সমীরণ পাল ও কৌশিক গাঁতাইত: ভরা জ্যৈষ্ঠে রাজ্যের পানিহাটি (Panihati) ও আসানসোল (Asansol) পুর এলাকায় তীব্র জলসঙ্কট (water crisis)। কেন্দ্র ড্রেজিং না করায় কামারহাটি জলপ্রকল্প থেকে মিলছে না পর্যাপ্ত পানীয় জল। অভিযোগ পানিহাটির ভাইস চেয়ারম্যানের। যদিও সে কথা মানতে নারাজ গেরুয়া শিবির। অন্যদিকে জলের দাবিতে আন্দোলনের পরও আসানসোলে বদলায়নি ছবি। 


ভরা গ্রীষ্মে জলসঙ্কট


কোথাও পুরসভার পানীয় জলের গাড়ি আসতেই উপচে পড়ছে ভিড়। আবার কোথাও পুরসভার কল থাকলেও, সেখান থেকে জল পড়ছে না। তীব্র গরমে রাজ্যের দুটি পুর এলাকায় ক্রমশ বাড়ছে জল সঙ্কট। বাড়ছে বাসিন্দাদের ক্ষোভও। 


উত্তর ২৪ পরগনার পানিহাটি পুর এলাকার বাসিন্দাদের অভিযোগ, ৫ দিনের বেশি কেটে গেলেও মিটছে না জলসঙ্কট। পাড়ায় পাড়ায় পুরসভার জলের গাড়ি ঢুকলেই দেখা যাচ্ছে এই ছবি। 


পুরসভা সূত্রে খবর, পানিহাটি পুর এলাকায় দিনে ১৯ মেগা গ্যালন পানীয় জলের প্রয়োজন হয়। কিন্তু বর্তমানে ১৩ মেগা গ্যালনের বেশি সরবরাহ করতে পারছে না পুরসভা। ফলে দিনে পানীয় জলের ঘাটতির পরিমাণ প্রায় ৬ মেগা গ্যালন। 


কিন্তু কেন এই জল-সঙ্কট তৈরি হল?


পানিহাটি পুর কর্তৃপক্ষের দাবি, কামারহাটি জলপ্রকল্প থেকে পর্যাপ্ত জল পাওয়া যাচ্ছে না। পানিহাটি পুরসভার তৃণমূল নেতা ও ভাইস চেয়ারম্যান সুভাষ চক্রবর্তীর কথায়, 'কামারহাটি জল প্রকল্প থেকে পর্যাপ্ত জল পাওয়া যাচ্ছে না। কেন্দ্র নদীতে ড্রেজিং করছে না। ফলে গঙ্গা থেকে কাদাজল উঠছে।'


অন্যদিকে কামারহাটি পুরসভার তৃণমূল পুর চেয়ারম্যান গোপাল সাহার দাবি, 'গঙ্গার জলস্তর নেমে গিয়েছে। জোয়ারের সময় জল পাওয়া গেলেও ভাটায় পাওয়া যাচ্ছে না। তাছাড়া অনেকগুলি পাম্প পুরনো হয়ে গিয়েছে। সমস্যা মিটতে একটু সময় লাগবে।'


পানিহাটিতে জল সঙ্কট। 'নদীতে ড্রেজিং করছে না কেন্দ্রীয় সরকার', দাবি তৃণমূলের। 'শুধু কেন্দ্রের ঘাড়ে দোষ চাপানো হচ্ছে', পাল্টা কটাক্ষ বিজেপির। 


বিজেপির রাজ্য কমিটির সদস্য কিশোর করের কথায়, 'রাজ্য সরকার সমস্যার সমাধান করতে না পেরে শুধু কেন্দ্রের ঘাড়ে দোষ চাপাচ্ছে।'


আরও পড়ুন: Kolkata: বাংলার মুকুটে নয়া পালক, কুমোরটুলির কালীমূর্তি জায়গা করে নিল ব্রিটিশ মিউজিয়ামে


পানিহাটিতে যখন এই ছবি, তখন শুক্রবারের আন্দোলনের পরও জলসঙ্কট মেটেনি আসানসোলের বিস্তীর্ণ এলাকায়। শনিবারও আসানসোলের নাকড়াসোতায় গিয়ে দেখা যায়, কল থাকলেও সেখানে জল পড়ছে না। 


ভরা জ্যৈষ্ঠে জলসঙ্কট তীব্র হওয়ায় দুর্ভোগে দুই পুর এলাকার বাসিন্দারা। কবে মিটবে পানীয় জলের সমস্যা? সেদিকেই তাকিয়ে সকলে।