বর্ধমান : পশ্চিমবঙ্গের অন্যতম কৃষিপ্রধান জেলা পূর্ব বর্ধমান (Purba Burdwan)। ২০১৭ সালের ৭ এপ্রিল বর্ধমান ভেঙে পূর্ব ও পশ্চিম বর্ধমান জেলা গঠিত হয়। পূর্ব বর্ধমান জেলার প্রধান ফসল ধান। এছাড়াও পাট, আলু, আখ চাষ হয়। সবজি সহ অন্যান্য চাষও হয়। ফলে, এই জেলার আবহাওয়া কেমন থাকছে বা প্রাকৃতিক দুর্যোগের সম্ভাবনা রয়েছে কি না...তা আগাম জানার প্রয়োজন রয়েছে। দৈনন্দিন এই জেলার আগাম আবহাওয়া (Weather Forecast) জানা থাকলে, অনেক কিছুরই সুবিধা হবে। অন্যদিকে, শিল্পভিত্তিক পশ্চিম বর্ধমান (Paschim Burdwan) জেলাতেও রয়েছে কৃষিকাজ।
দেখে নেওয়া যাক পূর্ব বর্ধমানের (Purba Burdwan) আজকের আপডেট কী-
সর্বোচ্চ তাপমাত্রা (Maximum Temperature)- ৩৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস
সর্বনিম্ন তাপমাত্রা (Minimum Temperature)- ২৬ ডিগ্রি সেলসিয়াস
আবহাওয়ার প্রকৃতি (Nature of Weather)- মেঘলা আকাশ, বৃষ্টি
বাতাস- ৭ কিমি/ঘণ্টা
আর্দ্রতা - ৫৯ শতাংশ
সূর্যোদয়- সকাল ৫টা ১৮ মিনিট
সূর্যাস্ত- ৬টা ১ মিনিটে
দেখে নেওয়া যাক পশ্চিম বর্ধমানের আজকের আপডেট কী -
সর্বোচ্চ তাপমাত্র- ৩৬ ডিগ্রি সেলসিয়াস। সর্বনিম্ন তাপমাত্রা - ২৬ ডিগ্রি সেলসিয়াস। মেঘলা আকাশ।
বঙ্গের আবহাওয়া-
ভারী বৃষ্টিতে ভিজছে উত্তরবঙ্গ ও দক্ষিণবঙ্গ। প্রবল বৃষ্টিতে বিভিন্ন জায়গায় ধস নেমে বিপর্যস্ত পাহাড়। শুক্রবার ধস নামে দার্জিলিংয়ের পাতাবুং তুকভার টি এস্টেট এলাকায়। ধসে চাপা পড়ে মৃত্যু হয় বাবুলাম রাই নামে তুকভার টি এস্টেটের এক বাসিন্দার।
এদিকে, একটানা বৃষ্টিতে জল থৈ থৈ শিলিগুড়ির পুরসভার ৩১ নম্বর ওয়ার্ডের অশোকনগর। শিলিগুড়ি পুরসভার ডেপুটি মেয়র রঞ্জন সরকার বলেন, অশোকনগরে যে পরিস্থিতি প্রত্য়েক বছর হয় আমরা চেষ্টা করেছি ওই পরিস্থিতির কিছুটা পরিবর্তন করা। ড্রেনগুলো ঠিক মতো পরিষ্কার করা। সেটা আমরা করেছি। কিন্তু, মূল কাজটা অশোকনগরকে ক্রস করে ৩১ নম্বর ওয়ার্ডের উল্টো দিকে এশিয়ান হাইওয়েকে ক্রস করে যে প্রকল্পটা হওয়ার কথা, সেটা শীতলাপাড়ায় একটা সমস্য়া ছিল। সেই সমস্য়াটার সমাধান হয়েছে। কিন্তু, কাজটটা এখনও সম্পন্ন হয়নি। তবেই অশোকনগরের সমস্য়ার সমাধান করতে পারব।
সিকিম এবং ভুটান লাগাতার বৃষ্টি শুরু হয়েছে। সেচ দফতর সূত্রে খবর, শুক্রবার সকালে তিস্তা ব্য়ারেজ থেকে ৬ হাজার কিউসেক জল ছাড়া হয়েছে। ফলে জলস্তর বেড়েছে বিভিন্ন নদীর।
বৃষ্টির জেরে রেললাইনে ধসে যাওয়ায় শুক্রবার সকালে শিয়ালদা- বনগাঁ শাখায় আপ লাইনে দেড় ঘণ্টা ব্য়াহত হয় ট্রেন চলাচল। ফলে চূড়ান্ত ভোগান্তির শিকার হন নিত্য়যাত্রীরা। পরে স্বাভাবিক হয় পরিস্থিতি।
আবহাওয়া দফতর জানিয়েছে, মৌসুমী অক্ষরেখা গোরক্ষপুর ও পাটনা হয়ে দক্ষিণবঙ্গের বাঁকুড়া এবং দীঘার উপর দিয়ে পূর্ব মধ্য বঙ্গোপসাগর পর্যন্ত বিস্তৃত । একটি ঘূর্ণাবর্ত উত্তর বাংলাদেশ ও সংলগ্ন এলাকায় অবস্থান করছে।
এই পরিস্থিতিতে রবিবার থেকে ভারী বৃষ্টির হলুদ সতর্কতা জারি করা হয়েছে আলিপুরদুয়ার ও কোচবিহার জেলায়। সেখানে ৭০ থেকে ১১০ মিলিমিটার পর্যন্ত বৃষ্টির আশঙ্কা রয়েছে। বৃষ্টির পরিমাণ কমবে। বিক্ষিপ্তভাবে বজ্রবিদ্যুৎসহ বৃষ্টি, হালকা থেকে মাঝারি বৃষ্টি হতে পারে উত্তরবঙ্গের পার্বত্য এলাকা গুলিতে। দক্ষিণবঙ্গে রবিবারে বিক্ষিপ্তভাবে বজ্রবিদ্যুৎ সহ হালকা মাঝারি বৃষ্টির সম্ভাবনা রয়েছে। সোমবার থেকে বৃষ্টির পরিমাণ অনেকটাই কমে যাবে। বাড়বে তাপমাত্রা ও আর্দ্রতাজনিত অস্বস্তি।