বর্ধমান : পশ্চিমবঙ্গের অন্যতম কৃষিপ্রধান জেলা পূর্ব বর্ধমান (Purba Burdwan)। ২০১৭ সালের ৭ এপ্রিল বর্ধমান ভেঙে পূর্ব ও পশ্চিম বর্ধমান জেলা গঠিত হয়। পূর্ব বর্ধমান জেলার প্রধান ফসল ধান। এছাড়াও পাট, আলু, আখ চাষ হয়। সবজি সহ অন্যান্য চাষও হয়। ফলে, এই জেলার আবহাওয়া কেমন থাকছে বা প্রাকৃতিক দুর্যোগের সম্ভাবনা রয়েছে কি না...তা আগাম জানার প্রয়োজন রয়েছে। দৈনন্দিন এই জেলার আগাম আবহাওয়া (Weather Forecast) জানা থাকলে, অনেক কিছুরই সুবিধা হবে। অন্যদিকে, শিল্পভিত্তিক পশ্চিম বর্ধমান (Paschim Burdwan) জেলাতেও রয়েছে কৃষিকাজ।


দেখে নেওয়া যাক পূর্ব বর্ধমানের (Purba Burdwan) আজকের আপডেট কী-


সর্বোচ্চ তাপমাত্রা (Maximum Temperature)- ৩৮ ডিগ্রি সেলসিয়াস


সর্বনিম্ন তাপমাত্রা (Minimum Temperature)- ২৪ ডিগ্রি সেলসিয়াস


আবহাওয়ার প্রকৃতি (Nature of Weather)- মূলত মেঘলা আকাশ


বাতাস- ১১ কিমি/ঘণ্টা


আর্দ্রতা - ৩০ শতাংশ


সূর্যোদয়- সকাল ৫টা ০৭ মিনিট


সূর্যাস্ত- ৬টা ০৪ মিনিটে


দেখে নেওয়া যাক পশ্চিম বর্ধমানের আজকের আপডেট কী -


সর্বোচ্চ তাপমাত্র- ৩০ ডিগ্রি সেলসিয়াস। মেঘলা আকাশ। বাতাসের গতিবেগ ঘণ্টায় ১ কিলোমিটার।


বঙ্গের আবহাওয়া-


অসহ্য গরমের মধ্যে মিলল স্বস্তি। কলকাতা সহ দক্ষিণবঙ্গে হল মুষলধারে বৃষ্টি, সঙ্গে তীব্র ঝোড়া হাওয়া। দক্ষিণবঙ্গের কিছু জেলায় হয়েছে শিলাবৃষ্টি। স্বস্তির মধ্যে রয়েছে অস্বস্তিও। ৬ জেলায় বাজ পড়ে মৃত্যু হয়েছে ১৫ জনের। 


গরমের মধ্যে স্বস্তি: আলিপুর আবহাওয়া দফতর জানিয়েছে, আগামী ৪/৫ দিন বিক্ষিপ্তভাবে বজ্রবিদ্যুৎ সহ বৃষ্টির সম্ভাবনা রয়েছে। তবে শুক্রবার দক্ষিণবঙ্গে বৃষ্টির সম্ভাবনা কম। শনি ও রবিবার থেকে বাড়বে বৃষ্টিপাতের সম্ভাবনা। উত্তরবঙ্গে ওপরের দিকের পাঁচ জেলায় হালকা থেকে মাঝারি বৃষ্টি চলবে। আগামী ২৪ ঘণ্টায় বৃষ্টির সম্ভাবনা রয়েছে মালদা ও দুই দিনাজপুরে। তবে এই স্বস্তি দীর্ঘমেয়াদি নয়। পূর্বাভাসে বলা হয়েছে, শুক্র ও শনিবার তাপমাত্রাও বাড়বে। তিন দিনে তিন-চার ডিগ্রি তাপমাত্রা বাড়তে পারে বলে জানিয়েছে আবহাওয়া দফতর। যেখানে বৃষ্টি বেশি হবে সেখানে তাপমাত্রা কিছুটা কমবে। তবে বাতাসে জলীয় বাষ্প থাকায় বাড়বে অস্বস্তি।


গতকাল বিকেলের শহরে ফের  নামে সন্ধে। দিনভর আগুন ঝরানো সূর্যের রক্তনয়নকে ঢেকে দেয় কালো মেঘের ছাতা। তারপর নামল বৃষ্টি। স্বস্তিতে ইতি টেনে ফিরে আসা গরমকে, দূরে সরিয়ে দিল ঝোড়ো হাওয়া। কলকাতার পাশাপাশি বৃষ্টি হয়েছে বিভিন্ন জেলায়। শিলাবৃষ্টি হয়েছে, কাটোয়া, বহরমপুর, শান্তিনিকেতন, গাইঘাটা সহ বিভিন্ন জায়গায়।বৃষ্টিতে খানিক স্বস্তি মিললেও রয়েছে অস্বস্তিও।


বিভিন্ন জেলায় বাজ পড়ে মৃত্যু হয়েছে বেশ কয়েক জনের। পূর্ব বর্ধমানের ভাতার, কালনা, খণ্ডঘোষ ও মঙ্গলকোটে বাজ পড়ে মৃত্যু হয়েছে ৪ জনের। আহত হয়েছেন একজন। মুর্শিদাবাদের সালারে দুপুরে একটি খামারে কাজ করছিলেন বেশ কয়েকজন শ্রমিক। সেই সময় বাজ পড়লে ২ জনের মৃত্যু হয়। পশ্চিম মেদিনীপুরেও ঘটেছে বাজ পড়ে মৃত্যুর ঘটনা। শালবনী থানার বাগমারিতে একজন এবং চন্দ্রকোণা থানার যাদবনগর গ্রামে এক কৃষকের মৃত্যু হয়েছে। উত্তর ২৪ পরগনার হাবড়ায় বাজ পড়ে দুই ব্যক্তির মৃত্যু হয়েছে। অন্যদিকে, ঝোড়ো হাওয়ায় ঝাড়গ্রামের গড়মোহানি সহ বিভিন্ন জায়গায় উড়ে যায় একাধিক বাড়ির ছাউনি। বেশ কয়েকটি বাড়ির পাঁচিল ভেঙে পড়ে। ক্ষতি হয় ফসলের। জমি থেকে বাড়ি ফেরার সময় বাজ পড়ে মৃত্যু হয় এক মহিলার। আলিপুর আবহাওয়া দফতর সূত্রে খবর, উল্টোডাঙায় বৃষ্টি হয়েছে ৩৯ মিলিমিটার, পামারবাজারে ৩১ মিলিমিটার,মার্কাস স্কোয়ারে ২৭, দত্তবাগানে ২২ এবংঠনঠনিয়ার বৃষ্টি হয়েছে ২১ মিলিমিটার।