Hooghly Weather Update: আজ সকাল থেকেই মেঘলা আকাশ (Cloudy Weather) রয়েছে হুগলি জেলায়। দক্ষিণবঙ্গের এই জেলায় (Hooghly Weather Today) আজ সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ২৯ ডিগ্রি সেলসিয়াসের কাছাকাছি রয়েছে। আর সর্বনিম্ন তাপমাত্রা (Hooghly Weather Forecast) রয়েছে ২৫ ডিগ্রি সেলসিয়াসের আশপাশে। বাতাসে আপেক্ষিক আর্দ্রতার (Hooghly Weather Update) পরিমাণ প্রায় ৭৮ শতাংশ যা স্বাভাবিকের থেকে অনেকটাই বেশি। আজ সারাদিনই মেঘলা আকাশ থাকবে। 


সূর্যোদয় এবং সূর্যাস্ত: আজ সূর্যোদয় (Sunrise) হয়েছে সকাল ৫টা ৩৬ মিনিটে। আর সূর্যাস্ত (Sunset) হবে বিকেল ৫টা ০৫ মিনিটে।


হুগলি জেলার ভৌগলিক অবস্থান (Hooghly Geographical Situation): কলকাতার উত্তর দিক থেকে প্রায় ৪০ কিলোমিটার দূরে এবং বিখ্যাত নদী হুগলির পশ্চিম তীরে অবস্থিত হুগলি জেলা। এই নদীর নাম অনুসারেই জেলার নামকরণ হয়েছে। সমুদ্রপৃষ্ঠ থেকে ২০০ মিটার উপরে অবস্থিত এই জেলার পূর্বে রয়েছে হুগলি নদী অবস্থিত। হুগলির দক্ষিণে রয়েছে হাওড়া জেলা এবং উত্তরে বর্ধমান। এছাড়াও এর উত্তর-পশ্চিমে বাঁকুড়া জেলা এবং দক্ষিণ-পশ্চিমে মেদিনীপুর জেলার অবস্থান। হুগলি জেলার চারটি উপবিভাগ রয়েছে। সেগুলি হল যথাক্রমে- চুঁচুড়া, শ্রীরামপুর, চন্দননগর এবং আরামবাগ। এই জেলার সফর দফতর অবস্থিত চুঁচুড়ায়।


ধেয়ে আসছে ঘূর্ণিঝড় সিত্রাং: আশঙ্কা বাড়িয়ে নিম্নচাপ (Depression) পরিণত হয়েছে অতি গভীর নিম্নচাপে। এই মুহূর্তে পোর্ট ব্লেয়ার থেকে ৫৮০ কিলোমিটার উত্তর-পশ্চিমে এবং সাগর দ্বীপের ৭০০ কিলোমিটার দক্ষিণে অবস্থান করছে অতি গভীর নিম্নচাপ। আগামীকাল কালীপুজোর সকালেই তা ঘূর্ণিঝড়ে পরিণত হবে। আবহাওয়া দফতরের পূর্বাভাস, মঙ্গলবার ভোরে বাংলাদেশের তিনকোণা দ্বীপ ও সন্দীপের মাঝামাঝি উপকূলে আছড়ে পড়তে পারে ঘূর্ণিঝড় সিত্রাং। এর প্রভাবে বাংলার উপকূলবর্তী এলাকায় ঘণ্টায় ৯০ কিলোমিটার বেগে বইতে পারে ঝোড়ো হাওয়া। আগামীকাল দুই ২৪ পরগনায় ভারী থেকে অতিভারী বৃষ্টির সম্ভাবনা। ভারী বৃষ্টি হতে পারে দুই মেদিনীপুরেও। কলকাতা, হাওড়া, হুগলি ও পশ্চিম মেদিনীপুরে আগামীকাল হালকা থেকে মাঝারি বৃষ্টির পূর্বাভাস।


উপকূলবর্তী জেলাগুলিতে শুরু প্রস্তুতি: রাজ্যের উপকূলবর্তী জেলাগুলির মধ্যে অন্যতম পূর্ব মেদিনীপুর। অমাবস্যার কারণে সমুদ্রে জলোচ্ছ্বাসের সম্ভাবনা থাকায়, ব্লক প্রশাসনকেও সতর্ক থাকতে বলা হয়েছে পূর্ব মেদিনীপুরে। প্রয়োজনে নিচু এলাকার বাসিন্দাদের সরিয়ে ফ্লাড সেন্টারে নিয়ে যাওয়ার পরামর্শ দিয়েছে প্রশাসন। মজুত রাখা হয়েছে শুকনো খাবার, ত্রিপল-সহ প্রয়োজনীয় সামগ্রী। ইতিমধ্যেই সমুদ্র থেকে ফিরতে শুরু করেছে মাছ ধরার ট্রলার। স্থানীয় মত্স্যজীবীদেরও সমুদ্রে নামতে নিষেধ করা হয়েছে।


বিপর্যয় মোকাবিলায় সতর্ক প্রশাসন: ঘূর্ণিঝড় সিত্রাংয়ের মোকাবিলায় ২৪ ঘণ্টার কন্ট্রোল রুম খুলল নবান্ন। শনিবার, নবান্নে প্রশাসনিক আধিকারিকদের সঙ্গে দফায় দফায় বৈঠক করেন মুখ্যসচিব। নবান্ন সূত্রে খবর, ঘূর্ণিঝড় মোকাবিলার জন্য জরুরি পরিষেবার সঙ্গে যুক্ত কর্মীদের ছুটি বাতিল করা হয়েছে। পরিস্থিতির ওপর নজরদারির দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে ১০ আইএএস অফিসারকে। নবান্নে খোলা হয়েছে ২৪ ঘণ্টার কন্ট্রোল রুম, যার নম্বর 5858। কন্ট্রোল রুম খোলা হয়েছে দক্ষিণবঙ্গের উপকূলবর্তী জেলাগুলিতেও। জেলায় জেলায় তৈরি রাখা হচ্ছে সাইক্লোন শেল্টার, পানীয় জলের মোবাইল ইউনিট। নবান্ন সূত্রে খবর, পঞ্চায়েত, পঞ্চায়েত সমিতি, জেলা পরিষদ ও সরকারি হাসপাতালগুলিতে পর্যাপ্ত কর্মী মোতায়েন রাখার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।


আরও পড়ুন- ধেয়ে আসছে সিত্রাং, কেমন থাকবে দুই বর্ধমানের আবহাওয়া ?