিনে কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়ের কলেজ স্ট্রিট ক্যাম্পাসের সামনে জমায়েত করে বিক্ষোভ দেখান পড়ুয়ারা।  এমনকি অনশনও করেন তাঁরা। চলছিল অনশনও। তাঁদের দাবি ছিল পরীক্ষা অনলাইনেই নিতে হবে। সেই দাবির সপক্ষে তাঁদের যুক্তি ছিল, একাধিক বিশ্ববিদ্যালয় অনলাইন পরীক্ষা নেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে। তাই কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়েও অনলাইনে পরীক্ষা হোক।


শুধু তাই নয়, অতি স্বল্প সময়ে সিলেবাস শেষ না করেই পরীক্ষা নেওয়া হচ্ছে বলেও অভিযোগ করেন পড়ুয়ারা। যদিও সেই দাবি মানতে চাননি বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ। সেই আবহেই এ বার নয়া বিতর্ক দেখা দিল। সরাসরি তাঁকে নিশানা করে অশ্লীল আক্রমণ ধেয়ে আসছে বলে অভিযোগ করেছেন উপাচার্য।