হাওড়া : আজ থেকে বন্দে ভারত এক্সপ্রেসের (Vande Bharat Express) যাত্রী পরিষেবা শুরু হল। হাওড়া স্টেশন থেকে ভোর ৫টা ৫৫ মিনিটে নিউ জলপাইগুড়ির (Jalpaiguri) উদ্দেশে রওনা দিল এই সেমি-হাইস্পিড ট্রেন। সময় লাগবে মাত্র সাড়ে ৭ ঘণ্টা। মাঝে বোলপুর, মালদা ও বিহারের বরসোই স্টেশনে থামবে।


হাওড়া থেকে নিউ জলপাইগুড়ি পর্যন্ত বুধবার ছাড়া ট্রেনটি চলবে সপ্তাহে ৬ দিন। টিকিটের চাহিদা তুঙ্গে। ভোরে বাড়ি থেকে বেরোলে বিকেলেই পৌঁছে যাওয়া যাবে শৈল শহর দার্জিলিঙে। বন্দে ভারত এক্সপ্রেস পেয়ে খুশি যাত্রীরা।


কথায় বলে, বাঙালির পায়ের তলায় সরষে। সময়-সুযোগ পেলেই বেরিয়ে পড়তে ভালবাসে। আর, বেড়ানোর জায়গা বলতে, বাঙালির পছন্দের তালিকায় এক নম্বরে দার্জিলিং। কুয়াশা ঠাসা পাহাড়ি বাঁক, সবুজ কার্পেটের মতো চা বাগান আর মেঘে ঢাকা কাঞ্চনজঙ্ঘা হাতছানি দেয় তাকে।


এবার সেই দার্জিলিং আরও কাছে। ভোরে বাড়ি থেকে বেরোলে বিকেলেই পৌঁছে যাওয়া যাবে শৈল শহরে। আবার মাত্র সাড়ে ৭ ঘণ্টাতেই পাহাড় থেকে ফেরা যাবে সমতলে। সৌজন্যে বন্দে ভারত এক্সপ্রেস। শুক্রবারই ট্রেনটির উদ্বোধন করেছেন প্রধানমন্ত্রী। উদ্বোধনী সফর শেষ করে নিউ জলপাইগুড়ি থেকে শনিবার সকালে হাওড়ায় ফিরেছে সেমি হাইস্পিড ট্রেনটি। নতুন বছরের প্রথম দিনে হাওড়া থেকে যাত্রী পরিষেবা শুরু বাংলার প্রথম বন্দে ভারত এক্সপ্রেসের।


ট্রেন যে হিট তা বোঝা গেছে ট্রায়াল রানেই। টিকিটের চাহিদা তুঙ্গে। শেষ হয়ে যায় হাওড়া-এনজেপি প্রথম দিনের টিকিট। এনজেপি থেকে ফেরার টিকিট চাইলে ৫ তারিখের আগে মিলবে না। হাওড়া থেকে নিউ জলপাইগুড়ি পর্যন্ত বুধবার ছাড়া ট্রেনটি চলবে সপ্তাহে ৬ দিন। সময় লাগবে সাড়ে ৭ ঘণ্টা। 


হাওড়া থেকে ট্রেন ছাড়ছে ভোর ৫টা ৫৫-এ এবং নিউ জলপাইগুড়ি পৌঁছবে দুপুর ১টা ২৫-এ। অন্যদিকে, এনজেপি থেকে ছাড়বে দুপুর ৩টে ৫-এ, হাওড়া পৌঁছবে রাত ১০টা ৩৫-এ। মাঝে থামবে বোলপুর, মালদা ও বরসোই স্টেশনে। 


হাওড়া থেকে নিউ জলপাইগুড়ি পর্যন্ত এসি চেয়ার কারের ভাড়া ১ হাজার ৫৪৩টাকা ও এক্সিকিউটিভ ক্লাসের ভাড়া ২ হাজার ৮০৩ টাকা। হাওড়া থেকে মালদা গেলে চেয়ার কারের ভাড়া ৯২৯ টাকা এবং এক্সিকিউটিভ ক্লাস ১ হাজার ৭৫৩ টাকা। হাওড়া থেকে বোলপুর এসি চেয়ার কারের ভাড়া পড়বে ৬২৮ টাকা, এক্সিকিউটিভ ক্লাস ১ হাজার ১৫০ টাকা। বন্দে ভারত এক্সপ্রেস ঘিরে বিভিন্ন স্টেশনে উন্মাদনা দেখে খুশি রেল কর্তৃপক্ষ।