কলকাতা: সূচনাপর্বেই বাংলায় সাড়া ফেলে দিয়েছে বন্দে ভারত এক্সপ্রেস (Vande Bharat Express)। উন্মাদনা এতটাই যে, টিকিটও বাড়ন্ত। কিন্তু দূরপাল্লার ট্রেনযাত্রায় সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ হল খাবার (Vande Bharat Express Food)। বন্দে ভারত এক্সপ্রেসের সেই খাবারের মেনুও নজরকাড়া বলে জানানো হয়েছে রেলের তরফে। আপাতত সূচনাপর্বে বন্দে ভারতে যে খাবার পরিবেশন করা হল, তা চাক্ষুষ করে এল এবিপি আনন্দ। 


বন্দে ভারত এক্সপ্রেসের খাবারের মেনুও নজরকাড়া


শুক্রবার বন্দে ভারতে উঠে দুপুরের খাবারের যে ব্যবস্থাপনা চোখে পড়ল, তা মোটামুটি সন্তোষজনকই। ট্রেনে মধ্যাহ্ণভোজ প্যাকেটবন্দি করেই পরিবেশন করা হয়। তার ঢাকনা খুলতে দেখা গেল, ভিতরে রয়েছে, সরু চালের পোলাও, পরোটা, মুরগির মাংস, আলু ও ফুলকপির তরকারি। সেখানেই শেষ নয় বাঙালির রসনাতৃপ্তির কথা মাথায় রেখে শেষপাতে চাটনি এবং মিষ্টিও রয়েছে। স্ন্যাক্সে রয়েছে ফিশ ফিঙ্গার, চিকেন ফিঙ্গার।  ব্রেকফাস্টে স্যান্ডউইচ, কেকও মিলছে।


তবে খাবারের জন্য আলাদা টাকা দিতে হবে না বন্দে ভারত এক্সপ্রেসে উঠলে। বরং টিকিটের সঙ্গেই ধারা থাকবে খাবারের দাম। সিটে বসেই মিলবে চা-জলখাবার থেকে দুপুর এবং রাতের খাবার। আমিষ না নিরামিষ, তা যদিও যাত্রীকে জানিয়ে দিতে হবে আগে। টিকিট কাটার সময়ই সাধারণত আমিষ এবং নিরামিষ খাবারের মধ্যে বেছে নেওয়ার উপায় থাকে।


 দীর্ঘ প্রতীক্ষার পর বাংলাকেও যাত্রা শুরু হল বন্দে ভারত এক্সপ্রেসের। তাতেএ বার থেকে শতাব্দী এক্সপ্রেসের থেকেও কম সময়ে পৌঁছনো যাবে হাওড়া থেকে নিউ জলপাইগুড়ি। শুক্রবার ভার্চুয়াল মাধ্য়মে উদ্বোধন করলেন প্রধানমন্ত্রী। সেমি হাইস্পিড এই ট্রেনের প্রথম সফরের সাক্ষী হয় এবিপি আনন্দ।


আরও পড়ুন:  Newtown Shop Fire : 'পরপর দোকানের সিলিন্ডার ফেটে আগুন', লেলিহান শিখায় ঢাকল নিউটাউনের আকাশ


হাওড়া স্টেশনের ২২ নম্বর প্ল্যাটফর্ম থেকে দৌড়ের সূচনা হয় বন্দে ভারত এক্সপ্রেসের। গতিবেগ ঘণ্টায় সর্বোচ্চ ১৮০ কিলোমিটার। তবে এখন চলবে ১৩০ কিলোমিটার গতিবেগে। দেশের বিভিন্ন মেল বা এক্সপ্রেস ট্রেন চালাতে ব্যবহার করা হয় আলাদা ইঞ্জিন কোচ। কিন্তু বন্দে ভারত এক্সপ্রেসে বুলেট বা মেট্রো ট্রেনের মতো রয়েছে ইন্টিগ্রেটেড ইঞ্জিন। আলাদা করে ইঞ্জিন কোচ জোড়ার দরকার নেই। 


সম্পূর্ণ শীতাতপ নিয়ন্ত্রিত এই ট্রেনে কোচের সংখ্যা ১৬। ট্রেনের দরজা স্বয়ংক্রিয়। দরজা তখনই খুলবে যখন ট্রেনটি পুরোপুরি থামবে। এবং যখন দরজা পুরোপুরি বন্ধ হবে তখনই ট্রেনটি চলতে শুরু করবে।  প্রতি কোচে রয়েছে সিসি ক্যামেরার নজরদারি। রয়েছে বায়ো-ভ্যাকুয়াম টয়লেট। ভারতীয় এবং পাশ্চাত্য দুই ধরনের ব্যবস্থা। জিপিএস-এর সাহায্যে কামরার স্ক্রিনে দেখা যাবে কত গতিবেগে ছুটছে ট্রেন। জানা যাবে, পরের স্টেশনের নাম।  


হাওড়া স্টেশনের ২২ নম্বর প্ল্যাটফর্ম থেকে দৌড়ের সূচনা হয় বন্দে ভারত এক্সপ্রেসের

বন্দে ভারতে একসঙ্গে সফর করতে পারবেন ১ হাজার ১২৮ জন যাত্রী। বসার ব্যবস্থা দু'রকম। এসি চেয়ার কার ও এক্সিকিউটিভ ক্লাস। এক্সিকিউটিভ ক্লাসের চেযার ঘোরানো যায় ১৮০ ডিগ্রি। চাইলেই চেয়ার ঘুরিয়ে বসা যায় জানালার মুখোমুখি।